জলসুখার ডাকঘরের ভবন জরাজীর্ণ অবস্থা বিলীনের সম্ভবনায় ডাকঘরের কার্যক্রম
- আপডেট টাইম : ০৮:১৮:১৭ অপরাহ্ণ, রবিবার, ৩ নভেম্বর ২০২৪
- / ১৩ ৫০০০.০ বার পাঠক
কাউকে যখন তার ঠিকানা লিখতে হয়, তখন সেখানে ওই ব্যক্তির পোস্ট অফিস বা ডাকঘরের নাম উল্লেখ করতে হয়। পোস্ট অফিসের মাধ্যমেই সে ব্যক্তির সঠিক ও নির্ভুল ঠিকানা লিপিবদ্ধ করা হয়।
ওই ঠিকানা অনুযায়ী তার কাছে চিঠিপত্র বা কোনো ডাক আসে। মূলত পোস্ট অফিসের মাধ্যমে একজন ব্যক্তির ঠিকানা নিশ্চিত হওয়া যায়।
কিন্তু যে পোস্ট অফিসের মাধ্যমে ব্যক্তির ঠিকানা নিশ্চিত হওয়া যায়, সে পোস্ট অফিস বা ডাকঘরের ঠিকানা এখন সংস্কারের অভাবে আজমিরীগঞ্জ উপজেলার জলসুখা ইউনিয়নের ডাকঘরের অবস্থা বেহাল হয়ে পড়েছে, । সরেজমিনে দেখা গেছে, ব্রিটিশ আমলের তৈরি একটি টিনের ঘর, এখন পর্যন্ত কোনো সংস্কার করা হয়নি। এছাড়া দরজা-জানালা বিহীন জরাজীর্ণ অবস্থায় পরে রয়েছে।
কার্যক্রম চলে ই ডি আই(পোস্ট মাষ্টার) এর বাড়িতে।
যেন মানুষের খবর পৌঁছে দেয়া ডাকঘরের খবরই রাখছে না কেউ। যদি ও দায়িত্বরত কর্মকর্তা বলছেন নতুন ভবনের জন্য জায়গা ছিল না তারপর জলসুখা দক্ষিণ পাড়া মহল্লা থেকে জায়গায় দেওয়া হয়েছে এবং সেটি মন্ত্রনালয়ে ও পাটানো হয়েছে, এখন পর্যন্ত কোন খবর নেই।
পোস্টমাস্টার মোঃ মাজিদুল ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোন আলাপ করলে তিনি জানান,জরাজীর্ণ এ ডাকঘরটি সংস্কারের জন্য মন্ত্রনালয়ে তিন বছর আগে কাগজ পত্র পাঠানোর সত্ত্বেও সংস্কারের জন্য কোনো আর্থিক বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। এবং থেকে বহুবার কর্তৃপক্ষের কাছ লেখালিখি করা হয়েছে,কার্যক্রম আমার বাড়িতে করছি
জরাজীর্ণ এ ডাকঘরটি সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বহুবার লেখালিখি করা সত্ত্বেও সংস্কারের জন্য কোনো আর্থিক বরাদ্দ পাওয়া যায়নি।
ডাকঘর পরিদর্শক সূর্য লাল দাস এর সঙ্গে ফোনে আলাপ করলে তিনি জানান, বর্তমানে যে জায়গা আছে সে জায়গা দিয়েই ভবন হবে। মন্ত্রনালয় থেকে ভবন তৈরির জন্য জায়গায় চাহিদা চায় প্রতি বছরই তালিকা করে, চাহিদা অনুযায়ী তালিকা দেওয়া হয়। আমাদের কোন চার থেকে পাঁচ বছর কোন নতুন ভবন দিচ্ছে না। ব্রাঞ্চ অফিস গুলো দানের উপর অনেক গুলি চলছে যেমন কোন দানশীল ব্যাক্তি যদি ঘর তৈরি করে দেন। একটি ভবন তৈরি ব্যায় প্রায় আট লক্ষ টাকা যদি এ টি দেয় হবে না হয় এই ভাবেই তাকবে। এই ডাক ঘরে দুই জন পোস্ট মাষ্টার ও পিয়ন রয়েছে এখন কার্যক্রম চলে ই ডি এ(পোস্ট মাষ্টার) বাড়িতে।