ঢাকা ০১:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
পিরোজপুর জেলার, মঠবাড়িয়া উপজেলায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয় পিরোজপুর জেলার, মঠবাড়ীয়া উপজেলায়, বেতমোর ইউনিয়ন এ বিএনপির ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে ধরমন্ডল ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত কাশিমপুর প্রেসক্লাবের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত বিএনপি’র লজ্জিত হওয়া উচিত চীনের সঙ্গে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠতর হওয়ার আশা প্রধান উপদেষ্টার ফের ইসরাইলের বেন গুরিয়ন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে হুথিদের হামলা চেম্বার কোর্ট থেকে ‘নো অর্ডার’ এলে কী বোঝাবে, সুপ্রিমকোর্টের ব্যাখ্যা রমজানে দ্রব্যমূল্য কমেছে, এ প্রচেষ্টা চালু থাকবে: প্রধান উপদেষ্টা সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে শপথ নিলেন দুই বিচারপতি

ফুলবাড়ী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সিজারের রোগীর নিকট চিকিৎসকের অর্থ গ্রহণের অভিযোগ

ফুলবাড়ী উপজেলা প্রতিনিধি।
  • আপডেট টাইম : ০১:২৮:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ মে ২০২৪
  • / ১৫৩ ৫০০০.০ বার পাঠক

দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে সিজারের রোগীর কাছ থেকে অবৈধভাবে অর্থ গ্রহনের অভিযোগ পাওযা গেছে। তার কাছ থেকে টাকা নেওয়ার ব্যাখ্যা না পাওয়ায় ২৯ মে(বুধবার) দুপুর ১২ টায় ছাড়পত্র পাওয়ার পরও বিকেল ৫টা পর্যন্ত হাসপাতালেই অবস্থান করছিলেন। অভিযোগকারী ফিরোজ তার গর্ভবতী স্ত্রীকে গত ২৫ মে ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করান। এরপর ২৬ মে (সোমবার) স্বাস্থ্য কেন্দ্রে তার স্ত্রীর সিজার করানো হয়। এ সময় ফুলবাড়ী স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসক সারোয়ার আলম গর্ভবতীর স্বামীর কাছ থেকে ১হাজার ৫শত টাকা আদায় করেন। এই টাকাটি কেন নেওয়া হচ্ছে জানতে চাইলে চিকিৎসক সারোয়ার আলম ওই গর্ভবতীর স্বামীকে বলেন, অ্যানেসথেসিয়া করতে এবং বাহির থেকে চিকিৎসক আনতে ঐ টাকা নেওয়া হয়েছে। প্রদানকৃত অর্থের বিল-ভাউচার চাইলে পরে দেওয়া হবে বললেও ফিরোজ তার নবজাতকসহ অসুস্থ স্ত্রীকে রিলিজ নিয়ে ২৯ মে(বুধবার) বেলা একটায় ইউ.এইচ.এন্ড এফপিও’র দপ্তরে দেখা করতে গেলে সেখানে কিছু না শুনে ইউ.এইচ.এন্ড.এফপিও ডা. মশিউর রহমান ওই প্রসুতির স্বামীকে তাড়িয়ে দেন। এসময় ডা. সারোয়ার আলম সেখানেই বসা ছিলেন। এর প্রতিবাদে রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তিনি তার অসুস্থ স্ত্রী ও নবজাতক কে নিয়ে হাসপাতালেই অবস্থান করছেন। সংক্ষুূদ্ধ অভিভাবক ফিরোজ জানান, সরকারি হাসপাতালে একজন চিকিৎসক কোনভাবেই রোগীর কাছ থেকে রসিদ ছাড়া অর্থ নিতে পারেন না। অভিযুক্ত চিকিৎসক সারোয়ার আলমের সাথে মুঠোফোনে রশিদ ছাড়াই এই অর্থ গ্রহণের বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি যুগান্তরকে জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মশিউর রহমানকে অবগত করে অর্থ নেওয়া হয়েছে বলে স্বীকার করেন। ভূক্তভোগী ফিরোজ ঘটনার বিস্তারিত জানিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেন।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ফুলবাড়ী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সিজারের রোগীর নিকট চিকিৎসকের অর্থ গ্রহণের অভিযোগ

আপডেট টাইম : ০১:২৮:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ মে ২০২৪

দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে সিজারের রোগীর কাছ থেকে অবৈধভাবে অর্থ গ্রহনের অভিযোগ পাওযা গেছে। তার কাছ থেকে টাকা নেওয়ার ব্যাখ্যা না পাওয়ায় ২৯ মে(বুধবার) দুপুর ১২ টায় ছাড়পত্র পাওয়ার পরও বিকেল ৫টা পর্যন্ত হাসপাতালেই অবস্থান করছিলেন। অভিযোগকারী ফিরোজ তার গর্ভবতী স্ত্রীকে গত ২৫ মে ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করান। এরপর ২৬ মে (সোমবার) স্বাস্থ্য কেন্দ্রে তার স্ত্রীর সিজার করানো হয়। এ সময় ফুলবাড়ী স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসক সারোয়ার আলম গর্ভবতীর স্বামীর কাছ থেকে ১হাজার ৫শত টাকা আদায় করেন। এই টাকাটি কেন নেওয়া হচ্ছে জানতে চাইলে চিকিৎসক সারোয়ার আলম ওই গর্ভবতীর স্বামীকে বলেন, অ্যানেসথেসিয়া করতে এবং বাহির থেকে চিকিৎসক আনতে ঐ টাকা নেওয়া হয়েছে। প্রদানকৃত অর্থের বিল-ভাউচার চাইলে পরে দেওয়া হবে বললেও ফিরোজ তার নবজাতকসহ অসুস্থ স্ত্রীকে রিলিজ নিয়ে ২৯ মে(বুধবার) বেলা একটায় ইউ.এইচ.এন্ড এফপিও’র দপ্তরে দেখা করতে গেলে সেখানে কিছু না শুনে ইউ.এইচ.এন্ড.এফপিও ডা. মশিউর রহমান ওই প্রসুতির স্বামীকে তাড়িয়ে দেন। এসময় ডা. সারোয়ার আলম সেখানেই বসা ছিলেন। এর প্রতিবাদে রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তিনি তার অসুস্থ স্ত্রী ও নবজাতক কে নিয়ে হাসপাতালেই অবস্থান করছেন। সংক্ষুূদ্ধ অভিভাবক ফিরোজ জানান, সরকারি হাসপাতালে একজন চিকিৎসক কোনভাবেই রোগীর কাছ থেকে রসিদ ছাড়া অর্থ নিতে পারেন না। অভিযুক্ত চিকিৎসক সারোয়ার আলমের সাথে মুঠোফোনে রশিদ ছাড়াই এই অর্থ গ্রহণের বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি যুগান্তরকে জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মশিউর রহমানকে অবগত করে অর্থ নেওয়া হয়েছে বলে স্বীকার করেন। ভূক্তভোগী ফিরোজ ঘটনার বিস্তারিত জানিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেন।