চার বছরের শিশু ও নিজ স্ত্রীকে হত্যা করে পালিয়ে যায় পাষণ্ড রুবেল
- আপডেট টাইম : ০৫:৫৬:০১ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ২৪ মার্চ ২০২১
- / ৩৭৬ ৫০০০.০ বার পাঠক
সাইফুল ইসলাম বিপ্লবী স্টাফ রিপোর্টার।।
রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে স্ত্রী ও সন্তানকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে অভিযুক্ত গৃহকর্তা।
নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, স্ত্রী ও সন্তানকে হত্যার পর লাশ ইট ও ভারী পাথর দিয়ে পার্শ্ববর্তী ডোবায় ফেলে দেয় স্বামী। পুলিশ বলছে, পারিবারিক কলহের জের ধরে এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।
এক সপ্তাহ আগে হাসি রাজধানী কড়াইল বস্তিতে বসবাসকারী তার বাবা-মায়ের কাছে চলে আসেন। সোমবার (২৩ মার্চ) দুপুরে হাসিকে দেখতে আসেন তার স্বামী রুবেল। নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, সোমবার রাতে ঝগড়ার এক পর্যায়ে প্রথমে স্ত্রী হাসি ও পরে চার বছরের ছেলে নীরবকে হত্যা করে রুবেল। এরপর স্ত্রী ও সন্তানের লাশের সঙ্গে ইট ও ভারী পাথর বেঁধে পার্শ্ববর্তী ডোবায় ফেলে দেয়া হয়।
স্থানীয়রা বলেন, তাদের গলায় ও ওড়না পেঁচানো ছিল। বেশ মারধর করেছে। কিছু ইট পাথরও ছিল পাশে। মেয়েটাকে রাত ২টায় আর ছেলেটাকে যথাসম্ভব রাত সাড়ে ৩টার দিকে মেরেছে।
স্বজনরা জানান, মঙ্গলবার সকালে রুবেল নিজেই শ্বশুর বাড়ির লোকজনকে ফোন করে স্ত্রী ও সন্তানকে হত্যার কথা স্বীকার করেন।
পুলিশের ধারণা, পারিবারিক কলহের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়ে থাকতে পারে। বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুরে আজম বলেন, পারিবারিক কলহ থেকেই স্বামী তার স্ত্রী ও সন্তানকে খুন করেছে। তাকে গ্রেফতারের জন্য আমাদের অভিযান চলছে। নিহত দুই জনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
রুবেলের এক নিকটাত্মীয় জানান রুবেল দীর্ঘ ২ বছর যাবত পিতা-মাতার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে ঢাকায় চলে যায়। সেখানে সে রাজমিস্ত্রির কাজ নেয়। তার স্ত্রীর বেপরোয়া চলা ও পরোকিয়া প্রেমের কারণে দীর্ঘদিন মনোমালিন্য চলছিল বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন রুবেল অন্যায় করে থাকলে অবশ্যই তার বিচার হওয়া দরকার। তবে তার নিরীহ পিতা-মাতার প্রতি যাতে জুলুম বা হয়রানির শিকার না হয় সে ব্যাপারে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি ও প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন।
উল্লেখ, রুবেল হোসেন
কুমিল্লা জেলার বরুড়া উপজেলা খোশবাস ইউনিয়নের ইলাশপুর গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে।