ঢাকা ০৭:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
গণহত্যায় শহীদ পরিবার পাবে ৫ লাখ টাকা বরাবর, মাননীয় – প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এবং সেনাপ্রধান – বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মঠবাড়িয়া পৌরসভার সারে ৫১ কোটি টাকার পানি প্রকল্পে অর্থ আত্মসাৎ আগারগাঁও-মতিঝিল রুটে মেট্রোরেল চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ মোদি অসাধারণ, তার সঙ্গে বৈঠক আগামী সপ্তাহে: ট্রাম্প অনুপস্থিত পুলিশ সদস্যদের চাকরিতে যোগদান করতে দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পেল সেনাবাহিনী উচ্ছ্বসিত যুবকেরা একটি পুলের মধ্যে আনন্দে মেতেছে, কেউ কেউ গায়ে সাবান মেখে উল্লাস করছে ময়মনসিংহে জিএম কাদের এর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে বিক্ষোভ ও স্মারকলিপি প্রদান

ভারতের সাথে আদানির সঙ্গে বিদ্যুৎ চুক্তি যাচাই-বাছাই করছে বাংলাদেশ

অনলাইন রিপোর্ট
  • আপডেট টাইম : ০৯:৪৮:১৭ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ১০ ৫০০০.০ বার পাঠক

আদানি গ্রুপের সঙ্গে করা বিদ্যুৎ চুক্তিটি যাচাই-বাছাই করছে ড. মুহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার ।

২০১৭ সালে তৎকালীন শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার আদানি গ্রুপের সঙ্গে তাদের ঝাড়খন্ড ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তিটি করে। বৃহস্পতিবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে এ দাবি করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকার চুক্তির শর্তাবলি এবং বিদ্যুতের জন্য যে মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে, তা ন্যায্য কি না সেটি মূলত খতিয়ে দেখতে চায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অন্তর্বর্তী সরকারের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, আদানি গ্রুপের মতো ভারতীয় কোম্পানিগুলোর সঙ্গে করা চুক্তি যাচাই-বাছাই করা হবে। তাদের সঙ্গে কী ধরনের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে? কী শর্তাবলি দেওয়া হয়েছে? দেশের আইন না মেনে বিদেশি কোম্পানি থাকতে পারে না।

ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, তাই সেসব তদন্ত হবে; এটি ভারতীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে লক্ষ্য করা হবে না। তারা এখানে (বাংলাদেশ) যা যা করছে, সেগুলো যাচাই-বাছাই করা হবে। এজন্য বাংলাদেশকে কত মূল্য দিতে হচ্ছে, সেটা কি ন্যায়সঙ্গত? এসব প্রশ্ন উঠে আসবে।

২০১৭ সালের নভেম্বরে আদানি পাওয়ার লিমিটেডের ঝাড়খণ্ড ইউনিটের (এপিজেএল) সঙ্গে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ২৫ বছরের জন্য ১৪৯৬ মেগাওয়াট (নেট) বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এর আওতায় এজেপিএলের গোড্ডা প্ল্যান্ট থেকে উৎপাদিত শতভাগ বিদ্যুৎ কিনে নেবে বাংলাদেশ। সম্পূর্ণ আমদানি করা কয়লায় পরিচালিত এই ইউনিটকে ২০১৯ সালের মার্চ ভারত সরকার বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করে।

২০২৩ সালের এপ্রিল-জুনে গোড্ডা প্ল্যান্ট সম্পূর্ণরূপে বাণিজ্যিকভাবে চালু হয়। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বাংলাদেশের বেস লোডের ৭ থেকে ১০ শতাংশ সরবরাহ করে।

যোগাযোগ করা হলে আদানি পাওয়ারের একজন মুখপাত্র বলেন, বাংলাদেশ সরকার আমাদের চুক্তিটি পর্যালোচনা করছে, এমন কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই। সত্যিকারের অংশীদারিত্বের মূল্যবোধ থেকে তাদের কাছে বিপুল পাওনা থাকা সত্ত্বেও আমরা বিদ্যুৎ সরবরাহ চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ রাখছি এবং তাদের কাছে আমাদের পাওনা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য অনুরোধ করেছি। কারণ, এটি আমাদের কার্যক্রমকে ব্যাহত করছে।

