ঢাকা ০৪:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পিএসএলে ‘সিংহাসন’ হারালেন রিশাদ ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি বাংলাদেশ-পাকিস্তান পররাষ্ট্র সচিব বৈঠক, কীভাবে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে চায় দুই দেশ? আবর্জনাময় পথেই চলতে হচ্ছে রসুলবাগ একোর্ড ভবনের বাসিন্দাদের শরণখোলায় রায়েন্দা বাজার ৫ নং ওয়ার্ড ব্যবসায়ীকের বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি কেন ইসরাইলিদের পছন্দ করতেন না রানি এলিজাবেথ? জাতীয় বাটপার ঘুস’ হিসেবে গুলশানে ফ্ল্যাট নেওয়ায় টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলা ৩৫ সাবরেজিস্ট্রি অফিসে একযোগে দুদকের অভিযান দলিল রেজিস্ট্রেশন বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে নাসিরনগর বিএনপির উদ্যোগে ক্রিকেট প্রীতি ম্যাচ অনুষ্ঠিত আজমিরীগঞ্জে ধান কাটার সময় বজ্রপাতে দুই কৃষিশ্রমিকের মৃত্যু

ঘূর্ণিঝড় দানা’য় ওড়িশার বহু এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত: মুখ্যমন্ত্রী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : ০৭:৫৪:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪
  • / ৬৭ ৫০০০.০ বার পাঠক

ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহনচরণ মাঝি। ছবি: সংগৃহীত
ঘূর্ণিঝড় দানা’র কারণে ওড়িশায় কারও প্রাণহানি হয়নি, তবে রাজ্যের বহু এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহনচরণ মাঝি। তিনি বলেছেন, ‘প্রশাসনিক নজরদারি এবং প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির কারণে কারও মৃত্যু হয়নি। সরকারের লক্ষ্য ছিল, আমরা কাউকে মারা যেত দেব না। আমরা কথা রাখতে পেরেছি।’ শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) সকালে তিনি এসব তথ্য জানান। খবর আনন্দবাজারের

মুখ্যমন্ত্রী মোহনচরণ মাঝি জানান, প্রস্তুতি হিসাবে ওড়িশার উপকূলবর্তী জেলাগুলি থেকে অন্তত ৬ লাখ মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এই ছয় লাখ মানুষের মধ্যে ছিলেন ৬ হাজার নারী গর্ভবতী। তাদেরকে তড়িঘড়ি বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার মধ্যে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি হওয়া ১৬০০ জন প্রসূতি সন্তান জন্ম দেন।

তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি এবং প্রাণহানি রুখতে আগেই ৮৩২২টি সাইক্লোন সেন্টার প্রস্তুত রেখেছিল ওড়িশা প্রশাসন। গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার মধ্যে দুর্গতদের অন্তত ৬০০৮টি সেন্টারে রাখা হয়েছিল।

ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যাতেই ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় তাঁর নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার কী কী পদক্ষেপ করেছে, তা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে জানানো হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টায় ওড়িশার ভিতরকণিকা এবং ধামারার মধ্যবর্তী হাবালিখাটি নেচার ক্যাম্পের কাছে স্থলভাগে আছড়ে পড়েছিল ‘দানা’। রাত দেড়টায় ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রীয় অংশ স্থলভাগ অতিক্রম করেছে। সকাল সাড়ে ৭টার পরে ‘লেজের’ অংশও স্থলভাগে ঢুকে পড়ে পুরোপুরি। বর্তমানে ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থান হাবালিখাটি থেকে ৫০ কিলোমিটার উত্তর উত্তর-পশ্চিমে। এরপর আরও শক্তি হারিয়ে ঘূর্ণিঝড় নিম্নচাপে পরিণত হবে। তার পর দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে বাঁক নিতে পারে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ঘূর্ণিঝড় দানা’য় ওড়িশার বহু এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত: মুখ্যমন্ত্রী

আপডেট টাইম : ০৭:৫৪:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪

ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহনচরণ মাঝি। ছবি: সংগৃহীত
ঘূর্ণিঝড় দানা’র কারণে ওড়িশায় কারও প্রাণহানি হয়নি, তবে রাজ্যের বহু এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহনচরণ মাঝি। তিনি বলেছেন, ‘প্রশাসনিক নজরদারি এবং প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির কারণে কারও মৃত্যু হয়নি। সরকারের লক্ষ্য ছিল, আমরা কাউকে মারা যেত দেব না। আমরা কথা রাখতে পেরেছি।’ শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) সকালে তিনি এসব তথ্য জানান। খবর আনন্দবাজারের

মুখ্যমন্ত্রী মোহনচরণ মাঝি জানান, প্রস্তুতি হিসাবে ওড়িশার উপকূলবর্তী জেলাগুলি থেকে অন্তত ৬ লাখ মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এই ছয় লাখ মানুষের মধ্যে ছিলেন ৬ হাজার নারী গর্ভবতী। তাদেরকে তড়িঘড়ি বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার মধ্যে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি হওয়া ১৬০০ জন প্রসূতি সন্তান জন্ম দেন।

তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি এবং প্রাণহানি রুখতে আগেই ৮৩২২টি সাইক্লোন সেন্টার প্রস্তুত রেখেছিল ওড়িশা প্রশাসন। গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার মধ্যে দুর্গতদের অন্তত ৬০০৮টি সেন্টারে রাখা হয়েছিল।

ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যাতেই ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় তাঁর নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার কী কী পদক্ষেপ করেছে, তা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে জানানো হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টায় ওড়িশার ভিতরকণিকা এবং ধামারার মধ্যবর্তী হাবালিখাটি নেচার ক্যাম্পের কাছে স্থলভাগে আছড়ে পড়েছিল ‘দানা’। রাত দেড়টায় ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রীয় অংশ স্থলভাগ অতিক্রম করেছে। সকাল সাড়ে ৭টার পরে ‘লেজের’ অংশও স্থলভাগে ঢুকে পড়ে পুরোপুরি। বর্তমানে ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থান হাবালিখাটি থেকে ৫০ কিলোমিটার উত্তর উত্তর-পশ্চিমে। এরপর আরও শক্তি হারিয়ে ঘূর্ণিঝড় নিম্নচাপে পরিণত হবে। তার পর দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে বাঁক নিতে পারে।