ঢাকা ১১:১৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
জেলা বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে ফুলবাড়ীতে মানবন্ধন ভৈরবে সুইচ গিয়ার এক ছিনতাইকারী কে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১৪ ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহারের বিশুদ্ধানন্দ – শুভানন্দ অডিটোরিয়াম অনুষ্ঠিত ২০২৫ সাজেকে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে একাধিক কটেজ ও রেস্টুরেন্টে রমজানে সরকারি অফিসের সময়সূচি ঘোষণা মুসলিম ‘গণহত্যা’র জন্য ক্ষমা চাইলেন সাবেক থাই প্রধানমন্ত্রী সাবেক আইজিপিসহ ১০৩ পুলিশ কর্মকর্তার বিপিএম-পিপিএম পদক প্রত্যাহার এবার বিপ্লব কুমার সরকার ও মেহেদি হাসান বরখাস্ত ছাত্রীনিবাস থেকে ঢাবি ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার আজমিরীগঞ্জে সিএনজি স্ট্যান্ড দখল নিয় সংঘর্ষ। আহত অর্ধ শতাধিক

মাদারীপুরের অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র শকুনী লেক

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৬:০১:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ মার্চ ২০২১
  • / ২৬১ ৫০০০.০ বার পাঠক

মাদারীপুর অনলাইন রিপোর্ট।।

সারাদিনের কর্মব্যস্তত, ক্লান্তি আর অবসাদ দূর করতে মানুষ খোঁজে একটু বিনোদন। আর বিনোদনের স্থানটি যদি হয় সুস্থ, সুন্দর ও মননশীল তবে তা ব্যক্তির জন্য হয়ে দাঁড়ায় বিশাল পাওয়া। মাদারীপুরে তেমনই এক বিনোদন কেন্দ্রর নাম শকুনী লেক। মাদারীপুরের সর্বস্তরের মানুষের বিনোদনের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু এই লেক। দিনের অধিকাংশ সময়েই শিশু, তরুণ, যুবক ও সব ধরনের লোকের পদচারণায় মুখর থাকে লেকটি। সকালে নানা শ্রেণী, পেশা ও বয়সের মানুষ হাটতে আসে এখানে। আর বিকেল হলেই শুরু হয়ে যায় দর্শনার্থীদের আনাগোনা। দর্শনার্থীরা লেকের অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করে মনভরে। বিশেষ দিনগুলোতে তিল পরিমান জায়গা খালি থাকে না ঐতিহ্যবাহী এই লেকের।শুধু মাদারীপুর নয় আশে-পাশের জেলা থেকেও দর্শনার্থীরা আসেন লেকের অপরূপ সৌন্দর্য দেখতে। লেকের পাড়ে গড়ে উঠেছে অনেকগুলো হোটেল ও রেস্টুরেন্ট।যাতে কর্মসংস্থান হয়েছে বেশ কিছু মানুষের। প্রশাসন সূএে জানা যায়, শহরের প্রানকেন্দ্রে অবস্থিত এই লেকটির আয়তন ১,০১,১৭২ বর্গমিটার। লেকটির দৈর্ঘ্য ৪৮৬ মিটার ও প্রস্থ ১৯৮ মিটার। পদ্মা ও আড়িয়াল খাঁ নদীর  ভাঙন  রক্ষায় ১৯৪৩ সালে লেকটি খনন করে এর চারপাশে নতুন শহর স্থাপন করা হয়। চল্লিশের দশকে এ অঞ্চলে মাটিকাটা শ্রমিকের অভাব থাকায় ২০ একর আয়তনের এই  লেক খনন করার জন্য তৎকালীন  ব্রিটিশ প্রশাসন ভারতের বিহার ও উড়িষ্যা অঞ্চল থেকে দুই হাজার শ্রমিক ভাড়া করে আনে। ৯ মাসে লেকের খনন কাজ শেষ হয়। এটি এ অঞ্চলের দীর্ঘতম লেক হিসেবে পরিচিত। পরব
পরবর্তীতে  মাদারীপুর পৌরসভা ২০১৩ সালে ২২ কোটি টাকা ব্যয়ে লেকটির সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ শেষ করে। লেকটিতে রয়েছে বঙ্গবন্ধু মুর‍্যাল, শহীদ কানন চত্তর, শিশুপার্ক, স্বাধীনতা অঙ্গন, এমপি থিয়েটার মঞ্চ, শান্তি ঘাটলা, পানাহারসহ মাদারীপুর ঘড়ি নামে একটি ওয়াচ টাওয়ার। স্থানীয়দের মতে, ভবিষ্যতে লেকটি শুধু মাদারীপুরের নয় বরং অএ অঞ্চলের অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র ও দর্শনীয় স্থান  হিসেবে পরিগনিত হবে।
আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

