ঠাকুরগাঁও প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে গোলটেবিল বৈঠক
- আপডেট টাইম : ১২:১৬:২৯ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২০ মার্চ ২০২১
- / ৩৯৫ ৫০০০.০ বার পাঠক
আব্দুল্লাহ আল সুমন বিশেষ প্রতিনিধি (ঠাকুরগাঁও): “তোমার চিন্তার সাথে আমি দ্বিমত পোষণ করতে পারি, কিন্তু তোমার মত প্রকাশের স্বাধীনতার জন্য আমি জীবন দিতে পারি”। এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ঠাকুরগাঁওয়ে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, মত ও চিন্তার স্বাধীনতার আলোকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
শনিবার প্রেস কাব আনিসুল হক মিলনায়তনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ঠাকুরগাঁও লেখক, সাংবাদিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মীবৃন্দের আয়োজনে গোল টেবিল বৈঠকে সাপ্তাহিক সংগ্রামী বাংলা পত্রিকার সম্পাদক সাংবাদিক আব্দুল লতিফের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন ও উপস্থিত ছিলেন, ঠাকুরগাঁও প্রেস ক্লাবের সভাপতি মনসুর আলী, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক শাহীন ফেরদৌস, লেখক ও কলামিস্ট মাসুদ আহমেদ সুবর্ন, ক্রান্তকাল ডট কমের সম্পাদক মাহবুব আলম রুবেল, প্রথম আলোর ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি মজিবর রহমান খান, ছাত্র ইউনিয়ন চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক আশরাফি নিতু, সাংস্কৃতিক কর্মী এমএস আহমেদ রাজু, সাংস্কৃতিক কর্মী অমল টিক্কু, মাহামুদ হাসান প্রিন্স, অনলাইন জার্নালিস্ট এসোশিয়েশনের সভাপতি তানভির হাসান তানু, সাধারণ সম্পাদক শাকিল আহমেদ, নুর আফতাবুল আলম রুপম, নাজমুল ইসলাম, ফজলে ইমাম বুলবুল, বদরুল ইসলাম বিপ্লব, জেলা সিপিবির সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. আবু সায়েম, তরুন সাংবাদিক সোহেল রানা প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা উদীচীর সাধারণ সম্পাদক রেজওয়ানুল হক রিজু।
বক্তারা বলেন, বর্তমান ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন জনগনের ডিজিটাল নিরাপত্তার পরিবর্তে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও মত প্রকাশের প্রধান অন্তরায় হয়ে দেখা দিয়েছে। এ আইনের অধিকাংশ ধারাই সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, মত ও চিন্তার স্বাধীনতার বিপক্ষে। তাই এ আইন বাতিলের সুপারিশ করেন এবং এই আইনে গ্রেফতারকৃতদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানান। অনেকেই এই আইন স্থগিত করে আইনের অপ্রয়োগ রোধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করার সুপারিশ করেন। বক্তারা আরও বলেন, এই আইন আমাদের সংবিধানের ৩৯ নাম্বার অনুচ্ছেদে মত প্রকাশ, চিন্তার স্বাধীনতা ও সংবাদ পত্রের যে স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে তার পরিপন্থি। এছাড়া আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সনদের ১৯ ধারারও পরিপন্থী যা বংলাদেশ ২০০০ সালে এই সনদে স্বাক্ষর করেছিলো। বক্তারা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল ও এ আইনে গ্রেপ্তারকৃত সকলের নি:শর্ত মুক্তির দাবি জানান।