ঢাকা ১০:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
শহরের প্রান কেন্দ্রে অবস্থিত ৪৫ বছরের পুরানো এ প্রতিষ্ঠান নাম হলো আদর্শ স্কুল এন্ড কলেজ অথচ কলেজ শাখায় একজন ছাত্র/ছাত্রীও নেই মঠবাড়িয়ায় রাতের আঁধারে বনিক সমিতির ক‌মি‌টি গঠনের প্রতিবাদে ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন গাজীপুরে দুর্নীতিবাজ ভূমি কর্মকর্তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ এটিএম আজহারুলের মুক্তির দাবিতে গণঅবস্থানের ডাক জামায়াতের চলন্তবাসে বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানি, টাঙ্গাইলে গ্রেফতার ৩ বাংলাদেশে ২৯ মিলিয়ন ডলার কারা পেয়েছে? যা বললেন ট্রাম্প অনলাইন ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল বাংলা ৫২ নিউজ ডটকম এর ৯ম বর্ষপূর্তি আজশনিবার সকাল দশটায় পিরোজপুর মঠবাড়িয়ায় উদযাপিত হয় কোনাবাড়িতে বিএনপি’র দু’গ্রুপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া: আতঙ্কে ওই এলাকার সাধারণ মানুষ ৩৬ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া মায়ের সন্ধান পেল সাংবাদিক আশিকুর রহমান জামাল শ্রমিক কল্যান ফেডারেশন মোংলা পৌর শাখার উদ্যোগে মোংলা আইডিয়াল ক্যাডেট মাদ্রাসায় দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত

হবিগঞ্জে নদীর স্বাধীনতা দাবি

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৭:৩০:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ মার্চ ২০২১
  • / ৩০৩ ৫০০০.০ বার পাঠক

হবিগঞ্জ সময়েরকন্ঠ।।

হবিগঞ্জে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে খোয়াই রিভার ওয়াটারকিপারের পক্ষ থেকে নদীর স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানানো হয়েছে।

শুক্রবার বিকেলে হবিগঞ্জের খোয়াই নদীতে নেমে জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে এই দাবি জানানো হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) নির্বাহী কমিটির সদস্য সুরমা রিভার ওয়াটারকিপার আব্দুল করিম কিম, বাপার জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল, পরিবেশ কর্মী ডা. আলী আহসান চৌধুরী পিন্টু, সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।

খোয়াই রিভার ওয়াটারকিপার তোফাজ্জল সোহেল বলেন, ১৯৭১ সালে ৯ মাস রক্তস্নাত যুদ্ধে আমাদের মুক্তিকামী মানুষদের উজ্জীবিত করতে ‘পদ্মা-মেঘনা-যমুনা, তোমার আমার ঠিকানা’ এই শ্লোগানটি ছিল। মুক্তিযোদ্ধাদের রণকৌশলে অন্যতম ভূমিকা ছিল আমাদের দেশের নদনদীর। যুদ্ধকৌশলে হাতিয়ার হিসেবে নদী ছিল বলেই পাকিস্তানিরা পরাজিত হয়েছিল দ্রুত। ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যাবে অসংখ্য যুদ্ধ, মানুষের নিরাপদ আশ্রয়স্থল, প্রশিক্ষণ, যোগাযোগ এর অন্যতম প্রধান মাধ্যম এই নদী। মুক্তিযোদ্ধারা নিজেদের নদীপথকে খুব ভালোভাবে চিনতেন, জানতেন বলেই নদীর পানিতে নাক ভাসিয়ে, অস্ত্র উঁচিয়ে যুদ্ধ করেছেন। দেশের সকল নদী হয়ে উঠেছিল তখন মানুষের বিশ্বস্ত ঠিকানা।

কিন্তু সেই নদীর এখন আর স্বাধীনতা নেই। নদী চলাচলে বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে। অস্তিত্ব হারাতে বসেছে আমাদের নদীগুলো। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর এই সময় আমাদের অধিকাংশ নদ-নদী সংকটাপন্ন অবস্থায় রয়েছে। দখল, দূষণ এবং নদীর উপর অত্যাচার- অনাচার ক্রমাগতভাবে বেড়েই চলেছে।

তিনি বলেন, হবিগঞ্জের খোয়াই, পুরাতন খোয়াই নদী দখল-দূষণ, সোনাই নদীর উপর স্থাপনা, শিল্পের নামে প্রতিমুহূর্তে সুতাং নদীর বুকে কলকারখানার বিষাক্তবর্জ্য ঢেলে দিয়ে মেরে ফেলা হচ্ছে মাছ, বরাক নদীকে খাল দেখিয়ে কোটি কোটি টাকার প্রকল্প করা, খোয়াই, কুশিয়ারাসহ অন্যান্য নদী থেকে অনিয়ন্ত্রিতভাবে বালু ও মাটি কাটা হচ্ছে, যা এই সময়ের মানবতাবিরোধী অপরাধ। অথচ এই অপরাধ দমনে নেই তেমন কোনো কার্যকর পদক্ষেপ। যারা নদীর সাথে অন্যায় করছে তারা এই সময়ের রাজাকার।

উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী জীবন্ত সত্তা নদীর স্বাধীনতা-স্বাভাবিক প্রবাহ নিশ্চিত করাসহ দখল দূষণকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তিনি।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

হবিগঞ্জে নদীর স্বাধীনতা দাবি

আপডেট টাইম : ০৭:৩০:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ মার্চ ২০২১

হবিগঞ্জ সময়েরকন্ঠ।।

হবিগঞ্জে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে খোয়াই রিভার ওয়াটারকিপারের পক্ষ থেকে নদীর স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানানো হয়েছে।

শুক্রবার বিকেলে হবিগঞ্জের খোয়াই নদীতে নেমে জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে এই দাবি জানানো হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) নির্বাহী কমিটির সদস্য সুরমা রিভার ওয়াটারকিপার আব্দুল করিম কিম, বাপার জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল, পরিবেশ কর্মী ডা. আলী আহসান চৌধুরী পিন্টু, সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।

খোয়াই রিভার ওয়াটারকিপার তোফাজ্জল সোহেল বলেন, ১৯৭১ সালে ৯ মাস রক্তস্নাত যুদ্ধে আমাদের মুক্তিকামী মানুষদের উজ্জীবিত করতে ‘পদ্মা-মেঘনা-যমুনা, তোমার আমার ঠিকানা’ এই শ্লোগানটি ছিল। মুক্তিযোদ্ধাদের রণকৌশলে অন্যতম ভূমিকা ছিল আমাদের দেশের নদনদীর। যুদ্ধকৌশলে হাতিয়ার হিসেবে নদী ছিল বলেই পাকিস্তানিরা পরাজিত হয়েছিল দ্রুত। ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যাবে অসংখ্য যুদ্ধ, মানুষের নিরাপদ আশ্রয়স্থল, প্রশিক্ষণ, যোগাযোগ এর অন্যতম প্রধান মাধ্যম এই নদী। মুক্তিযোদ্ধারা নিজেদের নদীপথকে খুব ভালোভাবে চিনতেন, জানতেন বলেই নদীর পানিতে নাক ভাসিয়ে, অস্ত্র উঁচিয়ে যুদ্ধ করেছেন। দেশের সকল নদী হয়ে উঠেছিল তখন মানুষের বিশ্বস্ত ঠিকানা।

কিন্তু সেই নদীর এখন আর স্বাধীনতা নেই। নদী চলাচলে বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে। অস্তিত্ব হারাতে বসেছে আমাদের নদীগুলো। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর এই সময় আমাদের অধিকাংশ নদ-নদী সংকটাপন্ন অবস্থায় রয়েছে। দখল, দূষণ এবং নদীর উপর অত্যাচার- অনাচার ক্রমাগতভাবে বেড়েই চলেছে।

তিনি বলেন, হবিগঞ্জের খোয়াই, পুরাতন খোয়াই নদী দখল-দূষণ, সোনাই নদীর উপর স্থাপনা, শিল্পের নামে প্রতিমুহূর্তে সুতাং নদীর বুকে কলকারখানার বিষাক্তবর্জ্য ঢেলে দিয়ে মেরে ফেলা হচ্ছে মাছ, বরাক নদীকে খাল দেখিয়ে কোটি কোটি টাকার প্রকল্প করা, খোয়াই, কুশিয়ারাসহ অন্যান্য নদী থেকে অনিয়ন্ত্রিতভাবে বালু ও মাটি কাটা হচ্ছে, যা এই সময়ের মানবতাবিরোধী অপরাধ। অথচ এই অপরাধ দমনে নেই তেমন কোনো কার্যকর পদক্ষেপ। যারা নদীর সাথে অন্যায় করছে তারা এই সময়ের রাজাকার।

উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী জীবন্ত সত্তা নদীর স্বাধীনতা-স্বাভাবিক প্রবাহ নিশ্চিত করাসহ দখল দূষণকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তিনি।