ঢাকা ১০:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান অসুস্থ,হাজত থেকে হাসপাতালে প্রেরণ দরিদ্র মানুষের পাশে থেকে কাজ করতে চাই: জহিরুল ইসলাম। তালতলীতে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের সন্তানকে খাম্বার সাথে বেঁধে মারধর ফেসবুকে ছবি ভাইরাল শারদীয় দূর্গাপূজা উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত নওগাঁর নিয়ামতপুরে বিআরডিবি চেয়ারম্যান নির্বাচিত আব্দুর রহমান বাবু মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের কর্মচারী ইউনিয়ন(সিবিএ) কমিটি বিলুপ্ত করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট এডহক কমিটি গঠন অস্ট্রেলিয়া গাড়ি চাপায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থী নিহত নিহত আবু সাঈদ ও লালমনিরহাট জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম উর্মি সরকারি ব্যবস্থাপনাকে দুর্নীতিমুক্ত করার তাগিদ এনজিও নেতাদের বিরামপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পরিবারের সাথে মতবিনিময় ও সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

হবিগঞ্জে নদীর স্বাধীনতা দাবি

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৭:৩০:৫০ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ২৭ মার্চ ২০২১
  • / ২৮০ ৫০০০.০ বার পাঠক

হবিগঞ্জ সময়েরকন্ঠ।।

হবিগঞ্জে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে খোয়াই রিভার ওয়াটারকিপারের পক্ষ থেকে নদীর স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানানো হয়েছে।

শুক্রবার বিকেলে হবিগঞ্জের খোয়াই নদীতে নেমে জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে এই দাবি জানানো হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) নির্বাহী কমিটির সদস্য সুরমা রিভার ওয়াটারকিপার আব্দুল করিম কিম, বাপার জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল, পরিবেশ কর্মী ডা. আলী আহসান চৌধুরী পিন্টু, সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।

খোয়াই রিভার ওয়াটারকিপার তোফাজ্জল সোহেল বলেন, ১৯৭১ সালে ৯ মাস রক্তস্নাত যুদ্ধে আমাদের মুক্তিকামী মানুষদের উজ্জীবিত করতে ‘পদ্মা-মেঘনা-যমুনা, তোমার আমার ঠিকানা’ এই শ্লোগানটি ছিল। মুক্তিযোদ্ধাদের রণকৌশলে অন্যতম ভূমিকা ছিল আমাদের দেশের নদনদীর। যুদ্ধকৌশলে হাতিয়ার হিসেবে নদী ছিল বলেই পাকিস্তানিরা পরাজিত হয়েছিল দ্রুত। ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যাবে অসংখ্য যুদ্ধ, মানুষের নিরাপদ আশ্রয়স্থল, প্রশিক্ষণ, যোগাযোগ এর অন্যতম প্রধান মাধ্যম এই নদী। মুক্তিযোদ্ধারা নিজেদের নদীপথকে খুব ভালোভাবে চিনতেন, জানতেন বলেই নদীর পানিতে নাক ভাসিয়ে, অস্ত্র উঁচিয়ে যুদ্ধ করেছেন। দেশের সকল নদী হয়ে উঠেছিল তখন মানুষের বিশ্বস্ত ঠিকানা।

কিন্তু সেই নদীর এখন আর স্বাধীনতা নেই। নদী চলাচলে বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে। অস্তিত্ব হারাতে বসেছে আমাদের নদীগুলো। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর এই সময় আমাদের অধিকাংশ নদ-নদী সংকটাপন্ন অবস্থায় রয়েছে। দখল, দূষণ এবং নদীর উপর অত্যাচার- অনাচার ক্রমাগতভাবে বেড়েই চলেছে।

তিনি বলেন, হবিগঞ্জের খোয়াই, পুরাতন খোয়াই নদী দখল-দূষণ, সোনাই নদীর উপর স্থাপনা, শিল্পের নামে প্রতিমুহূর্তে সুতাং নদীর বুকে কলকারখানার বিষাক্তবর্জ্য ঢেলে দিয়ে মেরে ফেলা হচ্ছে মাছ, বরাক নদীকে খাল দেখিয়ে কোটি কোটি টাকার প্রকল্প করা, খোয়াই, কুশিয়ারাসহ অন্যান্য নদী থেকে অনিয়ন্ত্রিতভাবে বালু ও মাটি কাটা হচ্ছে, যা এই সময়ের মানবতাবিরোধী অপরাধ। অথচ এই অপরাধ দমনে নেই তেমন কোনো কার্যকর পদক্ষেপ। যারা নদীর সাথে অন্যায় করছে তারা এই সময়ের রাজাকার।

উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী জীবন্ত সত্তা নদীর স্বাধীনতা-স্বাভাবিক প্রবাহ নিশ্চিত করাসহ দখল দূষণকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তিনি।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

হবিগঞ্জে নদীর স্বাধীনতা দাবি

আপডেট টাইম : ০৭:৩০:৫০ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ২৭ মার্চ ২০২১

হবিগঞ্জ সময়েরকন্ঠ।।

হবিগঞ্জে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে খোয়াই রিভার ওয়াটারকিপারের পক্ষ থেকে নদীর স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানানো হয়েছে।

শুক্রবার বিকেলে হবিগঞ্জের খোয়াই নদীতে নেমে জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে এই দাবি জানানো হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) নির্বাহী কমিটির সদস্য সুরমা রিভার ওয়াটারকিপার আব্দুল করিম কিম, বাপার জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল, পরিবেশ কর্মী ডা. আলী আহসান চৌধুরী পিন্টু, সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।

খোয়াই রিভার ওয়াটারকিপার তোফাজ্জল সোহেল বলেন, ১৯৭১ সালে ৯ মাস রক্তস্নাত যুদ্ধে আমাদের মুক্তিকামী মানুষদের উজ্জীবিত করতে ‘পদ্মা-মেঘনা-যমুনা, তোমার আমার ঠিকানা’ এই শ্লোগানটি ছিল। মুক্তিযোদ্ধাদের রণকৌশলে অন্যতম ভূমিকা ছিল আমাদের দেশের নদনদীর। যুদ্ধকৌশলে হাতিয়ার হিসেবে নদী ছিল বলেই পাকিস্তানিরা পরাজিত হয়েছিল দ্রুত। ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যাবে অসংখ্য যুদ্ধ, মানুষের নিরাপদ আশ্রয়স্থল, প্রশিক্ষণ, যোগাযোগ এর অন্যতম প্রধান মাধ্যম এই নদী। মুক্তিযোদ্ধারা নিজেদের নদীপথকে খুব ভালোভাবে চিনতেন, জানতেন বলেই নদীর পানিতে নাক ভাসিয়ে, অস্ত্র উঁচিয়ে যুদ্ধ করেছেন। দেশের সকল নদী হয়ে উঠেছিল তখন মানুষের বিশ্বস্ত ঠিকানা।

কিন্তু সেই নদীর এখন আর স্বাধীনতা নেই। নদী চলাচলে বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে। অস্তিত্ব হারাতে বসেছে আমাদের নদীগুলো। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর এই সময় আমাদের অধিকাংশ নদ-নদী সংকটাপন্ন অবস্থায় রয়েছে। দখল, দূষণ এবং নদীর উপর অত্যাচার- অনাচার ক্রমাগতভাবে বেড়েই চলেছে।

তিনি বলেন, হবিগঞ্জের খোয়াই, পুরাতন খোয়াই নদী দখল-দূষণ, সোনাই নদীর উপর স্থাপনা, শিল্পের নামে প্রতিমুহূর্তে সুতাং নদীর বুকে কলকারখানার বিষাক্তবর্জ্য ঢেলে দিয়ে মেরে ফেলা হচ্ছে মাছ, বরাক নদীকে খাল দেখিয়ে কোটি কোটি টাকার প্রকল্প করা, খোয়াই, কুশিয়ারাসহ অন্যান্য নদী থেকে অনিয়ন্ত্রিতভাবে বালু ও মাটি কাটা হচ্ছে, যা এই সময়ের মানবতাবিরোধী অপরাধ। অথচ এই অপরাধ দমনে নেই তেমন কোনো কার্যকর পদক্ষেপ। যারা নদীর সাথে অন্যায় করছে তারা এই সময়ের রাজাকার।

উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী জীবন্ত সত্তা নদীর স্বাধীনতা-স্বাভাবিক প্রবাহ নিশ্চিত করাসহ দখল দূষণকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তিনি।