ঢাকা ১০:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
আওয়ামী লীগের সাইনবোর্ড ধারী দালাল এখন বিগত রাতে কমপক্ষে ১০০জামাত বিএনপি ধরে হাজত দেওয়ার পরও এখনো কর্মগত অবস্থায় কিভাবে আকবেন নির্বাচনের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বোয়ালমারীত আসামি ধরতে গিয়ে পুলিশের এসআই নিহত আবারও ইরানে ইসরাইলের হামলা শুরু আজমিরীগঞ্জে ব্রজপাতে নিহত ১ আহত ১ ঠাকুরগাঁও সীমান্তে ২৩ জনকে পুশইন করেছে বিএসএফ চাঁদা না দেওয়ায় বসতবাড়িতে হামলা ও লুটপাট: নারীসহ আহত ৬, মামলা নিতে গড়িমসি থানার ওসি কোরবানির গরু কাটা কে কেন্দ্র করে অপ্রীতিকর ঘটনা,পারিশ্রমিক পেয়েও কসাই সাইফুলের ২০ কেজি মাংসের দাবি। এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি বরিশালে মেলা ও যাত্রার প্যান্ডেল ভাঙচুরের পর অগ্নিসংযোগ পুলিশের কাছে ভারি ‘মারণাস্ত্র’ থাকবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

খালি হলেন শেষে শাপলা চত্বরে হেফাজতের আড়ালে ধ্বংসযজ্ঞের কে

নিজস্ব প্রতিবেদন
  • আপডেট টাইম : ০৫:০৮:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ মে ২০১৩
  • / ১০৭ ১৫০.০০০ বার পাঠক
২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে সমর্থন জানিয়েছিল বিএনপি। বিবৃতি দিয়ে ঢাকাবাসীকে হেফাজতের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানিয়েছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। মূলত এই ধ্বংসযজ্ঞের প্রধান পরিকল্পনাকারীই ছিলেন খালেদা জিয়া। এর মাধ্যমে তিনি সরকার পতনের স্বপ্ন দেখেছিলেন।

ওই বছরের ৪ মে রাতে মতিঝিল শাপলা চত্বরে হেফাজতের সমাবেশের মঞ্চ নির্মাণ থেকে শুরু করে বিভিন্ন কর্মকাণ্ড তদারকি করেছিলেন সেসময়কার ঢাকা মহানগর বিএনপির আহবায়ক সাদেক হোসেন খোকাসহ বিএনপি’র শীর্ষ নেতারা।

আরও পড়ুনঃ বিএনপির সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেন হেফাজত নেতারা

৫ই মে রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে দিয়ে শাপলা চত্বরের দিকে হেফাজত সদস্যরা এগিয়ে যান। সেই সঙ্গে মঞ্চে গিয়ে হেফাজতের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন বিএনপি নেতা ড. খন্দকার মোশাররফ, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী অ্যানি সহ অনেকেই। একই সঙ্গে জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে মতিঝিল শাপলা চত্বরে উপস্থিত ছিলেন বর্তমানে প্রয়াত কাজী জাফর আহমেদ।

রাজধানীবাসীর মন থেকে মুছে যায়নি ২০১৩ সালের ৫ মের সেই রাতের ঘটনা। তবে অনেক ঘটনায় পাল্টেছে রাজনৈতিক দৃশ্যপট। হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ ঘিরে ঢাকার মতিঝিলের শাপলা চত্বরে ঘটে নানা নাটকীয় ঘটনা। ঘটে নানা ধ্বংসযজ্ঞ। অবশেষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে শেষ হয় হেফাজতের সমাবেশ।

"আল্লাহর কোরআন, নবীর হাদিস কেমন করে আগুন লাগাইছে"

[শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের আড়ালে ধ্বংসযজ্ঞের মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন খালেদা জিয়া]

২০১৩ সাল যুদ্ধাপরাধের বিচারের দাবিতে শাহবাগে গড়ে উঠে গণজাগরণ মঞ্চ। সেই মঞ্চের আন্দোলনকারীদের নাস্তিক আখ্যা দিয়ে তাদের শাস্তির বিধান রেখে ইসলামী আইন প্রণয়নসহ ১৩ দফা দাবি জানিয়ে মাঠে নামে হেফাজত ইসলাম।দাবি আদায়ে ২০১৩ সালের ৫ মে রাজধানীতে প্রবেশের গুরুত্বপূর্ণ ৬টি প্রবেশ পথ কার্যত অবরুদ্ধ করে তারা। এর নেতৃত্বে ছিলেন হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শফি।

আগের রাতে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করবেন বলে কথা দিলেও, তাদের ভোল পাল্টে যায় পরদিন দুপুর থেকেই। রাজধানীর মতিঝিল শাপলা চত্বরে আশপাশে তাণ্ডব শুরু করে হেফাজতে ইসলামের কর্মীরা।ইসলাম রক্ষার নামে এই আন্দোলন ক্রমেই আঘাত করে সাধারণের ধর্মীয় অনুভূতিতে।