টাকার অঙ্ক হিসাব করলে বাংলাদেশকে বিদ্যুৎ রফতানি করে ১০০ কোটি মার্কিন ডলারেরও বেশি অর্থমূল্যের ব্যবসা করেছে ভারত। যা ভারত থেকে বাংলাদেশে মোট রফতানি বাণিজ্যের প্রায় ১০ শতাংশ।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ভারতের সাথে আদানির সঙ্গে বিদ্যুৎ চুক্তি যাচাই-বাছাই করছে বাংলাদেশ

আপডেট টাইম : ০৯:৪৮:১৭ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আদানি গ্রুপের সঙ্গে করা বিদ্যুৎ চুক্তিটি যাচাই-বাছাই করছে ড. মুহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার ।

২০১৭ সালে তৎকালীন শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার আদানি গ্রুপের সঙ্গে তাদের ঝাড়খন্ড ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তিটি করে। বৃহস্পতিবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে এ দাবি করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকার চুক্তির শর্তাবলি এবং বিদ্যুতের জন্য যে মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে, তা ন্যায্য কি না সেটি মূলত খতিয়ে দেখতে চায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অন্তর্বর্তী সরকারের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, আদানি গ্রুপের মতো ভারতীয় কোম্পানিগুলোর সঙ্গে করা চুক্তি যাচাই-বাছাই করা হবে। তাদের সঙ্গে কী ধরনের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে? কী শর্তাবলি দেওয়া হয়েছে? দেশের আইন না মেনে বিদেশি কোম্পানি থাকতে পারে না।

ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, তাই সেসব তদন্ত হবে; এটি ভারতীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে লক্ষ্য করা হবে না। তারা এখানে (বাংলাদেশ) যা যা করছে, সেগুলো যাচাই-বাছাই করা হবে। এজন্য বাংলাদেশকে কত মূল্য দিতে হচ্ছে, সেটা কি ন্যায়সঙ্গত? এসব প্রশ্ন উঠে আসবে।

২০১৭ সালের নভেম্বরে আদানি পাওয়ার লিমিটেডের ঝাড়খণ্ড ইউনিটের (এপিজেএল) সঙ্গে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ২৫ বছরের জন্য ১৪৯৬ মেগাওয়াট (নেট) বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এর আওতায় এজেপিএলের গোড্ডা প্ল্যান্ট থেকে উৎপাদিত শতভাগ বিদ্যুৎ কিনে নেবে বাংলাদেশ। সম্পূর্ণ আমদানি করা কয়লায় পরিচালিত এই ইউনিটকে ২০১৯ সালের মার্চ ভারত সরকার বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করে।

২০২৩ সালের এপ্রিল-জুনে গোড্ডা প্ল্যান্ট সম্পূর্ণরূপে বাণিজ্যিকভাবে চালু হয়। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বাংলাদেশের বেস লোডের ৭ থেকে ১০ শতাংশ সরবরাহ করে।

যোগাযোগ করা হলে আদানি পাওয়ারের একজন মুখপাত্র বলেন, বাংলাদেশ সরকার আমাদের চুক্তিটি পর্যালোচনা করছে, এমন কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই। সত্যিকারের অংশীদারিত্বের মূল্যবোধ থেকে তাদের কাছে বিপুল পাওনা থাকা সত্ত্বেও আমরা বিদ্যুৎ সরবরাহ চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ রাখছি এবং তাদের কাছে আমাদের পাওনা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য অনুরোধ করেছি। কারণ, এটি আমাদের কার্যক্রমকে ব্যাহত করছে।

টাকার অঙ্ক হিসাব করলে বাংলাদেশকে বিদ্যুৎ রফতানি করে ১০০ কোটি মার্কিন ডলারেরও বেশি অর্থমূল্যের ব্যবসা করেছে ভারত। যা ভারত থেকে বাংলাদেশে মোট রফতানি বাণিজ্যের প্রায় ১০ শতাংশ।