ঢাকা ০৫:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
আজমিরীগঞ্জ পৌর এলাকার গন্জেরহাটি গ্রামের সরকারি রাস্তা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রনব বনিকের দখলের চেষ্টা নরসিংদীতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতা আন্দোলনে আহত সাংবাদিকদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান চট্টগ্রামে জনতা ব্যাংক সিবিএ নেতা আফসার আ.লীগের আমলে দাপট দেখিয়ে এখন বিএনপি নিয়োগ, বদলি, চাঁদাবাজি করে কামিয়েছেন টাকা মহারাষ্ট্রে ভূমিধস জয়ের পথে বিজেপি জোট, ঝাড়খণ্ডে ‘ইন্ডিয়া’ পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু জুলাই বিপ্লবে আহত বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজিবুর রহমানের ছেলে মো. বাবুকে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হচ্ছে থাইল্যান্ড আজমিরীগঞ্জে  বিয়ের ছয় মাস পর গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা রায়পুরে দেশীয় শিল্প ও পণ্য মেলায় ভ্রাম্যমান আদালত, নগদ অর্থদণ্ড কালিয়াকৈরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের উঠান বৈঠক ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত  মোংলায় জলবায়ু ন্যায্যতার গণসংলাপে বক্তারা : সুন্দরবন উপকূলীয় অঞ্চলের বাস্তুতন্ত্রের সুরক্ষা দিন

থালা বাটি নিয়ে রাস্তায় মোটরসাইকেল চালকরা

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ১১:৫৬:১৬ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ৪ এপ্রিল ২০২১
  • / ২৭৯ ৫০০০.০ বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ রিপোর্টার।।

অ্যাপভিত্তিক রাইড শেয়ারিং সেবা চালুর দাবিতে খালি থালা নিয়ে মোটরসাইকেল চালকরা মানববন্ধন করছেন। তাদের নানা দুর্ভোগ ও কষ্টের কথা তুলে বক্তব্য রাখছেন। ‘হয় অন্নের ব্যবস্থা নয় রাইড শেয়ারিং চালু করতে হবে’- বলে দাবি জানান দেশের তরুণ রাইডারেরা।

আজ রবিবার (৪ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে রাস্তায় সকাল থেকে এ মানববন্ধন করছেন তারা। রাইডারদের দাবি বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন। করোনা সংক্রমণরোধে গত বুধবার (৩১ মার্চ) রাইড শেয়ারিং সেবায় মোটরসাইকেলের মাধ্যমে যাত্রী পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।

মানববন্ধনে খালি থালা নিয়ে বসে এ কর্মসূচি পালন করেন মোটরসাইকেল চালকেরা। তারা বলেন, দেশে যখন কর্মসংস্থানের চরম সমস্যার সময়ে দেশের তরুণেরা রাইড শেয়ারিং করে একটা আশার আলো দেখতে পেয়েছিলেন। কোনোরকম খেয়ে পরে বেঁচে ছিলেন। কিন্তু সরকারের হঠকারি সিদ্ধান্ত আবার তাদের পথে বসিয়েছে।

বক্তারা বলেন, বাড়িতে গেলে বাচ্চা কান্না করে জিজ্ঞাসা করে- বাবা চকলেট এনেছো। মা জিজ্ঞাসা করেন ওষুধ এনেছি কি না। কোথায় পাবো ওষুধ, চকলেট আর খাবার কেনার অর্থ।

আমরা তো অন্যায় কিছু করছি না। আমাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে তারপর আমাদের কর্ম কেড়ে নেন। নইলে এমন সিদ্ধান্তে আমাদের নিঃস্ব করে দেবেন না।

সরকারের উদ্দেশ্যে বক্তারা বলেন, করোনার ভয় আমাদেরও আছে। আমরাও নিরাপদে থাকতে চাই। কিন্তু না খেয়ে কি নিরাপদে থাকা যায়? উপার্জন করে জীবিকা নির্বাহ করতে চাই সেটা যদি না করতে দেন তাহলে আমাদের জীবিকা নির্বাহের ব্যবস্থা করে দেন। বন্ধ করার দায়িত্ব নেবেন আর বেঁচে থাকার দায়িত্ব নেবেন না তা হয় না।

বক্তারা বলেন, আমাদের এখন কাজে ব্যস্ত থাকার কথা। কিন্তু পথে বসে নিজেদের দাবি বাস্তবায়নের জন্যে চিৎকার করতে হচ্ছে। পরিবার কীভাবে চালাব, সেই চিন্তায় সময় পার করতে হচ্ছে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

থালা বাটি নিয়ে রাস্তায় মোটরসাইকেল চালকরা

আপডেট টাইম : ১১:৫৬:১৬ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ৪ এপ্রিল ২০২১

সময়ের কন্ঠ রিপোর্টার।।

অ্যাপভিত্তিক রাইড শেয়ারিং সেবা চালুর দাবিতে খালি থালা নিয়ে মোটরসাইকেল চালকরা মানববন্ধন করছেন। তাদের নানা দুর্ভোগ ও কষ্টের কথা তুলে বক্তব্য রাখছেন। ‘হয় অন্নের ব্যবস্থা নয় রাইড শেয়ারিং চালু করতে হবে’- বলে দাবি জানান দেশের তরুণ রাইডারেরা।

আজ রবিবার (৪ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে রাস্তায় সকাল থেকে এ মানববন্ধন করছেন তারা। রাইডারদের দাবি বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন। করোনা সংক্রমণরোধে গত বুধবার (৩১ মার্চ) রাইড শেয়ারিং সেবায় মোটরসাইকেলের মাধ্যমে যাত্রী পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।

মানববন্ধনে খালি থালা নিয়ে বসে এ কর্মসূচি পালন করেন মোটরসাইকেল চালকেরা। তারা বলেন, দেশে যখন কর্মসংস্থানের চরম সমস্যার সময়ে দেশের তরুণেরা রাইড শেয়ারিং করে একটা আশার আলো দেখতে পেয়েছিলেন। কোনোরকম খেয়ে পরে বেঁচে ছিলেন। কিন্তু সরকারের হঠকারি সিদ্ধান্ত আবার তাদের পথে বসিয়েছে।

বক্তারা বলেন, বাড়িতে গেলে বাচ্চা কান্না করে জিজ্ঞাসা করে- বাবা চকলেট এনেছো। মা জিজ্ঞাসা করেন ওষুধ এনেছি কি না। কোথায় পাবো ওষুধ, চকলেট আর খাবার কেনার অর্থ।

আমরা তো অন্যায় কিছু করছি না। আমাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে তারপর আমাদের কর্ম কেড়ে নেন। নইলে এমন সিদ্ধান্তে আমাদের নিঃস্ব করে দেবেন না।

সরকারের উদ্দেশ্যে বক্তারা বলেন, করোনার ভয় আমাদেরও আছে। আমরাও নিরাপদে থাকতে চাই। কিন্তু না খেয়ে কি নিরাপদে থাকা যায়? উপার্জন করে জীবিকা নির্বাহ করতে চাই সেটা যদি না করতে দেন তাহলে আমাদের জীবিকা নির্বাহের ব্যবস্থা করে দেন। বন্ধ করার দায়িত্ব নেবেন আর বেঁচে থাকার দায়িত্ব নেবেন না তা হয় না।

বক্তারা বলেন, আমাদের এখন কাজে ব্যস্ত থাকার কথা। কিন্তু পথে বসে নিজেদের দাবি বাস্তবায়নের জন্যে চিৎকার করতে হচ্ছে। পরিবার কীভাবে চালাব, সেই চিন্তায় সময় পার করতে হচ্ছে।