সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে মসজিদ নিয়ে আধিপত্য বিস্তারে সংঘর্ষে নিহত-১,আহত-৫০
- আপডেট টাইম : ০৯:৩১:৩৯ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪
- / ১৫ ৫০০০.০ বার পাঠক
সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলায় মসজিদ ও মাদ্রাসার কমিটির লোকদের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে সুজাত মিয়া(৮০)নামের একজন নিহত ও শালিসি ব্যক্তি সহ উভয় পক্ষের প্রায় অর্ধশত আহত হয়েছেন।
নিহত সুজাত মিয়ার মরদেহ ১৩ (নভেম্বর)বুধবার ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে ১২ (নভেম্বর)মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নের বাগময়না (তাজপুর)গ্রামে।
সংঘর্ষে আশংকা জনক অবস্থায় ১৪ জনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকাল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়দের মারফতে জানাগেছে, বাগময়না(তাজপুর)গ্রামের সুজাত মিয়া ও আব্দুল কাছেরের মাঝেহ হযরত শাহজালাল জামে মসজিদ,স্হানীয় মাদ্রাসা ও মরহুম হাজী মোঃখুশি মিয়া হিফজ শাখার পরিচালনা কমিটির আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দু’পক্ষের মাঝে বিরোধ চলে আসছে দীর্ঘ দিন ধরে।
এর মাঝে এলাকাবাসীর সমন্বয়ে মসজিদের দ্বিতীয় তলার নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়।এনিয়ে সুজাত মিয়া ও আব্দুল কাছেরের লোকজনে মধ্যে সামাজিক যোগা-যোগ মাধ্যম(ফেইসবুকে) অশালীন ভাষায় স্ট্যাটাসের প্রতিযোগিতা চলছে এক অন্যের মধ্যে।
এ-নিয়ে মঙ্গলবার বিকেলে মাইকে ঘোষণা দিয়ে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
প্রায় দেড়ঘন্টা ব্যাপী চলাকালীন সংঘাতে জাবেদ আলী,রেকুল মিয়া,সুনু মিয়া, মহিম মিয়া,সেজুল মিয়া,লিটন মিয়া,হেলাল মিয়া,আবদুল আমিন,কাজল মিয়া,মারুফ মিয়া, জয়নাল আবেদীন,জুনেদ আলী,হোসেন মিয়া, সেকুল মিয়া,সুজাত উল্লা,সেফুল মিয়া,মমিন মিয়া, তছর মিয়া,টুনু মিয়া,মামুন মিয়া,শামিম মিয়া,ইমন মিয়া,আব্দুল মহিম,শাহেদ মিয়া,রিনা বেগম,আনোয়ার মিয়া সহ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের প্রায় অর্ধশত নারী-পুরুষ আহত হয়েছেন।
গুরুতর আহতাবস্থায় আমান উল্লাহর ছেলে সুজাত উল্লা(৮০)কে জগন্নাথপুর উপজেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃতঃবলে ঘোষণা করেন।
এ-দিকে সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে শালিসি ব্যক্তি হাফিজ উদ্দিন,ফারুক মিয়া,হাফিজ শামিম মিয়া,জামান উল্লাহ মুক্তার,আব্দুল নুর মিয়া, খালেদ মিয়া সহ আরো অনেকেই আহত হয়েছেন।
জগন্নাথপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক মোখলেছুর রহমান আকন্দ বলেন,সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।এলাকায় বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বুধবার সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।