জাতীয় মসজিদে আগুন দেয়া হয়। ভাংচুর চালানো হয় বায়তুল মোকাররম মার্কেট, নিঃস্ব হয় ফুটপাতের দোকানীরা। হেফাজতের নৃশংসতার আরও একটি বড় টার্গেট ছিলো মতিঝিলের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। ভাংচুর করা হয় এটিএম বুথ।শাপলা চত্বরের মঞ্চ থেকেই হেফাজতের নেতারা ঘোষণা করেন দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত মতিঝিলে অবস্থান করবেন তারা। যদিও আগেই হেফাজতের এমন কর্মসূচির ইঙ্গিত দিয়েছিলেন বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

খালি হলেন শেষে শাপলা চত্বরে হেফাজতের আড়ালে ধ্বংসযজ্ঞের কে

আপডেট টাইম : ০৫:০৮:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ মে ২০১৩
২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে সমর্থন জানিয়েছিল বিএনপি। বিবৃতি দিয়ে ঢাকাবাসীকে হেফাজতের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানিয়েছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। মূলত এই ধ্বংসযজ্ঞের প্রধান পরিকল্পনাকারীই ছিলেন খালেদা জিয়া। এর মাধ্যমে তিনি সরকার পতনের স্বপ্ন দেখেছিলেন।

ওই বছরের ৪ মে রাতে মতিঝিল শাপলা চত্বরে হেফাজতের সমাবেশের মঞ্চ নির্মাণ থেকে শুরু করে বিভিন্ন কর্মকাণ্ড তদারকি করেছিলেন সেসময়কার ঢাকা মহানগর বিএনপির আহবায়ক সাদেক হোসেন খোকাসহ বিএনপি’র শীর্ষ নেতারা।

আরও পড়ুনঃ বিএনপির সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেন হেফাজত নেতারা

৫ই মে রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে দিয়ে শাপলা চত্বরের দিকে হেফাজত সদস্যরা এগিয়ে যান। সেই সঙ্গে মঞ্চে গিয়ে হেফাজতের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন বিএনপি নেতা ড. খন্দকার মোশাররফ, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী অ্যানি সহ অনেকেই। একই সঙ্গে জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে মতিঝিল শাপলা চত্বরে উপস্থিত ছিলেন বর্তমানে প্রয়াত কাজী জাফর আহমেদ।

রাজধানীবাসীর মন থেকে মুছে যায়নি ২০১৩ সালের ৫ মের সেই রাতের ঘটনা। তবে অনেক ঘটনায় পাল্টেছে রাজনৈতিক দৃশ্যপট। হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ ঘিরে ঢাকার মতিঝিলের শাপলা চত্বরে ঘটে নানা নাটকীয় ঘটনা। ঘটে নানা ধ্বংসযজ্ঞ। অবশেষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে শেষ হয় হেফাজতের সমাবেশ।

"আল্লাহর কোরআন, নবীর হাদিস কেমন করে আগুন লাগাইছে"

[শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের আড়ালে ধ্বংসযজ্ঞের মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন খালেদা জিয়া]

২০১৩ সাল যুদ্ধাপরাধের বিচারের দাবিতে শাহবাগে গড়ে উঠে গণজাগরণ মঞ্চ। সেই মঞ্চের আন্দোলনকারীদের নাস্তিক আখ্যা দিয়ে তাদের শাস্তির বিধান রেখে ইসলামী আইন প্রণয়নসহ ১৩ দফা দাবি জানিয়ে মাঠে নামে হেফাজত ইসলাম।দাবি আদায়ে ২০১৩ সালের ৫ মে রাজধানীতে প্রবেশের গুরুত্বপূর্ণ ৬টি প্রবেশ পথ কার্যত অবরুদ্ধ করে তারা। এর নেতৃত্বে ছিলেন হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শফি।

আগের রাতে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করবেন বলে কথা দিলেও, তাদের ভোল পাল্টে যায় পরদিন দুপুর থেকেই। রাজধানীর মতিঝিল শাপলা চত্বরে আশপাশে তাণ্ডব শুরু করে হেফাজতে ইসলামের কর্মীরা।ইসলাম রক্ষার নামে এই আন্দোলন ক্রমেই আঘাত করে সাধারণের ধর্মীয় অনুভূতিতে।

জাতীয় মসজিদে আগুন দেয়া হয়। ভাংচুর চালানো হয় বায়তুল মোকাররম মার্কেট, নিঃস্ব হয় ফুটপাতের দোকানীরা। হেফাজতের নৃশংসতার আরও একটি বড় টার্গেট ছিলো মতিঝিলের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। ভাংচুর করা হয় এটিএম বুথ।শাপলা চত্বরের মঞ্চ থেকেই হেফাজতের নেতারা ঘোষণা করেন দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত মতিঝিলে অবস্থান করবেন তারা। যদিও আগেই হেফাজতের এমন কর্মসূচির ইঙ্গিত দিয়েছিলেন বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া।