জামালপুরে ধানের বাজার মধ্যস্বত্বভোগীরদের দখলে
- আপডেট টাইম : ০৬:৪৬:১৪ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪
- / ৫৩ ৫০০০.০ বার পাঠক
সরকারের কৃষক স্বনির্ভর প্রকল্পের আওতায় সারাদেশের ন্যায় জামালপুরে চলতি ইরি বোরো মৌসুমে বাম্পার ফলন হলেও ধানের বাজার মধ্যস্বত্বভোগীদের দখলে চলেগেছে। নিয়ন্ত্রন করছে পুরো বাজার। সরকার গ্রামীন অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার কাজে মনোযোগ দিয়েছে আর মধ্যস্বত্বভোগীরা ধ্বংস করার পাঁয়তারায় লিপ্ত রয়েছে। ফলে কৃষকরা মহাবিপাকে। যেখানে একমন ধান বেচেও একজন দিন মজুরের বেতন দেওয়া যাচ্ছে না।
জানা যায়, জামালপুর সদর উপজেলা কৃষি সর্মৃদ্ধ এলকা। এ উপজেলার চরাঞ্চলে এবার মৌসুমে বাম্পার ফলন হয়েছে। লক্ষীরচর, রায়েরচর ,টেবিরচর, তুলশীরচর, কাজিয়ারচর, চরগজারিয়া, চর যথার্থপুর, সাহাবাজপুর, দিকপাইত সহ আরো বেশ কয়েকটি এলাকায় এতো ফসল হয়েছে, যা বিগত কোন মৌসুমে হয়নি। বিঘাপ্রতি ৩০ থেকে ৪০ মণ ধান হয়েছে। বাম্পার ফলন হলেও বাজার দর নিয়ে কৃষকরা মহা বিপাকে পড়েছে। লক্ষীরচরের কৃষক কাসেম(৫০) সাত্তার(৪৮) এ প্রতিবেদক কে বলেন প্রতিমন ধান উৎপাদন করতে খরচ হফেছে ৮০০টাকার বেশি। বাজারে বিক্রি করতে গেলে দাম পাওয়া যাচ্ছে ৭০০ থেকে ৭৫০টাকা। ধানের দাম কমার কারন অনুসন্ধান কালে জানা গেছে ধানের বাজার নিয়ন্ত্রন করছে মধ্যস্বত্বভোগীরা। এরা সিন্ডিকেট বানিয়ে ধানের বাজার নিয়ন্ত্রন করছে। যারজন্যে কৃষকরা ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
সরকার কৃষি শিল্পকে রক্ষার জন্য কৃষকদের সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে আর মধ্যস্বত্বভোগীরা কৃষি শিল্পকে ধ্বংস করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। এদিকে মেলান্দহ,মাদারগঞ্জ,ইসলামপুর,দেওয়ানগঞ্জ,বকশীগঞ্জ ও সরিষাবাড়ী উপজেলায় ভয়াবহ সিন্ডিকেট স্থাপন করেছে। এরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বাজার নিয়ন্ত্রন করছে। এদের দৌরাত্ম্য গ্রামের হাট বাজারেও ছড়িয়ে পড়েছে। সরেজমিনে এ উপজেলাধীন বিভিন্ন এলাকা ঘুরে কথা হয় বেশ কয়েকজন কৃষকের সাথে তারা এ প্রতিবেদক কে বলেন, ধানের বাজারদর কোথাও বেশি আবার কোথাও কম। দাম ভিন্ন ভিন্ন হওয়ার কারন সম্পর্কে আরো বলেন, কোন বাজারে ৬শ আবার কোন বাজারে ৭শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অথচ ধান উৎপাদন করতে প্রতিমণে খরচ হচ্ছে ৮শ থেকে ৯শ টাকার উপরে। মহাদান গ্রামের কৃষক সাত্তার(৬০) বলেন সরকারের ভাবমুর্তি বিনষ্ট ও কৃষি শিল্পকে ধ্বংস করার জন্য মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য দিন দিন বেড়েই চলেছে। এই অসাধু চক্রের হাত থেকে গ্রামীন অর্থনীতি রক্ষা করতে না পারলে কৃষি শিল্প ধ্বংস হয়ে যাবে।