অবৈধভাবে চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যদের পূনবর্হাল এর দাবি তে সংবাদ সম্মেলন
![](https://somoyerkontha.com/wp-content/uploads/2024/10/FB_IMG_1727975776303.jpg)
- আপডেট টাইম : ০২:৪২:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
- / ০ ৫০০০.০ বার পাঠক
পুলিশ হেডকোয়ার্টাস কর্তৃক ১৫২২ জন চাকুরীচ্যুত পুলিশ সদস্য কে পুনর্বহল করার মিথ্যা তথ্য প্রকাশের বিরুদ্ধে ঢাকা জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন। ভিকটিম পুলিশ পরিবার বিগত স্বৈরাচারী সরকারের আমলে অন্যায় ও অবৈধভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে পুলিশ সদস্যদের। গত ১১ জানুয়ারী সকাল ১১ টায় ঢাকা জাতীয় প্রেসক্লাবে পুলিশের চাকুরী পূনর্বহাল করতে সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করেন এ,এস আই সাইফুল, এসআই তৌহিদ ও ভিকটিম পুলিশ পরিবার। সম্মেলনে প্রকাশ স্বৈরাচারী সরকারের আমলে ২২০০ জন পুলিশ সদস্য কে চাকুরীচ্যুত করে নিম্ন পদে নিয়োজিত থাকা পুলিশ কর্মচারীদের। পুলিশ কর্মচারীদের মনে চাকরি হারানোর আতংক সৃষ্টি হয়। সকলের নিজ কর্মস্থল ফিরে পেতে পুলিশ হেডকোয়ার্টারে অবস্থান করে পুলিশ সদস্যরা। তাদের কর্ম স্থান ফিরে পেতে বিজ্ঞ আদালতের পুলিশ পরিবারের পক্ষে রায় প্রয়োজন এর অজুহাত দেখান। বিজ্ঞ আদালতে ০১,০২,০৩ রায় পাওয়ার পরেও মিলেনি পূনর্বহাল থাকা পুলিশ পরিবারের চাকুরী। পুলিশ হেডকোয়ার্টাস থেকে সকল উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা বৈষম্যের পরিবেশ সৃষ্টি করে। সেই বৈষম্যের শিকার পুলিশ পরিবারের এই ২২০০ জন সদস্য। বৈষম্যের তথ্য, অনুমোদনহীন হাসপাতাল থেকে ডোপ টেস্টের অজুহাতে পুলিশ পরিবারের সদস্য কে চাকুরীচ্যুত করা , ঢাকা মেডিকেল ও পিজি হাসপাতালের টেস্ট জমা দিলেও রিজেক্ট করা । ডোপ টেস্ট এর পরিবর্তে নেওয়া মোটা অংকের টাকা না দিলে কর্মীদের করা হয় চাকুরীচ্যুত। পুলিশ বাহিনীর বেশিরভাগ সিনিয়র কর্মকর্তা নিম্ন কর্মচারীদের চাপ সৃষ্টি করে দমিয়ে রাখতো। তারই সাথে দেওয়া মিথ্যা বানোয়াট ভিওিহীন মামলা দিয়ে চাকুরীচ্যুত করে। পুলিশ পরিবারের সদস্যদের কে চাকুরীচ্যুত করতে মামলার তদন্ত ও সাক্ষ্য গ্রহন হয়েছিল এক তরফা। পুলিশের উচ্চ পদস্থ কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক এজেন্ডাদের বাস্তবায়ন। পুলিশের উচ্চ কর্মকর্তার সিদ্ধান্তে মিথা, নাকট বাসতবায়ন করে নিম্ন কর্মচারীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছিল। ফেসবুকে প্রতিবাদী কমেন্ট এর ইসুতেও পুলিশ সদস্য কে চাকুরীচ্যুত করা হয়েছিল।
২০০৭ সালে সাবেক আইজিপি জনাব নূর মোহাম্মদ যিনি বিভাগীয় মামলার অজুহাত দেখান ও ছোট্ট খাটো অপরাধের শাস্তি হিসেবে চাকুরীচ্যুত করেন পুলিশ পরিবারের। দীর্ঘ সময়ে স্বৈরাশাসক দেশের সকল প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেন। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশ। পুলিশ বাহিনীর কিছু সিনিয়র দানবের অবৈধ আদেশ পালনে ও চাকুরী বাচাতে করতে হয় গনহত্যার মতো অপরাধ। স্বৈরাচার সরকারের আমলে উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা বিজ্ঞ আদালতের রায়ে চাকুরী ফিরে পেলেও নিম্ন কর্মচারীদের চাকুরীচ্যুত পূনর্বহাল করেন নি। বর্তমান পুলিশ হেডকোয়ার্টাস থেকে উচ্চ কর্মকর্তা কে নিম্ন কর্মচারীদের বিজ্ঞ আদালতের রায় পেয়েও কোনো ব্যবস্থা নেয় নি উচ্চ কর্মকর্তা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টা আর এম সাখাওয়াত হোসেন মানবিক বিবেচনায় পুলিশ পরিবারের সদস্যদের পূনর্বহালের সিদ্ধান্ত দেয়। স্বৈরাচারী সরকারের কিছু দোসররা যুক্ত থাকায় বাসতবায়ন সম্ভব হয়নি পুলিশ পরিবারের। পুলিশ প্রধান পি.আর. বি ৮৮৪ প্রবিধান মতে চাকুরীচ্যুত হওয়া সদস্যদের পূনর্বহাল করার আদেশ থাকলেও দোসরদের বাঁধার কারণে সম্ভব হয়নি। দীর্ঘ সময় স্বৈরাশাসক দেশ পরিচালনা করলেও ছাএ আনদোলনের মাধ্যমে গত ১৬ বছরের স্বৈরাশাসনের পতন ঘটে। গণ-অভ্যুত্থানে স্বৈরাশাসক পালিয়ে গেলে পুনরায় পুলিশ বাহিনীর দোসররা পুলিশ পরিবারের সদস্যদের আশ্বাস দেন চাকুরী পূনর্বহাল করার কথা দিয়ে তালবাহানা করে। পুলিশের উচ্চ কর্মকর্তার বৈষম্যের শিকার এর বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জানান নিম্ন কর্মচারী ভিকটিম পুলিশ পরিবার । পুলিশ পরিবার বর্তমান সরকারের নিকট আবেদন জানাচ্ছি আমাদের কে সুযোগ – সুবিধা সহ চাকুরিতে পূনর্বহাল করা হোক এবং বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর স্বৈরাচারের দোসরদের অপসারণ করা হোক।