ঢাকা ১২:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ মার্চ ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন দিনাজপুর ৫ বিএনপির হয়ে ভোটে লড়তে চান সাহাজুল ইসলাম সয়াবিনের পর অস্থির হচ্ছে ছোলার বাজার ডিসি ব্যবস্থা না নিলে আমাকেই নিতে হবে : রিজওয়ানা হাসান মোংলায় জামায়াতের উদ্যোগে এক বিশাল ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত বিবিসিকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ বছরের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে নির্বাচন হতে পারে কাশেমপুর থানার ওসির সাইফুল প্রত্যাহার দাবিতে বিএনপি কর্মী ও আমজনতার মানববন্ধন কালিয়াকৈরে গ্যাস সিলিন্ডারের আগুন দুই কলোনির ২০ কক্ষ পুড়ে ছাই ভাঙ্গুড়ায় অবৈধ তিন ইটভাটাকে আড়াই লাখ টাকা জরিমানা সোলাইমান সেলিম রোজা আছি, বই পড়ি, পরিবারের সাথে ফোনে কথা বলা যায় এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বড় সুখবর দিলেন বিদায়ী শিক্ষা উপদেষ্টা

বগুড়ায় কারা হেফাজতে ১ মাসে ৪ আ. লীগ নেতার মৃত্যু

বগুড়া জেলা সংবাদদাতা
  • আপডেট টাইম : ১০:৫৫:০২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৫৪ ৫০০০.০ বার পাঠক

বগুড়া জেলা কারাগার। ছবি: স্টার
বগুড়া জেলা কারাগারে আটক আরও এক আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু হয়েছে।

আজ সোমবার সকালে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আব্দুল মতিন মিঠু (৬৫) নামের ওই নেতা মারা যান। তিনি উপজেলার দূর্গাহাটা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।

এ নিয়ে গত এক মাসে বগুড়ায় কারা হেফাজতে থাকা চার আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু হলো।

গত ৩ নভেম্বর আব্দুল মতিন মিঠুকে হত্যা ও বিষ্ফোরক মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। মামলাগুলো গত ৫ আগস্টের পরে হয়েছে বলে জানিয়েছে বগুড়া জেল কর্তৃপক্ষ।

বগুড়া জেলা কারাগারের জেলার সৈয়দ শাহ শরীফ বিষয়টি দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন।

শাহ শরীফ বলেন, ‘আব্দুল মতিন মিঠু আজ দিবাগত রাত সাড়ে ৩টায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে হাসপাতালে ভর্তি থাকা অবস্থায় সকালে তিনি মারা যান।’

আব্দুল মতিন কোনো ধরনের অসুস্থতায় ভুগছিলেন কিনা জানতে চাইলে শাহ শরীফ বলেন, ‘তার তেমন কোন অসুখ ছিল না।’

কারাগারে এক মাসের ভেতর চার আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যুর প্রসঙ্গ উল্লেখ করলে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নেতারা হঠাৎ করে জেলে এসে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। আগে মৃত্যু হওয়া তিনজন বিভিন্ন অসুখ-বিসুখ নিয়ে কারাগারে এসেছিলেন।’

এর আগে কারা হেফাজতে থাকাকালীন গত ১১ নভেম্বর মারা যান বগুড়া শহর আওয়ামী লীগের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম রতন। ২৬ নভেম্বর মারা যান জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং বগুড়া পুলিশ লাইন্স স্কুল এন্ড কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ শাহাদৎ আলম ঝুনু। এর একদিন পর ২৫ নভেম্বর মারা যান বগুড়া শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আব্দুল লতিফ।

কারা সূত্রে জানা যায়, বগুড়া জেলা কারাগারে একজন স্থায়ী মেডিকেল অফিসারের পদ থাকলেও সেটা শূন্য আছে। কেউ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে সিভিল সার্জন অফিস থেকে চিকিৎসক আনা হয়।

এ ব্যাপারে জেলার শাহ শরীফের বলেন,’আমরা চাহিদা দিয়েছি । হয়তো শীঘ্রই ডাক্তার পেয়ে যাব। তবে সিভিল সার্জন অফিসের একজন মেডিকেল অফিসার অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে এখানে এসে নিয়মিত রোগী দেখেন।’

বিষয়টি নিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের এক নেতার মন্তব্য, ‘কেবল বগুড়া জেলেই কেন এত আওয়ামীগ নেতার মৃত্যু হচ্ছে? বিষয়টি রহস্যজনক।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বগুড়ায় কারা হেফাজতে ১ মাসে ৪ আ. লীগ নেতার মৃত্যু

আপডেট টাইম : ১০:৫৫:০২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৪

বগুড়া জেলা কারাগার। ছবি: স্টার
বগুড়া জেলা কারাগারে আটক আরও এক আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু হয়েছে।

আজ সোমবার সকালে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আব্দুল মতিন মিঠু (৬৫) নামের ওই নেতা মারা যান। তিনি উপজেলার দূর্গাহাটা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।

এ নিয়ে গত এক মাসে বগুড়ায় কারা হেফাজতে থাকা চার আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু হলো।

গত ৩ নভেম্বর আব্দুল মতিন মিঠুকে হত্যা ও বিষ্ফোরক মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। মামলাগুলো গত ৫ আগস্টের পরে হয়েছে বলে জানিয়েছে বগুড়া জেল কর্তৃপক্ষ।

বগুড়া জেলা কারাগারের জেলার সৈয়দ শাহ শরীফ বিষয়টি দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন।

শাহ শরীফ বলেন, ‘আব্দুল মতিন মিঠু আজ দিবাগত রাত সাড়ে ৩টায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে হাসপাতালে ভর্তি থাকা অবস্থায় সকালে তিনি মারা যান।’

আব্দুল মতিন কোনো ধরনের অসুস্থতায় ভুগছিলেন কিনা জানতে চাইলে শাহ শরীফ বলেন, ‘তার তেমন কোন অসুখ ছিল না।’

কারাগারে এক মাসের ভেতর চার আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যুর প্রসঙ্গ উল্লেখ করলে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নেতারা হঠাৎ করে জেলে এসে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। আগে মৃত্যু হওয়া তিনজন বিভিন্ন অসুখ-বিসুখ নিয়ে কারাগারে এসেছিলেন।’

এর আগে কারা হেফাজতে থাকাকালীন গত ১১ নভেম্বর মারা যান বগুড়া শহর আওয়ামী লীগের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম রতন। ২৬ নভেম্বর মারা যান জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং বগুড়া পুলিশ লাইন্স স্কুল এন্ড কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ শাহাদৎ আলম ঝুনু। এর একদিন পর ২৫ নভেম্বর মারা যান বগুড়া শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আব্দুল লতিফ।

কারা সূত্রে জানা যায়, বগুড়া জেলা কারাগারে একজন স্থায়ী মেডিকেল অফিসারের পদ থাকলেও সেটা শূন্য আছে। কেউ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে সিভিল সার্জন অফিস থেকে চিকিৎসক আনা হয়।

এ ব্যাপারে জেলার শাহ শরীফের বলেন,’আমরা চাহিদা দিয়েছি । হয়তো শীঘ্রই ডাক্তার পেয়ে যাব। তবে সিভিল সার্জন অফিসের একজন মেডিকেল অফিসার অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে এখানে এসে নিয়মিত রোগী দেখেন।’

বিষয়টি নিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের এক নেতার মন্তব্য, ‘কেবল বগুড়া জেলেই কেন এত আওয়ামীগ নেতার মৃত্যু হচ্ছে? বিষয়টি রহস্যজনক।