ঢাকা ০২:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
মানুষের তৈরি মতবাদ আল্লাহর আইনের সাথে চ্যালেঞ্জ করার শামিল – ড.শফিকুল ইসলাম মাসুদ সরকারি রাস্তা আওয়ামী লীগ নেতার দখলের চেষ্টা।এই বিষয়ে সময়ের কন্ঠস্বরে নিউজ প্রকাশের পর এসিল্যান্ডের নিষেধাজ্ঞা ফার্মেসী ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (সমগ্র বাংলাদেশ) পাকুন্দিয়া উপজেলা শাখা কমিটির সকলকে সনদ প্রদান ও আলোচনা সভা ২৫২ বছরের ইতিহাসে চট্টগ্রামে এই প্রথম নারী ডিসি ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের পদায়ন ফরিদা খানম গাজীপুর জেলা মহানগর কাশিমপুরে স্বাধীন মত প্রকাশের জেরে থানার ওসির নেতৃত্বে একাধিক সাংবাদিকের নামে মিথ্যা মামলা আজমিরীগঞ্জ পৌর এলাকার গন্জেরহাটি গ্রামের সরকারি রাস্তা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রনব বনিকের দখলের চেষ্টা নরসিংদীতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতা আন্দোলনে আহত সাংবাদিকদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান চট্টগ্রামে জনতা ব্যাংক সিবিএ নেতা আফসার আ.লীগের আমলে দাপট দেখিয়ে এখন বিএনপি নিয়োগ, বদলি, চাঁদাবাজি করে কামিয়েছেন টাকা মহারাষ্ট্রে ভূমিধস জয়ের পথে বিজেপি জোট, ঝাড়খণ্ডে ‘ইন্ডিয়া’ পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু

কালিয়াকৈরে আওয়ামী লীগের ৭৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

মোঃ ফরিদ আহমেদ ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি (গাজীপুর)
  • আপডেট টাইম : ১১:৪৯:০৭ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪
  • / ৫৭ ৫০০০.০ বার পাঠক

গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর বাস টার্মিনালে রবিবার (২৩ জুন) আওয়ামী লীগের ৭৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালন করা হয়েছে। দিবসটি পালন উপলক্ষ্যে কালিয়াকৈর উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে কালিয়াকৈর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ মুরাদ কবিরের সভাপতিত্বে আয়োজিত কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলহাজ্ব এ্যাডঃ আ.ক.ম মোজাম্মেল হক (এমপি) মাননীয় মন্ত্রী, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় (গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার) ও গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি।
এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠিত না হলে আমরা কেউ বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারতাম না। যখন এ দেশ পাকিস্তান ছিল, সে সময় এদেশের জনগণের ভোটের কোন অধিকার ছিল না। ভাত কাপড়ের কোন ব্যবস্থা ছিল না। প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষ না খেতে পেয়ে মারা যেত। যখন এ দেশ পাকিস্তান ছিল, ১৯৫৪ সালে বঙ্গবন্ধু মন্ত্রী হয়েছিলেন মাত্র ৩৪ বছর বয়সে। কিন্তু মন্ত্রী থাকা অবস্থায় বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তান সরকার গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। সে সময় খাদ্যের দাবিতে আন্দোলন করতে হয়েছিল। বাঙালির মুক্তির জন্য বঙ্গবন্ধু ১৯৬৬ সালে ৬ দফা দাবি নিয়ে আন্দোলন করেছিলেন। এদেশের মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণের দাবিতে। তখনকার সরকার বঙ্গবন্ধুর দাবি না মেনে তাকে জেলে নেয়। আড়াই বছর জেলখানায় রাখার পর বঙ্গবন্ধুকে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলানোর জন্য আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দেয়া হয়েছিল। এমন অবস্থায় বঙ্গবন্ধুকে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলানোর সমস্ত আয়োজন সম্পন্ন করেছিল। সে সময় বাংলার মানুষ গর্জে ওঠে ৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে মুক্ত করে আনেন। পরে ১৯৭০ সালের ৭ই ডিসেম্বর নির্বাচনে বাংলার মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে রায় নিয়ে পাকিস্তানের ৩০০ আসনের মধ্যে ১৬৭ টি আসনে জয়ী করেন। এরপরও পাকিস্তানিরা বাংলার মানুষের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে নাই। ক্ষমতা হস্তান্তর করে নাই বলে বঙ্গবন্ধুর আহবানে এই বাঙালি জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। আমরা সৌভাগ্যবান, এই গাজীপুর থেকে ১৯শে মার্চ সশস্ত্র সংগ্রাম শুরু হয়েছিল এবং স্লোগান উঠেছিল জয়দেবপুরের পথ ধরো সশস্ত্র যুদ্ধ শুরু করো, জয়দেবপুরের পথ ধরো বাংলাদেশ স্বাধীন করো।
তিনি আরও বলেন, যদি আওয়ামী লীগ গঠিত না হতো এদেশে মুক্তিযুদ্ধ হতো না এদেশের মানুষ স্বাধীনতা পেতো না। এদেশের মানুষ বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারতো না। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা কারীরা পরে ১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্ট বঙ্গবন্ধুর স্বপরিবারেকে হত্যা করেছিল।
সৌভাগ্যবশত আমাদের মহান নেত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা তার ছোট বোনকে নিয়ে তখন বিদেশে ছিলেন। পরে তাকে এদেশে অনেক বাধা অতিক্রম আসতে হয়েছিল। এরপরও তাকে নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র করেছে স্বাধীনতা বিরোধীরা। তারপর তিনি এদেশে এসে আওয়ামী লীগের সভাপতি হন। এরপর ১৯৯৬ সালে তিনি এদেশের জনগণের ভোটে সরকার নির্বাচিত হন। এরমধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য বহুবার বিভিন্নভাবে আঘাত করা হয়েছে। গুলি করে,গ্রেনেড মেরেও তাকে মারার চেষ্টা করেছে। আল্লাহ পাকের অশেষ রহমতে তিনি বেঁচে আছেন এবং একাধারে চতুর্থ বারের মতো সরকার নির্বাচিত হয়েছেন । এ দেশ ও দেশের মানুষের উন্নয়নের জন্য তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
কালিয়াকৈরে বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্ক নির্মাণ করেছেন। কালিয়াকৈরে রেললাইন করেছেন। কালিয়াকৈর এর প্রত্যেকটি গ্রামেই প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোকে সুন্দর সুন্দর ভবন করে দিয়েছেন। হাই স্কুল গুলোর ভবন করে দিয়েছেন। শিক্ষা মান উন্নয়নের জন্য তিনি উপবৃত্তির ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, ইত্যাদি বিভিন্ন ব্যবস্থা তিনি করে দিয়েছেন। এরকমভাবে এর আগে কোন সরকার করে দেননি। বর্তমান সরকারের নানামুখী উন্নয়ন মূলক কাজের এরকম বহু উদাহরণ দিয়ে তিনি উপস্থিত নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে আওয়ামী লীগের ৭৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে কেক কাটেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কালিয়াকৈর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ সেলিম আজাদ এবং আওয়ামী লীগের বহু নেতা ও কর্মীরা।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

কালিয়াকৈরে আওয়ামী লীগের ৭৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

