ঢাকা ০৬:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
শপথ নিয়েই যে অঙ্গীকার করলেন চট্টগ্রামের নতুন মেয়র আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে অস্ত্র কেনে হাসিনা সরকার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলি চালানো ৭৪৭ পুলিশ চিহ্নিত বিএনপির ৭ আইনজীবীকে অব্যাহতি, আবেদনকারী যুথিকে লাখ টাকা জরিমানা নারীর স্বাবলম্বী হলে ঘুরে দাঁড়াবে বাংলাদেশ রামপালে নারী সমাবেশে ডক্টর ফরিদ নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নেতৃত্বাধীন ইমরান-জোটন সিন্ডিকেটের হোতারা বহাল পীরগঞ্জে জাতীয় সমবায় দিবস উদযাপনে র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত। ঠাকুরগাঁওয়ে নারী হকি একাডেমী কাপ এর সমাপন ও পুরস্কার বিতরণ গাজীপুরে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় অটো রিকশা চালক নিহত, দুই আরোহী আহত প্রতি সপ্তাহে ২০০ শহীদ পরিবারকে সহযোগিতা করা হবে: সারজিস আলম

বিন্দুমাত্র হারাম খাদ্য ভক্ষণেও ইবাদত কবুল হবে না

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৫:১০:৫০ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর ২০১৭
  • / ৫৫৫ ৫০০০.০ বার পাঠক

ফাইল ছবি

হালাল রুটি-রুজি ইবাদত কবুলের পূর্বশত। হালাল রুটি ও রুজি শুধু নিজের জন্য তা নয়, বরং পরিবারের সবার জন্য প্রযোজ্য। কারণ প্রতিটি খারাপ কর্মের প্রভাব শুধু নিজের ওপরই পড়ে না। তার প্রতিক্রিয়া পরিবার তথা সন্তান-সন্তুতির ওপরও পড়ে। সুতরাং নিজের হালাল উপার্জন দিয়ে জীবিকা অবলম্বন করার পাশাপাশি পরিবারকেও বিন্দু পরিমাণ হারাম ভক্ষণ থেকে হেফাজত করা কালেমায় বিশ্বাসী মুসলমানের ওপর ফরজ।

আল্লাহ বলেন, وَلاَ تَأْكُلُواْ أَمْوَالَكُم بَيْنَكُم بِالْبَاطِلِ وَتُدْلُواْ بِهَا إِلَى الْحُكَّامِ لِتَأْكُلُواْ فَرِيقًا مِّنْ أَمْوَالِ النَّاسِ بِالإِثْمِ وَأَنتُمْ تَعْلَمُونَ অর্থাৎ `তোমরা অন্যায়ভাবে একে অপরের সম্পদ ভোগ করো না। এবং জনগণের সম্পদের কিয়দংশ জেনে-শুনে পাপ পন্থায় আত্নসাৎ করার উদ্দেশে শাসন কতৃপক্ষের হাতেও তুলে দিও না।` সূরা আল-বাক্বারাহ : আয়াত ১৮৮)

দেশে সুদ, ঘুষ, পরের সম্পদ আত্মসাৎ, খাদ্যে ভেজাল, চুরি-ছিনতাই ইত্যাদি বৃদ্ধি পেয়েছে। সম্পদের নেশায় মানুষ পাগল হয়ে উঠছে। আমরা একটু ভাবছি না এর পরিণাম কত ভয়াবহ। ক্ষণস্থায়ী দুনিয়া ছেড়ে অবশ্যই আমাদের প্রস্থান করতে হবে। সম্পদ তখন আমাদের কোনো কাজেই আসবে না। এ বিষয়ে হাদিসে নববিতে অনেক সতর্কবাণী রয়েছে।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে দেহে হারাম খাদ্যে উৎপন্ন মাংস রয়েছে তা জান্নাতে যাবে না। নবী (সা.) আরও বলেছেন, হালাল জীবিকা সন্ধান করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর ফরজ (তাবরানি ও বায়হাকি) ইবাদাত কবুলের জন্য হালাল খাদ্য অন্যতম শর্ত।

হযরত  ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি দশ দিরহাম দিয়ে কোনো বস্ত্র ক্রয় করে এবং সেই দশ দিরহামের মধ্যে একটি দিরহামও হারাম হয় তবে যতক্ষণ সেই বস্ত্র তার পরিধানে থাকবে, ততক্ষণ তার নামাজ কবুল হবে না।

হজর যাবের রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কা’ব ইবনে ওজরাকে বলেছেন,  যে দেহের অস্থি-মজ্জা হারাম সম্পদ দ্বারা প্রতিপালিত হয়েছে তা কখনো বেহেশতে প্রবেশ করবে না এবং একমাত্র দোযখই হবে তার জন্যে সঠিক স্থান।

