ঢাকা ০৪:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
কোস্টগার্ডের অভিযানে ২৮ কেজি হরিণের মাংস সহ আটক ১ খুলনা বিএনপি নেতা নিজ ভাবীকে ধর্ষণ চেষ্টায় আদালতে মামলা বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারে পাশে থাকবে জাতিসংঘ: গুতেরেস শত্রুর যে কোনো হুমকি মোকাবিলায় প্রস্তুত ইরান ৯ মিনিটেই শেষ ট্রেনের টিকিট, আধাঘণ্টায় ২০ লাখ হিট জাতীয় পরিচয়পত্র নির্বাচন কমিশনের অধীনে রাখতে সারা দেশের ন্যায় আজমিরীগঞ্জে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত  গাজীপুর জেলার রিপোর্টার্স ইউনিটি এক বিশাল ইফতার ও মাহফিলের আয়োজন ধর্ষণ, নিপীড়ণ ও নারী সহিংসতায় জড়িতদের শাস্তির দাবীতে ঠাকুরগাঁওয়ে মানববন্ধন দ্রুত সংস্কার করে, অল্প সময়ের মধ্যে নির্বাচন দিন: কৃষিবিদ শামীমুর রহমান বাঁচানো গেলো না মাগুরার সেই শিশুটিকে

১২ দেশে হচ্ছে টিউলিপের অর্থপাচারের তদন্ত

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ১০:৩৫:২০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ৪২ ৫০০০.০ বার পাঠক

ছবি: সংগৃহীত
অন্তত ১২টি দেশে তদন্ত হচ্ছে যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির এমপি টিউলিপ সিদ্দিক ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে ওঠা অর্থপাচারের অভিযোগ। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সূত্রে এমন খবর প্রকাশ হয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য টাইমসে।

গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ এবং এর কিছু অংশ বিদেশে সম্পত্তি কেনার জন্য ব্যবহারের অভিযোগ খতিয়ে দেখছেন দুদকের তদন্তকারীরা। প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক (৪২) ২০১৫ সাল থেকে যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির এমপি।

তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে দুদকের এক মুখপাত্র দ্য টাইমসকে বলেন, ‘আমরা প্রাথমিক প্রতিবেদনে দেখেছি যে কেবল যুক্তরাজ্যেই নয়, অন্যান্য দেশেও অর্থ পাচার করা হয়েছে। আমাদের দল পারস্পরিক আইনি সহায়তা চেয়ে বিভিন্ন দেশে তথ্য ও প্রমাণ সংগ্রহের জন্য অনুরোধ পাঠিয়েছে।’

তিনি আরও জানান, শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে তদন্তের অংশ হিসেবে ১০ থেকে ১২টি দেশের কাছে তথ্য চাওয়া হয়েছে। তবে টিউলিপের বিষয়ে কতগুলো দেশের কাছে তথ্য চাওয়া হয়েছে, তা স্পষ্ট নয়। তিনি বলেন, ‘আমাদের দল বিদেশে পাচার করা অর্থ উদ্ধারে কাজ করছে। যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ অন্যান্য দেশের সহায়তার আশ্বাস পেয়েছি।’

এদিকে ব্রিটেনের ‘ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি’র (এনসিএ) কর্মকর্তারা জানুয়ারির শেষ দিকে ঢাকায় কয়েক দিন অবস্থান করে দুদকের তদন্তে সহায়তা করেছেন।

লেবার পার্টির নেতা স্যার কিয়ার স্টারমারের ঘনিষ্ঠ বন্ধু টিউলিপপের নাম দুদকের তিনটি তদন্তে এসেছে। তাকে একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প থেকে লাভবান হওয়া, তার খালাকে পরিবারের সদস্যদের জন্য জমি বরাদ্দ দিতে প্রভাবিত করা এবং অর্থপাচারের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

টিউলিপ সবসময় এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন এবং সূত্রগুলো বলছে, এই অভিযোগ তার খালার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের সাজানো। টিউলিপের একজন মুখপাত্র বলেন, ‘এই অভিযোগের পক্ষে কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়নি। টিউলিপ সিদ্দিকের সাথে কেউ যোগাযোগ করেনি এবং তিনি এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন।’

জানুয়ারিতে আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরুর পর টিউলিপের পরিবারের বাংলাদেশের রাজনীতির সাথে যোগসূত্রের কারণে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়। এরপরেই টিউলিপকে মন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য করা হয়।

প্রথমে টিউলিপ দাবি করেছিলেন, লন্ডনের কিংস ক্রসে অবস্থিত সাড়ে ছয় লাখ পাউন্ড মূল্যের একটি ফ্ল্যাট তার বাবা-মা তাকে উপহার দিয়েছেন। তবে পরে জানা যায়, ফ্ল্যাটটি কিনেছেন আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ ডেভেলপার আবদুল মোতালিফ।

