সাবেক ডিবিপ্রধান হারুনের ব্যক্তিগত ক্যাশিয়ার গ্রেপ্তার
- আপডেট টাইম : ০২:২৩:৫২ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪
- / ১৫ ৫০০০.০ বার পাঠক
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদের ক্যাশিয়ার কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মোকাররম সরদারকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী।
রবিবার (২৭ অক্টোবর) দিবাগত রাত ২টা ৩০ মিনিটের দিকে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার আলীগঞ্জ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরীফুল ইসলাম সোমবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, গভীর রাতে মোকাররমকে সেনাবাহিনী আটক করে ফতুল্লা থানায় সোপর্দ করেছে এবং তাকে চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া, তার বিরুদ্ধে হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
এ ঘটনার শুরু ২ অক্টোবর, যখন নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় চাঁদা দাবি ও মারধরের ঘটনায় সাবেক ডিবিপ্রধান হারুন অর রশিদ ও মোকাররমসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। মামলায় আরো ৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। শাহ আলম নামে এক ব্যবসায়ী বাদী হয়ে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে মামলার আবেদন করেন, যার নির্দেশে ফতুল্লা থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
মামলার এজাহার অনুযায়ী, ২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর, ব্যবসায়িক কাজে যাওয়ার সময় পিস্তল ঠেকিয়ে বাদীর থেকে ২০ লাখ টাকাসহ জরুরি কাগজপত্র ছিনিয়ে নেয় অভিযুক্তরা। এরপর বাদীকে অপহরণ করে আলীগঞ্জে মোকাররমের অফিসে নিয়ে গিয়ে মারধর করে ১০টি অলিখিত চেকের পাতা ও স্ট্যাম্পে সই নিয়ে নেয়া হয়।
জানা যায়, মোকাররম সরদার একসময় নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় মাত্র ৮০ টাকা রোজে লোড-আনলোডের কাজ করতেন। বুড়িগঙ্গায় জাহাজ থেকে লোড-আনলোডের সময় চুরি করে রাখা চাল, ডাল, গম, পাথর, কয়লা ও সার বিক্রি করতেন। তার রয়েছে জাহাজের পণ্য চোরাইয়ের একটি সিন্ডিকেট, যা থেকে তিনি বিপুল পরিমাণ টাকা আয় করতেন এবং তার অর্ধেক স্থানীয় নেতাদের ভাগ দিতেন।
রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ার পর মোকাররম স্থানীয় শ্রমিক লীগের নেতা হয়ে ওঠেন এবং বর্তমানে কয়েকশ কোটি টাকার মালিক। সাবেক ডিবিপ্রধান হারুনের ছত্রছায়ায় বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে পড়েন তিনি। হারুনের অবৈধ সম্পদের কেয়ারটেকার হিসেবে কাজ করে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হতে বিপুল পরিমাণ টাকা ছিটিয়ে কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন মোকাররম।
স্থানীয়রা জানান, নারায়ণগঞ্জে পুলিশ সুপার থাকার সময়ে হারুন অর রশিদের নিয়মিত আনাগোনা ছিল আলীগঞ্জের মোকাররম সরদারের লেবার অফিসে। এই অফিসটি ব্যবসায়িক হিসাবের পাশাপাশি টর্চার সেল হিসেবেও ব্যবহৃত হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।