রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে সকাল আটটার দিকে বাহারুর বাদশা নামে এক কয়েদীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় কয়েদিদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করে। পরে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় রংপুর জেলা প্রশাসক মোবাশ্বের হাসান ও ৬৬ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা কারাগারের ভেতরে অবস্থান করছেন। তারা বন্দিদের বোঝানোর চেষ্টা করছেন। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, রংপুরের পীরগঞ্জের বাহাদুর মিয়ার ছেলে বাহারুল কারাবন্দী ছিলেন। সকালে তার মৃত্যুর ঘটনায় বন্দিদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় কারাগারের ভেতরে উত্তেজনা শুরু হলে পুলিশ ফাঁকা গুলি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আজ সকাল সোয়া ৮টার পর কারাগারের ভেতরের গাছ থেকে আমড়া পেড়ে খাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুজন কয়েদির মধ্যে ঝগড়া বাধে। এই দুই কয়েদি হলেন বাহার ও রফিকুল। বিবাদের একপর্যায়ে রফিকুল বাহারকে লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। কারাগারের নার্স এসে বাহারের শরীরের পালস পাচ্ছিলেন না। তাঁকে দ্রুত রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক বাহারকে মৃত ঘোষণা করেন।
গোলাগুলির বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান বলেন, কয়েদির মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে কারাগারের ভেতরের কয়েদিরা প্রধান ফটক ধাক্কাধাক্কি করার চেষ্টা করলে কারারক্ষীরা ফাঁকা গুলি ছোড়েন। তিনি আরও বলেন, বিষয়টি জানার পর তাৎক্ষণিকভাবে কারাগারে ছুটে আসেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অনেক সদস্য ঘটনাস্থলে আছেন। পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা চলছে।
এদিকে, কারাগারের বাইরে র্যাব পুলিশের পাশাপাশি সতর্ক অবস্থায় রয়েছে সেনা সদস্যরা।