ঢাকা ০৫:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
আজমিরীগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্রকরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে নারী পুরুষসহ ৪০ জন আহত, বাড়ি-ঘর ও দোকানপাট ভাঙচুর ও লোটপাট। সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে এই প্রথমবারের মতো আজ নিজ জেলা চট্টগ্রামে আসলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস কোনাবাড়ী ফ্লাইওভার ব্রিজের মাথায় বাসের ধাক্কায় নারী শ্রমিক নিহত কর্নেল সোফিয়াকে ‘জঙ্গিদের বোন’ বলে বিতর্কের মুখে বিজেপি মন্ত্রী কালুরঘাট সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, নেই প্রধান উপদেষ্টার নাম আওয়ামী লীগসহ সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সব অনলাইন প্ল্যাটফর্ম বন্ধে বিটিআরসিকে চিঠি ঢাবির ছাত্রদল নেতা হত্যার ঘটনায় উপাচার্য–প্রক্টরের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ পাকিস্তানের আকাশ সীমায় নারীর হামলায় ভারত অধ্যাদেশ বাতিল চায় এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা, ৩ দিনের কলম বিরতি লক্ষ্মীপুর আল মুঈন মাদ্রসা থেকে ছাত্রের মরাদেহ উদ্ধার

মিয়ানমারের বিভিন্ন কারাগারে বন্দি থাকা ৮৫ বাংলাদেশি

অনলাইন রিপোর্ট
  • আপডেট টাইম : ০৬:০৯:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৮৮ ১৫০০০.০ বার পাঠক

বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরছেন। আর রাখাইন রাজ্যের অস্থিরতায় বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেওয়া ১২৩ জন মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি) এবং সেনা সদস্য বাংলাদেশীদের নিয়ে আসা জাহাজে ফেরত যাবে স্বদেশে। এমনটি জানিয়েছেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মুহাম্মদ আতাউল গনি ওসমানী।

অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আতাউল গনি জানান, রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়ার বিআইডব্লিউটিএর ঘাটে নিয়ে আসা হয় ১২৩ মিয়ানমার বিজিপি-সেনা সদস্যদের। আর ফেরত আসা বাংলাদেশীদের জন্য পৌঁছানোর অপেক্ষা করা হচ্ছে। এদেরকে নামিয়ে মিয়ানমারে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে জাহাজ আবার রওয়ানা হবে।

মুহাম্মদ আতাউল গনি বলেন, মিয়ানমারে কারাগারে বন্দি থাকা ৮৫ বাংলাদেশি কারাভোগ শেষে বাংলাদেশে ফিরছেন। একইসাথে ১২৩ জন মিয়ানমারের বিজিপি এবং সেনা সদস্য মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। এরমধ্যে ৮ জন সেনা সদস্য এবং ১১৫ জন বিজিপি সদস্য রয়েছে বলে জেনেছি।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন বলেন, অতীতের মতো এ বিষয়গুলোর প্রক্রিয়া পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে করা হয়েছে। আন্তঃবিভাগীয় সমন্বয়ে জেলা প্রশাসন, বিজিবি, কোস্ট গার্ড, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ করেছে। একইরকম প্রক্রিয়া এর আগেও কয়েক দফা হয়েছে।

সূত্র জানায়, ৮৫ জন বাংলাদেশির মধ্যে ২৬ জন মিয়ানমারের মলামাইন কারাগারে, ১৬ জন পাথেইন কারাগারে, ৩ জন চকমারউ কারাগারে এবং বাকিরা রাখাইনের বিভিন্ন কারাগারে ছিলেন। প্রত্যাবর্তনকারীদের মাঝে ৫৬ জন কক্সবাজারের বাসিন্দা। বাকিরা নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী এবং বান্দরবন, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী ও ঢাকা জেলার বাসিন্দা। যারা অবৈধ ভাবে নৌপথে বিদেশ যাওয়ার পথে আটক হয়ে কারান্তরিণ ছিলেন।

এর আগে, ১৫ ফেব্রুয়ারি ইনানী নৌবাহিনীর জেটিঘাট থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেয়া ৩৩০ বিজিপি, সেনা এবং কাস্টমস কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের ফেরত পাঠানো হয়েছিলো। এরপর ২৫ এপ্রিল কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়ার বিআইডব্লিউটিএ ঘাট থেকে ২৮৮ সেনা ও বিজিপি ফেরত পাঠানো হয় এবং ১৭৩ বাংলাদেশি নাগরিক বাংলাদেশে ফেরত আসে।

