অভিযোগের স্তুপ বেরিয়ে এলেও আখলাক উল জামিল এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরে
- আপডেট টাইম : ০৫:২৮:০৯ অপরাহ্ণ, শনিবার, ৪ জানুয়ারি ২০২৫
- / ৪ ৫০০০.০ বার পাঠক
অভিযোগের স্তুপ বেরিয়ে আসছে ময়মনসিংহ পানি উন্নয়ন বোর্ড ( পাউবো) এর নির্বাহী প্রকৌশলী আখলাক উল জামিলের।
২০২১ সনে ময়মনসিংহ পানি উন্নয়ন বোর্ডে যোগদান করেন আখলাক উল জামিলের। তখন ছিলো দুধর্ষ ডাকাতের রাজ্য।যে কুৎসিত উপাধিটা বাংলাদেশের সারা জনতা বর্তমানে এর চেয়ে ভাল উপাধিটা আর খুঁজে পাচ্ছেননা বলে স্বৈরাচার পতিত আওয়ামীলীগ সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এখন এই নামেই সম্বোধন করে যাচ্ছেন।
বাংলাদেশের সকল জনতার উধৃতি দিয়ে ময়মনসিংহবাসিরও এক কথা তৎকালীন পালিয়ে যাওয়া আওয়ামিলীগ সরকারের পতিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দূর্নীতি, চোরামি, বাটপারি যেমন ফ্রি লাইসেন্স দিয়েছিল তেমনি স্হানীয়ভাবে সকল সরকারি প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়ে বলেছিলেন- ‘যতো পারো দুইহাতে কামিয়ে নিয়ে যাও কিন্তু শর্ত হলো আমাকে ক্ষমতায় রাখতে হবে।’ পরবর্তীতে শেখ হাসিনার এই কথা সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে যায়।
ময়মনসিংহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আখলাক উল জামিলের বিরুদ্ধে তার সংশ্লিষ্টজনদের কাছ থেকেই অভিযোগে জানা গেছে, নির্বাহী প্রকৌশলী আখলাক উল জামিল ছিলেন পুরো মাত্রায় আওয়ামিলীগের দোসর! অভিযোগে প্রকাশ, ময়মনসিংহ পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আখলাক উল জামিল একাধারে ছিলেন দূর্নীতিবাজ এবং আওয়ামিলীগ সরকারের ছিলেন গুরুতর প্রেজেন্টার। আওয়ামিলীগেের পুরো সময়টাতে তিনি ছিলেন পাউবোর কর্তৃত্ববাদী এক খলনায়ক।
অভিযোগে জানা গেছে,পাউবোর ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের ময়মনসিংহ জেলার প্রায় সবকটি নদী খনন প্রকল্পে কাজ সেরেছেন শিয়াল ও কুমিরের বাচ্চার কিচ্ছার মতো। যেমনঃ বছরান্তে যে প্রকল্প বরাদ্দের টাকা আসে সেইটা অর্ধেক শেষ হতে না হতেই বছর শেষ হয়ে যায় কিন্তু কাজ আর শেষ হয়না। এর মধ্যে এসে পড়ে আগাম অর্থ বছরের টাকা। অভিযোগে জানা গেছে, আখলাক উল জামিল তখন মহাখুশী।অপকৌশলে আখলাক উল জামিল হাতিয়ে নেন সরকারের কোটি কোটি টাকা।কোন ব্যক্তি কিংবা ঠিকাদার এর প্রতিবাদ করলে আখলাক উল জামিলের কিছুই হয়না। কারণ কোন জবাবদিহিতাই তো নেই।
একটি সাংবাদিক টিম অনুসন্ধান করতে গিয়েছিলেন আগের অর্থ বছরে বরাদ্দের কাজের সন্ধানে। গিয়েছিলেন ফুলবাড়িয়ার রঘুনাথবাজার এবং মুক্তাগাছার বানার নদী পরিদর্শনে।সাংবাদিক টিম হতাশ হয়েছেন। আশে পাশের লোকজন জানান নদীতে কোন কাজইতো হয়নাই।মাঝখান থেকে নির্বাহী প্রকৌশলী আখলাক উল জামিলকে ম্যানেজ করে আগাম টাকাই তুলে নেয়া হয়েছে। আর আখলাক উল জামিল তো ম্যানেজের জন্য প্রস্তুতই ছিলো। সুতরাং কোন কাজ প্রকল্পে হয়নি। জানা গেছে, এভাবেই ময়মনসিংহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আখলাক উল জামিলের মতো সকল সরকারি প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তাদের এক একজন দেশটাকে ফতুর বানিয়ে কোটি কোটি টাকা নির্ভিঘ্নে আত্নসাৎ করেছেন।
আরও জানা গেছে, এতোকিছুর পরেও ময়মনসিংহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আখলাক উল জামিলের অনিয়মের হ্যাডাম কমেনি। তিনি নাকি মানুষকে এখনও বলে বেড়ান আওয়ামিলীগ সরকার আবারও ক্ষমতায় আসবে। এরপরও কি ময়মনসিংহ দূর্নীতি দমন কমিশনের হস্তক্ষেপ কাম্য নয়? এমন প্রশ্ন ময়মনসিংহ সচেতন জনতার। সচেতন জনতা পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী জামিলুর রহমানের বিভাগীয় তদন্ত কামনা করে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।