ঢাকা ১১:১৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
মোংলায় যৌথ অভিযানে প্রায় ২ কোটি টাকা মূল্যের বিপুল পরিমাণ অবৈধ পলিথিন ও সিমফ্রাই জাল জব্দ আধ্যাত্মিক সাধনার দিগন্ত “খানকায়ে আহমদিয়া” সৌদির সঙ্গে মিলে রেখে ১১ জেলায় ঈদ উদযাপন এপ্রিলের প্রথমার্ধে নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা কখন কুরবানির পশু জবাই করা উত্তম? লক্ষ্মীপুরে রড দিয়ে পিটিয়ে মসজিদের ইমামকে হত্যা করলেন বিএনপির সন্ত্রাসীবাহিনী ফুলবাড়ীতে শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট ঈদের ঘরমুখো মানুষের ঢল, যানবাহনের সংকটে চন্দ্রা মোড়ে দুর্ভোগ চরমে ঈদের দুই দিন আগে ছুটি: ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ঘরমুখো মানুষের চাপ, হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ: আইজিপি মহাসড়কে জরুরি সেবার জন্য ‘হ্যালো অ্যাপ’ চালু: এক ক্লিকেই মিলবে হাইওয়ে পুলিশের সহায়তা

ইসলাম বিশ্বমানবের মুক্তির ঠিকানা

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট
  • আপডেট টাইম : ০৬:৩২:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ১৫৩ ১৫০.০০০ বার পাঠক

সন্ত্রাসের করাল গ্রাসে বিশ্ব আজ উৎকণ্ঠিত। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বিশ্বের সব রাষ্ট্র ও সরকার সোচ্চার। এত কিছুর পরও সন্ত্রাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বময়। প্রশ্ন আসে, সন্ত্রাস কেন নির্মূল করা যাচ্ছে না? কার পৃষ্ঠপোষকতায় এরা সাদরে লালিত হচ্ছে? বিশ্বের বুকে এরা টিকে আছে কীভাবে? এতসব প্রত্যক্ষ প্রশ্নের উত্তর হাতড়ানো ছাড়াই নির্দ্বিধায় বলা যায়, ইসলাম শূন্যতা ও আল্লাহবিমুখতাই এসবের একমাত্র কারণ। ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা যে পেয়েছে, সন্ত্রাস সে কখনো কোনো অন্যায় অসৎ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত হতে পারে না।

ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো দর্শনই মানুষকে পরিপূর্ণভাবে পাপমুক্ত রাখতে পারে না। ইসলাম নির্দেশিত পন্থায় আইনব্যবস্থা পরিচালিত হলে সন্ত্রাস নির্মূল হতে বাধ্য হবে। পাপী বাধ্য হয়েই পাপাচার ও অন্যায়ের পথ পরিহার করবে। কারণ, ইসলামি বিধানে শান্তি ও নিরাপত্তার অনাবিল সুর প্রতিধ্বনিত। অন্যায় অবিচার প্রশ্রয় পাওয়ার কিছুই তাতে নেই। স্থান মাফিক কঠোরতাও তাতে বিদ্যমান। তাই সন্ত্রাস ও যথেচ্ছাচারের বিরুদ্ধে ইসলাম সব সময় প্রতিবাদী ভূমিকায়। এবার কুরআন ও হাদিসের দিকে লক্ষ করি-হত্যা, রক্তারক্তি আর অন্যায়ের বিরুদ্ধে পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘মুমিনদের দুটি দল আত্মকলহে লিপ্ত হলে তাদের মধ্যে মীমাংসা করে দেবে। অতঃপর তাদের এক দল যদি অন্য দলের ওপর আক্রমণ করে, তবে আক্রমণকারী দলের বিরুদ্ধে তোমরা যুদ্ধ করবে, যতক্ষণ না তারা আল্লাহর নির্দেশের দিকে ফিরে আসে। সুতরাং যদি ফিরে আসে তবে তাদের মধ্যে ন্যায়সঙ্গতভাবে মীমাংসা করে দেবে এবং ইনসাফ করবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ ইনসাফকারীদের ভালোবাসেন। (সূরা হুজুরাত : ৯)। মীমাংসা ও আইনের আশ্রয় না নিয়ে সামাজিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে সন্ত্রাসবাদীরা যে নারকীয় তাণ্ডবের সৃষ্টি করে কুরআন তাদের বিরুদ্ধে সম্মিলিত লড়াইয়ের কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে। অন্য আয়াতে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি কোনো মুসলিমকে জেনেশুনে হত্যা করবে, তার শাস্তি জাহান্নাম, সে তাতে চিরকাল থাকবে এবং আল্লাহ তার প্রতি গজব নাজিল করবেন ও তাকে লানত করবেন। আর আল্লাহ তার জন্য প্রস্তুত রেখেছেন মহাশাস্তি।’ (সূরা নিসা : ৯৩)।

হজরত আবু সাঈদ খুদরী ও হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, মহানবি (সা.) বলেছেন, ‘আসমান ও জমিনের সব বাসিন্দা মিলেও যদি একজন মুমিনকে হত্যা করার ব্যাপারে শরিক থাকে তবে তাদের সবাইকে আল্লাহতায়ালা জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন। (সুনানে তিরমিজি : ১/২৫৯)।

হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, প্রিয়নবি (সা.) বলেছেন, ‘কিয়ামতের দিন প্রথম যে বিষয়ে বিচার করা হবে তা হলো খুন অর্থাৎ হত্যাকাণ্ড।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ইসলাম বিশ্বমানবের মুক্তির ঠিকানা

আপডেট টাইম : ০৬:৩২:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সন্ত্রাসের করাল গ্রাসে বিশ্ব আজ উৎকণ্ঠিত। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বিশ্বের সব রাষ্ট্র ও সরকার সোচ্চার। এত কিছুর পরও সন্ত্রাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বময়। প্রশ্ন আসে, সন্ত্রাস কেন নির্মূল করা যাচ্ছে না? কার পৃষ্ঠপোষকতায় এরা সাদরে লালিত হচ্ছে? বিশ্বের বুকে এরা টিকে আছে কীভাবে? এতসব প্রত্যক্ষ প্রশ্নের উত্তর হাতড়ানো ছাড়াই নির্দ্বিধায় বলা যায়, ইসলাম শূন্যতা ও আল্লাহবিমুখতাই এসবের একমাত্র কারণ। ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা যে পেয়েছে, সন্ত্রাস সে কখনো কোনো অন্যায় অসৎ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত হতে পারে না।

ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো দর্শনই মানুষকে পরিপূর্ণভাবে পাপমুক্ত রাখতে পারে না। ইসলাম নির্দেশিত পন্থায় আইনব্যবস্থা পরিচালিত হলে সন্ত্রাস নির্মূল হতে বাধ্য হবে। পাপী বাধ্য হয়েই পাপাচার ও অন্যায়ের পথ পরিহার করবে। কারণ, ইসলামি বিধানে শান্তি ও নিরাপত্তার অনাবিল সুর প্রতিধ্বনিত। অন্যায় অবিচার প্রশ্রয় পাওয়ার কিছুই তাতে নেই। স্থান মাফিক কঠোরতাও তাতে বিদ্যমান। তাই সন্ত্রাস ও যথেচ্ছাচারের বিরুদ্ধে ইসলাম সব সময় প্রতিবাদী ভূমিকায়। এবার কুরআন ও হাদিসের দিকে লক্ষ করি-হত্যা, রক্তারক্তি আর অন্যায়ের বিরুদ্ধে পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘মুমিনদের দুটি দল আত্মকলহে লিপ্ত হলে তাদের মধ্যে মীমাংসা করে দেবে। অতঃপর তাদের এক দল যদি অন্য দলের ওপর আক্রমণ করে, তবে আক্রমণকারী দলের বিরুদ্ধে তোমরা যুদ্ধ করবে, যতক্ষণ না তারা আল্লাহর নির্দেশের দিকে ফিরে আসে। সুতরাং যদি ফিরে আসে তবে তাদের মধ্যে ন্যায়সঙ্গতভাবে মীমাংসা করে দেবে এবং ইনসাফ করবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ ইনসাফকারীদের ভালোবাসেন। (সূরা হুজুরাত : ৯)। মীমাংসা ও আইনের আশ্রয় না নিয়ে সামাজিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে সন্ত্রাসবাদীরা যে নারকীয় তাণ্ডবের সৃষ্টি করে কুরআন তাদের বিরুদ্ধে সম্মিলিত লড়াইয়ের কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে। অন্য আয়াতে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি কোনো মুসলিমকে জেনেশুনে হত্যা করবে, তার শাস্তি জাহান্নাম, সে তাতে চিরকাল থাকবে এবং আল্লাহ তার প্রতি গজব নাজিল করবেন ও তাকে লানত করবেন। আর আল্লাহ তার জন্য প্রস্তুত রেখেছেন মহাশাস্তি।’ (সূরা নিসা : ৯৩)।

হজরত আবু সাঈদ খুদরী ও হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, মহানবি (সা.) বলেছেন, ‘আসমান ও জমিনের সব বাসিন্দা মিলেও যদি একজন মুমিনকে হত্যা করার ব্যাপারে শরিক থাকে তবে তাদের সবাইকে আল্লাহতায়ালা জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন। (সুনানে তিরমিজি : ১/২৫৯)।

হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, প্রিয়নবি (সা.) বলেছেন, ‘কিয়ামতের দিন প্রথম যে বিষয়ে বিচার করা হবে তা হলো খুন অর্থাৎ হত্যাকাণ্ড।