এরপর সর্বশেষ ৮ জুন একই ঘাট থেকে ১৩৪ জন বিজিপি এবং সেনা সদস্য মিয়ানমারে ফেরত যায় এবং মিয়ানমার থেকে ফেরত আসে ৪৫ জন বাংলাদেশি নাগরিক। আর আজ ১২৩ জন ফেরত গিয়ে আসছেন ৮৫ বাংলাদেশি।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

মিয়ানমারের বিভিন্ন কারাগারে বন্দি থাকা ৮৫ বাংলাদেশি

আপডেট টাইম : ০৬:০৯:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরছেন। আর রাখাইন রাজ্যের অস্থিরতায় বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেওয়া ১২৩ জন মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি) এবং সেনা সদস্য বাংলাদেশীদের নিয়ে আসা জাহাজে ফেরত যাবে স্বদেশে। এমনটি জানিয়েছেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মুহাম্মদ আতাউল গনি ওসমানী।

অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আতাউল গনি জানান, রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়ার বিআইডব্লিউটিএর ঘাটে নিয়ে আসা হয় ১২৩ মিয়ানমার বিজিপি-সেনা সদস্যদের। আর ফেরত আসা বাংলাদেশীদের জন্য পৌঁছানোর অপেক্ষা করা হচ্ছে। এদেরকে নামিয়ে মিয়ানমারে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে জাহাজ আবার রওয়ানা হবে।

মুহাম্মদ আতাউল গনি বলেন, মিয়ানমারে কারাগারে বন্দি থাকা ৮৫ বাংলাদেশি কারাভোগ শেষে বাংলাদেশে ফিরছেন। একইসাথে ১২৩ জন মিয়ানমারের বিজিপি এবং সেনা সদস্য মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। এরমধ্যে ৮ জন সেনা সদস্য এবং ১১৫ জন বিজিপি সদস্য রয়েছে বলে জেনেছি।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন বলেন, অতীতের মতো এ বিষয়গুলোর প্রক্রিয়া পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে করা হয়েছে। আন্তঃবিভাগীয় সমন্বয়ে জেলা প্রশাসন, বিজিবি, কোস্ট গার্ড, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ করেছে। একইরকম প্রক্রিয়া এর আগেও কয়েক দফা হয়েছে।

সূত্র জানায়, ৮৫ জন বাংলাদেশির মধ্যে ২৬ জন মিয়ানমারের মলামাইন কারাগারে, ১৬ জন পাথেইন কারাগারে, ৩ জন চকমারউ কারাগারে এবং বাকিরা রাখাইনের বিভিন্ন কারাগারে ছিলেন। প্রত্যাবর্তনকারীদের মাঝে ৫৬ জন কক্সবাজারের বাসিন্দা। বাকিরা নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী এবং বান্দরবন, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী ও ঢাকা জেলার বাসিন্দা। যারা অবৈধ ভাবে নৌপথে বিদেশ যাওয়ার পথে আটক হয়ে কারান্তরিণ ছিলেন।

এর আগে, ১৫ ফেব্রুয়ারি ইনানী নৌবাহিনীর জেটিঘাট থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেয়া ৩৩০ বিজিপি, সেনা এবং কাস্টমস কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের ফেরত পাঠানো হয়েছিলো। এরপর ২৫ এপ্রিল কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়ার বিআইডব্লিউটিএ ঘাট থেকে ২৮৮ সেনা ও বিজিপি ফেরত পাঠানো হয় এবং ১৭৩ বাংলাদেশি নাগরিক বাংলাদেশে ফেরত আসে।

এরপর সর্বশেষ ৮ জুন একই ঘাট থেকে ১৩৪ জন বিজিপি এবং সেনা সদস্য মিয়ানমারে ফেরত যায় এবং মিয়ানমার থেকে ফেরত আসে ৪৫ জন বাংলাদেশি নাগরিক। আর আজ ১২৩ জন ফেরত গিয়ে আসছেন ৮৫ বাংলাদেশি।