মহাদেবপুরে স্বতন্ত্রপ্রার্থীর কর্মীদের উপর হামলা
- আপডেট টাইম : ১২:৫৭:২২ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৩
- / ৯২ ৫০০০.০ বার পাঠক
নওগাঁর মহাদেবপুর স্বতন্ত্রপ্রার্থীর কর্মীদের উপর একের পর এক হামলা, মারপিট, হুমকি-ধামকি দেয়া হচ্ছে। এনিয়ে নৌকার সমর্থকদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ করা হয়েছে যে, নওগাঁ-৩ (মহাদেবপুর-বদলগাছী) আসনের মহাদেবপুর উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও বদলগাছী উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের কোথাও স্বতন্ত্রপ্রার্থীর নির্বাচনী অফিস করতে দেয়া হবেনা বলে বিভিন্ন সভায় দেয়া বক্তব্যে মাইকে ঘোষণা দেয়া হয়। এরই জের ধরে উপজেলার খাজুর ইউনিয়নের খোর্দকালনা, কুঞ্জবন, রাইগাঁ ইউনিয়নের মাতাজীহাট, সফাপুর ইউনিয়নের পাঠাকাটা, ভীমপুর ইউনিয়নের নওহাটা মোড়, চাঁন্দাশ ইউনিয়নের লাউডাঙ্গ প্রভৃতি স্থানে নির্বাচনী অফিস করতে বাঁধা দেয়া হয়েছে, কর্মীদের মারধর করা হয়েছে ও বিশেষ করে হিন্দু সমর্থক ও কর্মীদের নানান হুমকি ধামকি দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে স্বতন্ত্রপ্রার্থী এমপি সেলিমের ছেলে যুবলীগ নেতা সাকলাইন মাহমুদ রকি বাদি হয়ে গত ১৯ ডিসেম্বর মহাদেবপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয় যে, গত ১৮ ডিসেম্বর সন্ধ্যার পর রকি তাদের কয়েকজন কর্মীসহ খাজুর ইউনিয়নের খোর্দকালনা মন্ডলপাড়া গ্রামের ব্রিজের কাছে তাদের অস্থায়ী নির্বচনী অফিস পরিদর্শনে গেলে নৌকার কর্মীরা সেখানে গিয়ে লোহাড় রড, শাবল, লাঠি প্রভৃতি দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে স্বতন্ত্রপ্রার্থীর নির্বাচনী অফিস ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়। বিষয়টি মোবাইলফোনে মহাদেবপুর থানার ওসিকে জানালে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। কিন্তু পুলিশ চলে যাবার পরই প্রতিপক্ষরা স্বতন্দ্রপ্রার্থীর কর্মীদের উপর হামলা চালায়। এতে রকি, তার ছোট ভাই রাকিবসহ ১০ জন আহত হয়। এদের মধ্যে মারাত্মক আহত চার জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। আবু ইউসুফ মাসুদ বিল্লাহ নামে একজনের ডান হাত ভেঙ্গে গেছে, মাথায় মারাত্মক জখম হয়েছে। তার অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। মামলায় খাজুর ইউপি চেয়ারম্যান বেলাল উদ্দিনের শ্যালক হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামের মাসুদুর রহমান ও জাহাঙ্গীর আলম, ছেলে সাব্বির হোসেন, ফাজিলপুর গ্রামের মৃত আজাদ আলীর ছেলে রাসেল হোসেন, পাটকাটি গ্রামের আহসান কিবরিয়া বল্টু, দেবীপুর গ্রামের মৃত ওমর আলীর ছেলে আরিফুল ইসলাম, কুঞ্জবন গ্রামের নয়ন হোসেন, জোয়ানপুর গ্রামের আবদুল করিমসহ অজ্ঞাতনামা ২০/২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রুহুল আমিন জানান, তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। মহাদেবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারি রিটার্নিং অফিসার কামরুল হাসান সোহাগ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।