নতুন করে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী হলেন মোহাম্মদ এ আরাফাত
- আপডেট টাইম : ০১:৩৮:০০ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ১২ জানুয়ারি ২০২৪
- / ১৬৯ ৫০০০.০ বার পাঠক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের নতুন সরকারে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন মোহাম্মদ আলী আরাফাত। তিনি ঢাকা-১৭ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
নতুন সরকারের মন্ত্রিসভায় স্থান পাওয়া মন্ত্রীদের শপথ অনুষ্ঠানের পর তাদের দপ্তর বণ্টন করে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগের মন্ত্রিসভার বেশ কয়েকজন সদস্য নতুন মন্ত্রিসভায়ও স্থান পেয়েছেন। কারও কারও পূর্বের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রণালয়ও একই আছে। তবে এবারের মন্ত্রিসভায় নতুন মুখই বেশি।
নতুনদের মধ্যে জায়গা পেয়েছেন আওয়ামী লীগের গবেষণাধর্মী কার্যক্রম ও তথ্য-প্রযুক্তি সম্পর্কিত বিষয়গুলোর দেখভাল করা ‘থিংক ট্যাংক’-এর সদস্য হিসেবে পরিচিত অধ্যাপক মোহাম্মদ এ আরাফাত। আরাফাত জাতীয় নির্বাচনে এই প্রথমবার অংশ নেন। যদিও তিনি এর আগে একই আসনে (ঢাকা-১৭) উপনির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন।
এর আগে (১১ জানুয়ারি) রাতে বঙ্গভবনে প্রধানমন্ত্রীসহ নতুন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২২২ আসনে জয়লাভ করে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। ১০ জানুয়ারি শপথ নেন নতুন সংসদ সদস্যরা। শপথ নেওয়ার পর আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যরা সর্বসম্মতিক্রমে দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তাদের সংসদীয় দলের নেতা নির্বাচিত করেন।
সংসদ নেতা হওয়ার পর বুধবার বিকেলে সংসদ সদস্যদের আস্থাভাজন ব্যক্তি হিসেবে শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি শেখ হাসিনাকে নতুন সরকার গঠনের আহ্বান জানান।
এরপর প্রধানমন্ত্রী তার মন্ত্রিসভা গঠন করেন এবং বুধবার সন্ধ্যায় মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের তালিকা নিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করেন। রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রী গঠিত মন্ত্রিসভায় সম্মতি জ্ঞাপন করেন। এরপর মন্ত্রিসভার ওই তালিকা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন বুধবার রাতে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত এক ব্রিফিংয়ে তালিকায় থাকা ২৫ মন্ত্রী ও ১১ প্রতিমন্ত্রীর নাম প্রকাশ করেন। ওই তালিকার একটি কপি তিনি সাংবাদিকদের কাছে হস্তান্তর করেন।
১১ জানুয়ারি বিকেলে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ৩৬ জন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীকে নিয়োগ দিয়েছেন মর্মে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
উল্লেখ্য, গত ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিসহ ২৮টি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়। দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ও তাদের জোটসঙ্গীরা নির্বাচনে অংশ নেয়নি। তারা শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করছে।
নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৯টি আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে গোলযোগের কারণে একটি আসনের ফল স্থগিত রাখা হয়েছে। বাকি ২৯৮টি আসনের ফলাফল প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে ২২২ আসনে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। জাতীয় পার্টি পেয়েছে ১১টি আসন। বাকি ৬৫ আসনের মধ্যে ৬২টিতে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। আর জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি ও কল্যাণ পার্টি পেয়েছে একটি করে আসন।