ঢাকা ০৮:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
উড্ডয়নের পর ইঞ্জিনে ত্রুটি, ঢাকায় ফিরে এলো বিমানের ফ্লাইট হাসিনার পালিয়ে যাওয়ার ব্রেকিং দিয়ে পুরস্কার পেলেন শফিকুল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ জায়নবাদী শাসন ব্যবস্থা কার্যত ধ্বংস হয়ে গেছে: বিজয়ের ঘোষণা দিলেন খামেনি রিভিউ নিয়ে এবার সফল তাইজুল, বাংলাদেশ পেল ব্রেক থ্রু সাবেক তিন ইসির বিরুদ্ধে মামলায় যুক্ত হলো রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ খামেনির অনুপস্থিতি ঘিরে জল্পনা, উদ্বিগ্ন ইরানিরা আউয়ালের সঙ্গে নুরুল হুদার ফের ১০ দিনের রিমান্ড চাইল পুলিশ ঘোড়াশালে ভাই ভাই হোটেল ও বেকারিকে জরিমানা জমি দখলের অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে, এলাকাবাসীর মানবন্ধন

ঘূর্ণিঝড় দানা’য় ওড়িশার বহু এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত: মুখ্যমন্ত্রী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : ০৭:৫৪:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪
  • / ৮৮ ৪৪৯০.০০০ বার পাঠক

ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহনচরণ মাঝি। ছবি: সংগৃহীত
ঘূর্ণিঝড় দানা’র কারণে ওড়িশায় কারও প্রাণহানি হয়নি, তবে রাজ্যের বহু এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহনচরণ মাঝি। তিনি বলেছেন, ‘প্রশাসনিক নজরদারি এবং প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির কারণে কারও মৃত্যু হয়নি। সরকারের লক্ষ্য ছিল, আমরা কাউকে মারা যেত দেব না। আমরা কথা রাখতে পেরেছি।’ শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) সকালে তিনি এসব তথ্য জানান। খবর আনন্দবাজারের

মুখ্যমন্ত্রী মোহনচরণ মাঝি জানান, প্রস্তুতি হিসাবে ওড়িশার উপকূলবর্তী জেলাগুলি থেকে অন্তত ৬ লাখ মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এই ছয় লাখ মানুষের মধ্যে ছিলেন ৬ হাজার নারী গর্ভবতী। তাদেরকে তড়িঘড়ি বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার মধ্যে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি হওয়া ১৬০০ জন প্রসূতি সন্তান জন্ম দেন।

তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি এবং প্রাণহানি রুখতে আগেই ৮৩২২টি সাইক্লোন সেন্টার প্রস্তুত রেখেছিল ওড়িশা প্রশাসন। গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার মধ্যে দুর্গতদের অন্তত ৬০০৮টি সেন্টারে রাখা হয়েছিল।

ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যাতেই ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় তাঁর নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার কী কী পদক্ষেপ করেছে, তা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে জানানো হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টায় ওড়িশার ভিতরকণিকা এবং ধামারার মধ্যবর্তী হাবালিখাটি নেচার ক্যাম্পের কাছে স্থলভাগে আছড়ে পড়েছিল ‘দানা’। রাত দেড়টায় ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রীয় অংশ স্থলভাগ অতিক্রম করেছে। সকাল সাড়ে ৭টার পরে ‘লেজের’ অংশও স্থলভাগে ঢুকে পড়ে পুরোপুরি। বর্তমানে ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থান হাবালিখাটি থেকে ৫০ কিলোমিটার উত্তর উত্তর-পশ্চিমে। এরপর আরও শক্তি হারিয়ে ঘূর্ণিঝড় নিম্নচাপে পরিণত হবে। তার পর দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে বাঁক নিতে পারে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ঘূর্ণিঝড় দানা’য় ওড়িশার বহু এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত: মুখ্যমন্ত্রী

আপডেট টাইম : ০৭:৫৪:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪

ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহনচরণ মাঝি। ছবি: সংগৃহীত
ঘূর্ণিঝড় দানা’র কারণে ওড়িশায় কারও প্রাণহানি হয়নি, তবে রাজ্যের বহু এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহনচরণ মাঝি। তিনি বলেছেন, ‘প্রশাসনিক নজরদারি এবং প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির কারণে কারও মৃত্যু হয়নি। সরকারের লক্ষ্য ছিল, আমরা কাউকে মারা যেত দেব না। আমরা কথা রাখতে পেরেছি।’ শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) সকালে তিনি এসব তথ্য জানান। খবর আনন্দবাজারের

মুখ্যমন্ত্রী মোহনচরণ মাঝি জানান, প্রস্তুতি হিসাবে ওড়িশার উপকূলবর্তী জেলাগুলি থেকে অন্তত ৬ লাখ মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এই ছয় লাখ মানুষের মধ্যে ছিলেন ৬ হাজার নারী গর্ভবতী। তাদেরকে তড়িঘড়ি বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার মধ্যে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি হওয়া ১৬০০ জন প্রসূতি সন্তান জন্ম দেন।

তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি এবং প্রাণহানি রুখতে আগেই ৮৩২২টি সাইক্লোন সেন্টার প্রস্তুত রেখেছিল ওড়িশা প্রশাসন। গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার মধ্যে দুর্গতদের অন্তত ৬০০৮টি সেন্টারে রাখা হয়েছিল।

ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যাতেই ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় তাঁর নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার কী কী পদক্ষেপ করেছে, তা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে জানানো হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টায় ওড়িশার ভিতরকণিকা এবং ধামারার মধ্যবর্তী হাবালিখাটি নেচার ক্যাম্পের কাছে স্থলভাগে আছড়ে পড়েছিল ‘দানা’। রাত দেড়টায় ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রীয় অংশ স্থলভাগ অতিক্রম করেছে। সকাল সাড়ে ৭টার পরে ‘লেজের’ অংশও স্থলভাগে ঢুকে পড়ে পুরোপুরি। বর্তমানে ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থান হাবালিখাটি থেকে ৫০ কিলোমিটার উত্তর উত্তর-পশ্চিমে। এরপর আরও শক্তি হারিয়ে ঘূর্ণিঝড় নিম্নচাপে পরিণত হবে। তার পর দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে বাঁক নিতে পারে।