ডিসেম্বরে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ টিউলিপ সিদ্দিকের নাম উল্লেখ করে আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করে। দুদক ১২০ দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করলেও প্রয়োজনে সময় বাড়ানো হতে পারে।

দুদকের মুখপাত্র জানিয়েছেন, তদন্ত শেষ হলে বাংলাদেশ সরকার সিদ্দিককে দেশে প্রত্যর্পণের জন্য পদক্ষেপ নিতে পারে।

টিউলিপ সিদ্দিক যুক্তরাজ্য শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

১২ দেশে হচ্ছে টিউলিপের অর্থপাচারের তদন্ত

আপডেট টাইম : ১০:৩৫:২০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ছবি: সংগৃহীত
অন্তত ১২টি দেশে তদন্ত হচ্ছে যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির এমপি টিউলিপ সিদ্দিক ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে ওঠা অর্থপাচারের অভিযোগ। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সূত্রে এমন খবর প্রকাশ হয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য টাইমসে।

গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ এবং এর কিছু অংশ বিদেশে সম্পত্তি কেনার জন্য ব্যবহারের অভিযোগ খতিয়ে দেখছেন দুদকের তদন্তকারীরা। প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক (৪২) ২০১৫ সাল থেকে যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির এমপি।

তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে দুদকের এক মুখপাত্র দ্য টাইমসকে বলেন, ‘আমরা প্রাথমিক প্রতিবেদনে দেখেছি যে কেবল যুক্তরাজ্যেই নয়, অন্যান্য দেশেও অর্থ পাচার করা হয়েছে। আমাদের দল পারস্পরিক আইনি সহায়তা চেয়ে বিভিন্ন দেশে তথ্য ও প্রমাণ সংগ্রহের জন্য অনুরোধ পাঠিয়েছে।’

তিনি আরও জানান, শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে তদন্তের অংশ হিসেবে ১০ থেকে ১২টি দেশের কাছে তথ্য চাওয়া হয়েছে। তবে টিউলিপের বিষয়ে কতগুলো দেশের কাছে তথ্য চাওয়া হয়েছে, তা স্পষ্ট নয়। তিনি বলেন, ‘আমাদের দল বিদেশে পাচার করা অর্থ উদ্ধারে কাজ করছে। যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ অন্যান্য দেশের সহায়তার আশ্বাস পেয়েছি।’

এদিকে ব্রিটেনের ‘ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি’র (এনসিএ) কর্মকর্তারা জানুয়ারির শেষ দিকে ঢাকায় কয়েক দিন অবস্থান করে দুদকের তদন্তে সহায়তা করেছেন।

লেবার পার্টির নেতা স্যার কিয়ার স্টারমারের ঘনিষ্ঠ বন্ধু টিউলিপপের নাম দুদকের তিনটি তদন্তে এসেছে। তাকে একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প থেকে লাভবান হওয়া, তার খালাকে পরিবারের সদস্যদের জন্য জমি বরাদ্দ দিতে প্রভাবিত করা এবং অর্থপাচারের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

টিউলিপ সবসময় এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন এবং সূত্রগুলো বলছে, এই অভিযোগ তার খালার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের সাজানো। টিউলিপের একজন মুখপাত্র বলেন, ‘এই অভিযোগের পক্ষে কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়নি। টিউলিপ সিদ্দিকের সাথে কেউ যোগাযোগ করেনি এবং তিনি এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন।’

জানুয়ারিতে আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরুর পর টিউলিপের পরিবারের বাংলাদেশের রাজনীতির সাথে যোগসূত্রের কারণে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়। এরপরেই টিউলিপকে মন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য করা হয়।

প্রথমে টিউলিপ দাবি করেছিলেন, লন্ডনের কিংস ক্রসে অবস্থিত সাড়ে ছয় লাখ পাউন্ড মূল্যের একটি ফ্ল্যাট তার বাবা-মা তাকে উপহার দিয়েছেন। তবে পরে জানা যায়, ফ্ল্যাটটি কিনেছেন আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ ডেভেলপার আবদুল মোতালিফ।

ডিসেম্বরে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ টিউলিপ সিদ্দিকের নাম উল্লেখ করে আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করে। দুদক ১২০ দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করলেও প্রয়োজনে সময় বাড়ানো হতে পারে।

দুদকের মুখপাত্র জানিয়েছেন, তদন্ত শেষ হলে বাংলাদেশ সরকার সিদ্দিককে দেশে প্রত্যর্পণের জন্য পদক্ষেপ নিতে পারে।

টিউলিপ সিদ্দিক যুক্তরাজ্য শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