ওই বছরের ৪ মে রাতে মতিঝিল শাপলা চত্বরে হেফাজতের সমাবেশের মঞ্চ নির্মাণ থেকে শুরু করে বিভিন্ন কর্মকাণ্ড তদারকি করেছিলেন সেসময়কার ঢাকা মহানগর বিএনপির আহবায়ক সাদেক হোসেন খোকাসহ বিএনপি’র শীর্ষ নেতারা।
আরও পড়ুনঃ বিএনপির সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেন হেফাজত নেতারা
৫ই মে রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে দিয়ে শাপলা চত্বরের দিকে হেফাজত সদস্যরা এগিয়ে যান। সেই সঙ্গে মঞ্চে গিয়ে হেফাজতের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন বিএনপি নেতা ড. খন্দকার মোশাররফ, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী অ্যানি সহ অনেকেই। একই সঙ্গে জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে মতিঝিল শাপলা চত্বরে উপস্থিত ছিলেন বর্তমানে প্রয়াত কাজী জাফর আহমেদ।
রাজধানীবাসীর মন থেকে মুছে যায়নি ২০১৩ সালের ৫ মের সেই রাতের ঘটনা। তবে অনেক ঘটনায় পাল্টেছে রাজনৈতিক দৃশ্যপট। হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ ঘিরে ঢাকার মতিঝিলের শাপলা চত্বরে ঘটে নানা নাটকীয় ঘটনা। ঘটে নানা ধ্বংসযজ্ঞ। অবশেষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে শেষ হয় হেফাজতের সমাবেশ।
[শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের আড়ালে ধ্বংসযজ্ঞের মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন খালেদা জিয়া]
২০১৩ সাল যুদ্ধাপরাধের বিচারের দাবিতে শাহবাগে গড়ে উঠে গণজাগরণ মঞ্চ। সেই মঞ্চের আন্দোলনকারীদের নাস্তিক আখ্যা দিয়ে তাদের শাস্তির বিধান রেখে ইসলামী আইন প্রণয়নসহ ১৩ দফা দাবি জানিয়ে মাঠে নামে হেফাজত ইসলাম।দাবি আদায়ে ২০১৩ সালের ৫ মে রাজধানীতে প্রবেশের গুরুত্বপূর্ণ ৬টি প্রবেশ পথ কার্যত অবরুদ্ধ করে তারা। এর নেতৃত্বে ছিলেন হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শফি।
আগের রাতে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করবেন বলে কথা দিলেও, তাদের ভোল পাল্টে যায় পরদিন দুপুর থেকেই। রাজধানীর মতিঝিল শাপলা চত্বরে আশপাশে তাণ্ডব শুরু করে হেফাজতে ইসলামের কর্মীরা।ইসলাম রক্ষার নামে এই আন্দোলন ক্রমেই আঘাত করে সাধারণের ধর্মীয় অনুভূতিতে।
জাতীয় মসজিদে আগুন দেয়া হয়। ভাংচুর চালানো হয় বায়তুল মোকাররম মার্কেট, নিঃস্ব হয় ফুটপাতের দোকানীরা। হেফাজতের নৃশংসতার আরও একটি বড় টার্গেট ছিলো মতিঝিলের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। ভাংচুর করা হয় এটিএম বুথ।শাপলা চত্বরের মঞ্চ থেকেই হেফাজতের নেতারা ঘোষণা করেন দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত মতিঝিলে অবস্থান করবেন তারা। যদিও আগেই হেফাজতের এমন কর্মসূচির ইঙ্গিত দিয়েছিলেন বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া।