ঢাকা ১২:৫৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
ভৈরবে সুইচ গিয়ার এক ছিনতাইকারী কে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১৪ ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহারের বিশুদ্ধানন্দ – শুভানন্দ অডিটোরিয়াম অনুষ্ঠিত ২০২৫ সাজেকে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে একাধিক কটেজ ও রেস্টুরেন্টে রমজানে সরকারি অফিসের সময়সূচি ঘোষণা মুসলিম ‘গণহত্যা’র জন্য ক্ষমা চাইলেন সাবেক থাই প্রধানমন্ত্রী সাবেক আইজিপিসহ ১০৩ পুলিশ কর্মকর্তার বিপিএম-পিপিএম পদক প্রত্যাহার এবার বিপ্লব কুমার সরকার ও মেহেদি হাসান বরখাস্ত ছাত্রীনিবাস থেকে ঢাবি ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার আজমিরীগঞ্জে সিএনজি স্ট্যান্ড দখল নিয় সংঘর্ষ। আহত অর্ধ শতাধিক টঙ্গীতে ডেভিল হান্ট এর অভিযানে আ.লীগের নেত্রী ও তার পাঁচ সহযোগীকে ১৭৫১ পিস ফেনসিডিলসহ গ্রেফতার

গাজীপুরে ঘুমন্ত স্বামী-সন্তানসহ গৃহবধূ দগ্ধ

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ১১:০১:৩৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ মার্চ ২০২১
  • / ২৯৯ ৫০০০.০ বার পাঠক

স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর ॥

গাজীপুরে রান্নার জন্য লাকড়ি জ্বালাতে গিয়ে এক বাড়িতে শনিবার ভয়াবহ বিস্ফোরণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে এক গৃহবধূ এবং তার ঘুমন্ত স্বামী ও সন্তান আগুনে দ্বগ্ধ হয়েছেন। বিষ্ফোরণে ওই বাড়ির দেওয়াল ও দরজা উড়ে যায় ও ধ্বসে পড়ে। আশংকাজনক অবস্থায় ওই তিনজনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।

আগুনে দ্বগ্ধরা হলেন- গাইবান্ধা সদর থানার চাপাদহ পূর্ব পাড়া এলাকার মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদের ছেলে মামুন মিয়া ওরফে সুমন (৩২), মামুনের স্ত্রী মরিয়ম বেগম (২৮) ও সন্তান সাকিন মাহমুদ (৫)।

জিএমপি’র কাশিমপুর থানার ওসি মাহবুবে খুদা ও স্থানীয়রা জানান, গাজীপুর মহানগরের কাশিমপুর থানাধীন সারদাগঞ্জ ভ’ইয়াপাড়া এলাকার জাকির হোসেনের টিনসেড বাড়ীতে স্বপরিবারে ভাড়া থেকে স্থানীয় ডিবিএল গ্রুপের একটি কারখানায় কোয়ালিটি শাখায় চাকুরী করেন মামুন। সাকিন মাহমুদ স্থানীয় একটি মাদ্রাসার নার্সারীর শিক্ষার্থী। প্রতিদিনের মতো কর্মস্থলে যেতে স্বামীর খাবারের প্রস্তুতি নিতে মরিয়ম শনিবার ভোরে ঘুম থেকে উঠে রান্না করতে যান। এসময় তার স্বামী ও সন্তান ঘুমিয়ে ছিল। রান্না ঘরে দেয়াশলাই দিয়ে গ্যাসের চ’লা জ্বালাতেই হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। মুহুর্তেই আগুন পুরো ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। আগুনে দ্বগ্ধ হন মরিয়ম ও তার ঘুমন্ত স্বামী-সন্তান। বিস্ফোরণে রান্না ঘর ও বসত ঘরের দেওয়াল এবং দরজা বাইরের দিকে ধ্বসে পড়ে ও দুরে ছিটকে যায়। বিস্ফোরণের শব্দ শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে আগুন নেভায়। এসময় তারা আগুন দগ্ধ ওই তিনজনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে নিয়ে ভর্তি করেন। দ্গ্ধদের মধ্যে শিশুটির অবস্থা গুরুতর। তার শরীরের অধিকাংশই (প্রায় ৬০ ভাগ) ঝলসে গেছে।

