নওগাঁর আত্রাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি চৌধুরী গোলাম মোস্তফা (৫৮) ছুরিকাঘাতে আহত
- আপডেট টাইম : ১০:৩৭:০২ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩
- / ৯১ ৫০০০.০ বার পাঠক
শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে আত্রাই উপজেলা সদরের সাহেবগঞ্জ রেল স্টেশন এলাকায় নওগাঁ-৬ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ওমর ফারুক সুমনের পক্ষে প্রচার কার্যক্রম চালানোর সময় তাঁকে ছুরিকাঘাত করা হয়। আটককৃত ব্যক্তির নাম শামীম হোসেন ওরফে সানী (২৮)। তাঁর বাড়ি নাটোর জেলার নলডাঙ্গা উপজেলায়।
আত্রাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহুরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, আজ সকাল ১০টার দিকে আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম মোস্তফা সাহেবগঞ্জ বাজারে অবস্থান করছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেল নিয়ে কয়েকজন দুবৃর্ত্ত পেছন থেকে গোলাম মোস্তফার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। গোলাম মোস্তফার পিঠে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় লোকজন শামীম হোসেন নামে এক যুবককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। এবং আহত গোলাম মোস্তফাকে আত্রাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত গোলাম মোস্তফা স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক ওমর ফারুকের নির্বাচনী সমন্বয়কের দায়িত্বে রয়েছেন। তাঁর ওপর হামলার ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী ওমর ফারুক সুমন বলেন, ‘চৌধুরী গোলাম মোস্তফা ভোটের শুরু থেকেই আমার পক্ষে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। তিনি আমার নির্বাচনী সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করছেন। আজ সকালে আমার আরও কিছু কর্মী-সমর্থককে নিয়ে আত্রাই উপজেলা সদরের সাহেবগঞ্জ রেলস্টেশন এলাকায় প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। এ সময় দুই-তিনটি মোটরসাইকেলে করে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা তাঁর ওপর হামলা চালায়। তাঁর পিঠে ধারালো ছুরি দিয়ে বেশ কয়েকটি কোপ দেওয়া হয়েছে।’
ওমর ফারুকের অভিযোগ, ‘হামলাকারীরা নৌকার প্রার্থীর ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনী। কয়েকদিন রাণীনগরে প্রচারণা চালাতে গিয়ে নৌকার প্রার্থীর কর্মীরা আমাদের ওপর হামলা চালায়। ওই ঘটনায় আমার ছয়জন কর্মী আহত হন। নাম উল্লেখ করে মামলা করার পরেও পুলিশ এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করেননি।’
স্বতন্ত্র প্রার্থীর অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নৌকার প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত আত্রাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আক্কাস আলী বলেন, ‘যারা হামলা করেছে তাঁরা ভাড়াটিয়া গুন্ডাবাহিনী। কে বা কারা তাদের ভাড়া করেছে পুলিশই ভালো বলতে পারবে। এখন কেউ একটা অভিযোগ করলে করতেই পারেন। কিন্তু সেটার সত্যতা কতটা রয়েছে সেটা জনগণই বিচার করবে। আমাদের ভাড়া করে কাউকে মারার কোনো প্রয়োজন নেই।