কালিয়াকৈরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি জবর দখল

- আপডেট টাইম : ০৪:৪২:৫১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪
- / ৯২ ১৫০০০.০ বার পাঠক
গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার ৬৮নং গোসাত্রা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি জবর দখল করে বিদ্যালয়ের মাঠে বাঁশের বেড়া ও চারা রোপন করার অভিযোগ উঠেছে পার্শ্ববর্তী জমির মালিক শওকত হাসান খান ও মহসিন আলী খানের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছালমা বেগম বিদ্যালয়ের জমি মেপে সীমানা নির্ধারণ করার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের নিকট আবেদন করেন।
সরেজমিনে বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, গোসাত্রা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯৩৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বিদ্যালয়ে বর্তমানে ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা ৩২৪ জন।
দলিল অনুযায়ী গোসাত্রা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মোট জমির পরিমাণ সাইত্রিশ শতাংশ দুই পাঁচ আযূতাংশ।
বিদ্যালয়ে জমির দাতা মোট ৩ জন। ১ নং দলিল দাতা আফসার উদ্দিন দেওয়ান ৫/৫/১৯৩৯ ইং তারিখে ৬১০ নং দাগে ২৯ শতাংশ ও ৬১১ নং দাগে ৪ শতাংশ জমি দান করেন এবং ২ নং দলিল দাতা মরিয়ম খান ১৬/৮/১৯৯৩ তারিখ দুই পাঁচ অযূতাংশ জমি দান করেন অতঃপর ৩ নং দলিল দাতা মহসিন আলী খান ৭/১২/২০০০ ইং তারিখে ৪ শতাংশ জমি দান করেন।
জানা গেছে- মহসিন আলী খানের দানকৃত ৪ শতাংশ জমিসহ আনুমানিক মোট উনিশ শতাংশ শূন্য পাঁচ অযূতাংশ জমি বিদ্যালয়ের দখলে নেই। বিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী মরহুম নজরুল ইসলাম খানের প্রভাবশালী পুত্র শওকত হাসান খান ও মহসিন আলী খান বিদ্যালয়ের জমি জবর দখলে রয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে জমির সীমানা নির্ধারণ বিহীন কোন নিয়মনীতি না মেনে স্কুল কর্তৃপক্ষের বাধা উপেক্ষা করে তারা অদৃশ্য শক্তির বলে এই সীমানা প্রাচীর গড়ে তুলে। স্কুল মাঠে বাশেঁর বেড়া দিয়ে চারা রোপণ করেন। স্কুল ক্যাম্পাসের ভেতরে নিজ মালিকানাধীন আশা ইকো রিসোর্ট সাইনবোর্ড লাগিয়েছেন ।
জবর দখলের বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছালমা বেগম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত স্কুলের জমি উদ্ধারে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে জানা গেছে।
প্রধান শিক্ষক ছালমা বেগম জানান, স্কুলে বৃক্ষরোপণ, বাঁশের বেড়া দেওয়া হয়েছে ও প্রাচীর নির্মান করা হয়েছে। স্কুলের সীমানা নির্ধারণ করা হয়নি । তাই স্কুলের জমি মাপা ও সীমানা নির্ধারণ করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল মতিন জানান, এ বিষয়ে লিখিত আবেদন পেয়েছি। শীঘ্রই বিদ্যালয়ের জমি মেপে সীমানা নির্ধারণে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউছার আহাম্মেদ জানান, গোসাত্রা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জমি মেপে সীমানা নির্ধারণের আবেদন পেয়েছি।তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।