সুতরাং…
হালাল রুটি ও রুজি ইবাদত কবুলের পূর্বশর্তই নয়। হালাল রুজি নিজের ও পরিবারের জন্য ফরজ। আল্লাহ তাআলা হালাল জীবিকা অন্বেষণের তাওফিক দান করুন। হালাল আয়-ইনকাম করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

জাগোনিউজ২৪.কমের সঙ্গে থাকুন। গুরুত্বপূর্ণ দুআ ও আমল শিখুন। সুন্দর সুন্দর ইসলামি আলোচনা পড়ুন। কুরআন-হাদিস মোতাবেক আমলি জিন্দেগি যাপন করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করুন। আমিন, ছুম্মা আমিন।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বিন্দুমাত্র হারাম খাদ্য ভক্ষণেও ইবাদত কবুল হবে না

আপডেট টাইম : ০৫:১০:৫০ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর ২০১৭

হালাল রুটি-রুজি ইবাদত কবুলের পূর্বশত। হালাল রুটি ও রুজি শুধু নিজের জন্য তা নয়, বরং পরিবারের সবার জন্য প্রযোজ্য। কারণ প্রতিটি খারাপ কর্মের প্রভাব শুধু নিজের ওপরই পড়ে না। তার প্রতিক্রিয়া পরিবার তথা সন্তান-সন্তুতির ওপরও পড়ে। সুতরাং নিজের হালাল উপার্জন দিয়ে জীবিকা অবলম্বন করার পাশাপাশি পরিবারকেও বিন্দু পরিমাণ হারাম ভক্ষণ থেকে হেফাজত করা কালেমায় বিশ্বাসী মুসলমানের ওপর ফরজ।

আল্লাহ বলেন, وَلاَ تَأْكُلُواْ أَمْوَالَكُم بَيْنَكُم بِالْبَاطِلِ وَتُدْلُواْ بِهَا إِلَى الْحُكَّامِ لِتَأْكُلُواْ فَرِيقًا مِّنْ أَمْوَالِ النَّاسِ بِالإِثْمِ وَأَنتُمْ تَعْلَمُونَ অর্থাৎ `তোমরা অন্যায়ভাবে একে অপরের সম্পদ ভোগ করো না। এবং জনগণের সম্পদের কিয়দংশ জেনে-শুনে পাপ পন্থায় আত্নসাৎ করার উদ্দেশে শাসন কতৃপক্ষের হাতেও তুলে দিও না।` সূরা আল-বাক্বারাহ : আয়াত ১৮৮)

দেশে সুদ, ঘুষ, পরের সম্পদ আত্মসাৎ, খাদ্যে ভেজাল, চুরি-ছিনতাই ইত্যাদি বৃদ্ধি পেয়েছে। সম্পদের নেশায় মানুষ পাগল হয়ে উঠছে। আমরা একটু ভাবছি না এর পরিণাম কত ভয়াবহ। ক্ষণস্থায়ী দুনিয়া ছেড়ে অবশ্যই আমাদের প্রস্থান করতে হবে। সম্পদ তখন আমাদের কোনো কাজেই আসবে না। এ বিষয়ে হাদিসে নববিতে অনেক সতর্কবাণী রয়েছে।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে দেহে হারাম খাদ্যে উৎপন্ন মাংস রয়েছে তা জান্নাতে যাবে না। নবী (সা.) আরও বলেছেন, হালাল জীবিকা সন্ধান করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর ফরজ (তাবরানি ও বায়হাকি) ইবাদাত কবুলের জন্য হালাল খাদ্য অন্যতম শর্ত।

হযরত  ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি দশ দিরহাম দিয়ে কোনো বস্ত্র ক্রয় করে এবং সেই দশ দিরহামের মধ্যে একটি দিরহামও হারাম হয় তবে যতক্ষণ সেই বস্ত্র তার পরিধানে থাকবে, ততক্ষণ তার নামাজ কবুল হবে না।

হজর যাবের রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কা’ব ইবনে ওজরাকে বলেছেন,  যে দেহের অস্থি-মজ্জা হারাম সম্পদ দ্বারা প্রতিপালিত হয়েছে তা কখনো বেহেশতে প্রবেশ করবে না এবং একমাত্র দোযখই হবে তার জন্যে সঠিক স্থান।

সুতরাং…
হালাল রুটি ও রুজি ইবাদত কবুলের পূর্বশর্তই নয়। হালাল রুজি নিজের ও পরিবারের জন্য ফরজ। আল্লাহ তাআলা হালাল জীবিকা অন্বেষণের তাওফিক দান করুন। হালাল আয়-ইনকাম করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

জাগোনিউজ২৪.কমের সঙ্গে থাকুন। গুরুত্বপূর্ণ দুআ ও আমল শিখুন। সুন্দর সুন্দর ইসলামি আলোচনা পড়ুন। কুরআন-হাদিস মোতাবেক আমলি জিন্দেগি যাপন করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করুন। আমিন, ছুম্মা আমিন।