আপডেট টাইম : ১১:৪৯:০৭ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪

গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর বাস টার্মিনালে রবিবার (২৩ জুন) আওয়ামী লীগের ৭৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালন করা হয়েছে। দিবসটি পালন উপলক্ষ্যে কালিয়াকৈর উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে কালিয়াকৈর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ মুরাদ কবিরের সভাপতিত্বে আয়োজিত কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলহাজ্ব এ্যাডঃ আ.ক.ম মোজাম্মেল হক (এমপি) মাননীয় মন্ত্রী, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় (গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার) ও গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি।
এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠিত না হলে আমরা কেউ বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারতাম না। যখন এ দেশ পাকিস্তান ছিল, সে সময় এদেশের জনগণের ভোটের কোন অধিকার ছিল না। ভাত কাপড়ের কোন ব্যবস্থা ছিল না। প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষ না খেতে পেয়ে মারা যেত। যখন এ দেশ পাকিস্তান ছিল, ১৯৫৪ সালে বঙ্গবন্ধু মন্ত্রী হয়েছিলেন মাত্র ৩৪ বছর বয়সে। কিন্তু মন্ত্রী থাকা অবস্থায় বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তান সরকার গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। সে সময় খাদ্যের দাবিতে আন্দোলন করতে হয়েছিল। বাঙালির মুক্তির জন্য বঙ্গবন্ধু ১৯৬৬ সালে ৬ দফা দাবি নিয়ে আন্দোলন করেছিলেন। এদেশের মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণের দাবিতে। তখনকার সরকার বঙ্গবন্ধুর দাবি না মেনে তাকে জেলে নেয়। আড়াই বছর জেলখানায় রাখার পর বঙ্গবন্ধুকে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলানোর জন্য আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দেয়া হয়েছিল। এমন অবস্থায় বঙ্গবন্ধুকে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলানোর সমস্ত আয়োজন সম্পন্ন করেছিল। সে সময় বাংলার মানুষ গর্জে ওঠে ৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে মুক্ত করে আনেন। পরে ১৯৭০ সালের ৭ই ডিসেম্বর নির্বাচনে বাংলার মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে রায় নিয়ে পাকিস্তানের ৩০০ আসনের মধ্যে ১৬৭ টি আসনে জয়ী করেন। এরপরও পাকিস্তানিরা বাংলার মানুষের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে নাই। ক্ষমতা হস্তান্তর করে নাই বলে বঙ্গবন্ধুর আহবানে এই বাঙালি জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। আমরা সৌভাগ্যবান, এই গাজীপুর থেকে ১৯শে মার্চ সশস্ত্র সংগ্রাম শুরু হয়েছিল এবং স্লোগান উঠেছিল জয়দেবপুরের পথ ধরো সশস্ত্র যুদ্ধ শুরু করো, জয়দেবপুরের পথ ধরো বাংলাদেশ স্বাধীন করো।
তিনি আরও বলেন, যদি আওয়ামী লীগ গঠিত না হতো এদেশে মুক্তিযুদ্ধ হতো না এদেশের মানুষ স্বাধীনতা পেতো না। এদেশের মানুষ বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারতো না। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা কারীরা পরে ১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্ট বঙ্গবন্ধুর স্বপরিবারেকে হত্যা করেছিল।
সৌভাগ্যবশত আমাদের মহান নেত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা তার ছোট বোনকে নিয়ে তখন বিদেশে ছিলেন। পরে তাকে এদেশে অনেক বাধা অতিক্রম আসতে হয়েছিল। এরপরও তাকে নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র করেছে স্বাধীনতা বিরোধীরা। তারপর তিনি এদেশে এসে আওয়ামী লীগের সভাপতি হন। এরপর ১৯৯৬ সালে তিনি এদেশের জনগণের ভোটে সরকার নির্বাচিত হন। এরমধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য বহুবার বিভিন্নভাবে আঘাত করা হয়েছে। গুলি করে,গ্রেনেড মেরেও তাকে মারার চেষ্টা করেছে। আল্লাহ পাকের অশেষ রহমতে তিনি বেঁচে আছেন এবং একাধারে চতুর্থ বারের মতো সরকার নির্বাচিত হয়েছেন । এ দেশ ও দেশের মানুষের উন্নয়নের জন্য তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
কালিয়াকৈরে বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্ক নির্মাণ করেছেন। কালিয়াকৈরে রেললাইন করেছেন। কালিয়াকৈর এর প্রত্যেকটি গ্রামেই প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোকে সুন্দর সুন্দর ভবন করে দিয়েছেন। হাই স্কুল গুলোর ভবন করে দিয়েছেন। শিক্ষা মান উন্নয়নের জন্য তিনি উপবৃত্তির ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, ইত্যাদি বিভিন্ন ব্যবস্থা তিনি করে দিয়েছেন। এরকমভাবে এর আগে কোন সরকার করে দেননি। বর্তমান সরকারের নানামুখী উন্নয়ন মূলক কাজের এরকম বহু উদাহরণ দিয়ে তিনি উপস্থিত নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে আওয়ামী লীগের ৭৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে কেক কাটেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কালিয়াকৈর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ সেলিম আজাদ এবং আওয়ামী লীগের বহু নেতা ও কর্মীরা।