ওই পুলিশ কর্মকর্তা আরো জানান, ওই ঘরসহ রান্না ঘরটি সেফটিক ট্যাংকির উপর নির্মাণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় সেফটিক ট্যাংকিটি অক্ষত রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, দেয়াশলাইয়ের আগুন ঘরের ভেতর আটকে জমে থাকা গ্যাসের সংস্পর্শে এলে এ ঘটনা ঘটে। তবে তিতাস গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে না-কি সেফটিক ট্যাংকির ভেতরে জমে থাকা গ্যাস থেকে এ ঘটনা ঘটেছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

গাজীপুরে ঘুমন্ত স্বামী-সন্তানসহ গৃহবধূ দগ্ধ

আপডেট টাইম : ১১:০১:৩৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ মার্চ ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর ॥

গাজীপুরে রান্নার জন্য লাকড়ি জ্বালাতে গিয়ে এক বাড়িতে শনিবার ভয়াবহ বিস্ফোরণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে এক গৃহবধূ এবং তার ঘুমন্ত স্বামী ও সন্তান আগুনে দ্বগ্ধ হয়েছেন। বিষ্ফোরণে ওই বাড়ির দেওয়াল ও দরজা উড়ে যায় ও ধ্বসে পড়ে। আশংকাজনক অবস্থায় ওই তিনজনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।

আগুনে দ্বগ্ধরা হলেন- গাইবান্ধা সদর থানার চাপাদহ পূর্ব পাড়া এলাকার মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদের ছেলে মামুন মিয়া ওরফে সুমন (৩২), মামুনের স্ত্রী মরিয়ম বেগম (২৮) ও সন্তান সাকিন মাহমুদ (৫)।

জিএমপি’র কাশিমপুর থানার ওসি মাহবুবে খুদা ও স্থানীয়রা জানান, গাজীপুর মহানগরের কাশিমপুর থানাধীন সারদাগঞ্জ ভ’ইয়াপাড়া এলাকার জাকির হোসেনের টিনসেড বাড়ীতে স্বপরিবারে ভাড়া থেকে স্থানীয় ডিবিএল গ্রুপের একটি কারখানায় কোয়ালিটি শাখায় চাকুরী করেন মামুন। সাকিন মাহমুদ স্থানীয় একটি মাদ্রাসার নার্সারীর শিক্ষার্থী। প্রতিদিনের মতো কর্মস্থলে যেতে স্বামীর খাবারের প্রস্তুতি নিতে মরিয়ম শনিবার ভোরে ঘুম থেকে উঠে রান্না করতে যান। এসময় তার স্বামী ও সন্তান ঘুমিয়ে ছিল। রান্না ঘরে দেয়াশলাই দিয়ে গ্যাসের চ’লা জ্বালাতেই হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। মুহুর্তেই আগুন পুরো ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। আগুনে দ্বগ্ধ হন মরিয়ম ও তার ঘুমন্ত স্বামী-সন্তান। বিস্ফোরণে রান্না ঘর ও বসত ঘরের দেওয়াল এবং দরজা বাইরের দিকে ধ্বসে পড়ে ও দুরে ছিটকে যায়। বিস্ফোরণের শব্দ শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে আগুন নেভায়। এসময় তারা আগুন দগ্ধ ওই তিনজনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে নিয়ে ভর্তি করেন। দ্গ্ধদের মধ্যে শিশুটির অবস্থা গুরুতর। তার শরীরের অধিকাংশই (প্রায় ৬০ ভাগ) ঝলসে গেছে।

ওই পুলিশ কর্মকর্তা আরো জানান, ওই ঘরসহ রান্না ঘরটি সেফটিক ট্যাংকির উপর নির্মাণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় সেফটিক ট্যাংকিটি অক্ষত রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, দেয়াশলাইয়ের আগুন ঘরের ভেতর আটকে জমে থাকা গ্যাসের সংস্পর্শে এলে এ ঘটনা ঘটে। তবে তিতাস গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে না-কি সেফটিক ট্যাংকির ভেতরে জমে থাকা গ্যাস থেকে এ ঘটনা ঘটেছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।