ঢাকা ০২:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ মার্চ ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
জাতীয় ঈদগাহে ঈদের জামাতে অংশ নিতে পারেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন পর্যায়ে প্রবেশ করবে: ড. ইউনূস ভারত মহাসাগরের যে ঘাঁটি থেকে ইরানকে টার্গেট করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে অটোরিকশা শ্রমিকের মৃত্যু গাজীপুরে পিকআপ-ট্রাক সংঘর্ষ, নিহত -২ ফের যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা উঁকি দিচ্ছে গাজায় ইংল্যান্ডে ঘাপটি মেরে আছে জার্মানির গুপ্তচর নিরাপদ সড়ক চাই ফুলবাড়ী শাখার উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত মঠবাড়িয়ায় এ আর মামুন খানের উদ্যোগে ছয় সাংবাদিক সংগঠনের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত মোংলায় সাংবাদিকদের সম্মানে শেখ ফরিদুল ইসলামের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

একই জায়গায় আ. লীগ ও ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি, চট্টগ্রামে উত্তেজনা ১৪৪ ধারা জারি করেছেন পুলিশ 

নিজস্ব প্রতিবেদক চট্টগ্রাম অফিস
  • আপডেট টাইম : ০৫:১২:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ অগাস্ট ২০২৪
  • / ১৩৫ ৫০০০.০ বার পাঠক
চট্টগ্রামের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মোতায়েন ছিল অতিরিক্ত পুলিশ। ছবি:  অফিস /সময়ের কন্ঠ

বন্দরনগরীর নিউমার্কেট এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কর্মসূচি ঘোষণা করায় চট্টগ্রামে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

আজ সকাল ১১টায় আন্দোলনকারীরা নিউমার্কেট এলাকায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে এবং আওয়ামী লীগও একই সময়ে একই স্থানে গণসমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যেকোনো ধরনের সংঘর্ষ এড়াতে তারা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে থেকে পেশাগতভাবে দায়িত্ব পালন করবেন।

তবে সূত্র জানায়, সংঘর্ষ এড়াতে অনুষ্ঠানস্থল নিউমার্কেট এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হতে পারে।

এ প্রসঙ্গে সিএমপির জনসংযোগ কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত উপ-কমিশনার কাজী মো. তারেক আজিজ বলেন, ‘জনগণের জানমাল রক্ষায় পুলিশ সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবে।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কর্মসূচির আন্দোলনকারীরা গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর বাসভবন, আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন বাচ্চুর কার্যালয় ও চট্টগ্রাম সিটি মেয়রের বাসভবনে হামলার পর বন্দরনগরীতে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

বহদ্দারহাট এলাকায় মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর বাসভবনে হামলা চালালে পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মোট চারজন আহত হন এবং তাদের মধ্যে পশ্চিম বাকালিয়া ওয়ার্ডের রসুলবাগ এলাকার বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম শহীদ একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

এ ঘটনার পর আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, বিএনপির চট্টগ্রাম মহানগর আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ ও বিএনপি চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি শাহাদাত হোসেনসহ চার বিএনপি নেতার বাসায় ভাঙচুর চালায়।

তবে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ নেতারা দাবি করেন, এই ঘটনায় তাদের কেউ জড়িত নন।

চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আমরা সবাই সেই সময় শিক্ষামন্ত্রীর বাসায় ছিলাম। তার বাসায় হামলা হওয়ায় আমরা দেখতে গিয়েছিলাম। আমাদের কেউ বিএনপি নেতাদের বাসায় হামলা করতে যায়নি।’

আরও

চট্টগ্রামের নিউমার্কেট মোড়ে ছাত্র-জনতার সমাবেশ

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

একই জায়গায় আ. লীগ ও ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি, চট্টগ্রামে উত্তেজনা ১৪৪ ধারা জারি করেছেন পুলিশ 

আপডেট টাইম : ০৫:১২:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ অগাস্ট ২০২৪
চট্টগ্রামের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মোতায়েন ছিল অতিরিক্ত পুলিশ। ছবি:  অফিস /সময়ের কন্ঠ

বন্দরনগরীর নিউমার্কেট এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কর্মসূচি ঘোষণা করায় চট্টগ্রামে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

আজ সকাল ১১টায় আন্দোলনকারীরা নিউমার্কেট এলাকায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে এবং আওয়ামী লীগও একই সময়ে একই স্থানে গণসমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যেকোনো ধরনের সংঘর্ষ এড়াতে তারা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে থেকে পেশাগতভাবে দায়িত্ব পালন করবেন।

তবে সূত্র জানায়, সংঘর্ষ এড়াতে অনুষ্ঠানস্থল নিউমার্কেট এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হতে পারে।

এ প্রসঙ্গে সিএমপির জনসংযোগ কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত উপ-কমিশনার কাজী মো. তারেক আজিজ বলেন, ‘জনগণের জানমাল রক্ষায় পুলিশ সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবে।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কর্মসূচির আন্দোলনকারীরা গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর বাসভবন, আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন বাচ্চুর কার্যালয় ও চট্টগ্রাম সিটি মেয়রের বাসভবনে হামলার পর বন্দরনগরীতে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

বহদ্দারহাট এলাকায় মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর বাসভবনে হামলা চালালে পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মোট চারজন আহত হন এবং তাদের মধ্যে পশ্চিম বাকালিয়া ওয়ার্ডের রসুলবাগ এলাকার বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম শহীদ একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

এ ঘটনার পর আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, বিএনপির চট্টগ্রাম মহানগর আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ ও বিএনপি চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি শাহাদাত হোসেনসহ চার বিএনপি নেতার বাসায় ভাঙচুর চালায়।

তবে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ নেতারা দাবি করেন, এই ঘটনায় তাদের কেউ জড়িত নন।

চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আমরা সবাই সেই সময় শিক্ষামন্ত্রীর বাসায় ছিলাম। তার বাসায় হামলা হওয়ায় আমরা দেখতে গিয়েছিলাম। আমাদের কেউ বিএনপি নেতাদের বাসায় হামলা করতে যায়নি।’

আরও

চট্টগ্রামের নিউমার্কেট মোড়ে ছাত্র-জনতার সমাবেশ