মাদারীপুরের অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র শকুনী লেক

আপডেট টাইম : ০৬:০১:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ মার্চ ২০২১

মাদারীপুর অনলাইন রিপোর্ট।।

সারাদিনের কর্মব্যস্তত, ক্লান্তি আর অবসাদ দূর করতে মানুষ খোঁজে একটু বিনোদন। আর বিনোদনের স্থানটি যদি হয় সুস্থ, সুন্দর ও মননশীল তবে তা ব্যক্তির জন্য হয়ে দাঁড়ায় বিশাল পাওয়া। মাদারীপুরে তেমনই এক বিনোদন কেন্দ্রর নাম শকুনী লেক। মাদারীপুরের সর্বস্তরের মানুষের বিনোদনের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু এই লেক। দিনের অধিকাংশ সময়েই শিশু, তরুণ, যুবক ও সব ধরনের লোকের পদচারণায় মুখর থাকে লেকটি। সকালে নানা শ্রেণী, পেশা ও বয়সের মানুষ হাটতে আসে এখানে। আর বিকেল হলেই শুরু হয়ে যায় দর্শনার্থীদের আনাগোনা। দর্শনার্থীরা লেকের অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করে মনভরে। বিশেষ দিনগুলোতে তিল পরিমান জায়গা খালি থাকে না ঐতিহ্যবাহী এই লেকের।শুধু মাদারীপুর নয় আশে-পাশের জেলা থেকেও দর্শনার্থীরা আসেন লেকের অপরূপ সৌন্দর্য দেখতে। লেকের পাড়ে গড়ে উঠেছে অনেকগুলো হোটেল ও রেস্টুরেন্ট।যাতে কর্মসংস্থান হয়েছে বেশ কিছু মানুষের। প্রশাসন সূএে জানা যায়, শহরের প্রানকেন্দ্রে অবস্থিত এই লেকটির আয়তন ১,০১,১৭২ বর্গমিটার। লেকটির দৈর্ঘ্য ৪৮৬ মিটার ও প্রস্থ ১৯৮ মিটার। পদ্মা ও আড়িয়াল খাঁ নদীর  ভাঙন  রক্ষায় ১৯৪৩ সালে লেকটি খনন করে এর চারপাশে নতুন শহর স্থাপন করা হয়। চল্লিশের দশকে এ অঞ্চলে মাটিকাটা শ্রমিকের অভাব থাকায় ২০ একর আয়তনের এই  লেক খনন করার জন্য তৎকালীন  ব্রিটিশ প্রশাসন ভারতের বিহার ও উড়িষ্যা অঞ্চল থেকে দুই হাজার শ্রমিক ভাড়া করে আনে। ৯ মাসে লেকের খনন কাজ শেষ হয়। এটি এ অঞ্চলের দীর্ঘতম লেক হিসেবে পরিচিত। পরব
পরবর্তীতে  মাদারীপুর পৌরসভা ২০১৩ সালে ২২ কোটি টাকা ব্যয়ে লেকটির সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ শেষ করে। লেকটিতে রয়েছে বঙ্গবন্ধু মুর‍্যাল, শহীদ কানন চত্তর, শিশুপার্ক, স্বাধীনতা অঙ্গন, এমপি থিয়েটার মঞ্চ, শান্তি ঘাটলা, পানাহারসহ মাদারীপুর ঘড়ি নামে একটি ওয়াচ টাওয়ার। স্থানীয়দের মতে, ভবিষ্যতে লেকটি শুধু মাদারীপুরের নয় বরং অএ অঞ্চলের অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র ও দর্শনীয় স্থান  হিসেবে পরিগনিত হবে।