ঢাকা ১১:১১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::

ওষুধ ছিটানোর পরও মশা মরছে না ॥ ডিএনসিসি মেয়র

ঢাকা অফিস থেকে।।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন(ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘মশা মারতে ওষুধের যে ডোজ দেওয়া হচ্ছে তাতে অনেকাংশেই মশা মারছে না। তাই ডোজিং আরও বাড়িয়ে দেওয়া যায় কিনা কীটতত্ত্ববিদসহ অন্যান্যদের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে, এতে মানুষের স্বাস্থ্যগত কোনও ক্ষতি হচ্ছে কিনা সে বিষয়টিও দেখা হচ্ছে। সবকিছু ব্যালেন্স করেই কাজ করা হচ্ছে। লক্ষ্য একটাই মশার প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংস করা। মশার প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংস হচ্ছে কিনা তাও থার্ড পার্টির মাধ্যমে নজর রাখা হচ্ছে।

কিউলেক্স মশা নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের অঞ্চলভিত্তিক সমন্বিত অভিযান প্রোগ্রামের দ্বিতীয় দিনে আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টায় রাজধানীর মিরপুর ১ নম্বরের পাইক পাড়া এলাকায় অভিযান শুরু হয়। অভিযান পরিদর্শন করেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।

মেয়র বলেন, ‘ফুটপাতের নিচে যেসব ড্রেন করা হয়েছে, তার টেকনিকেল ভুল রয়েছে। এ ধরনের ভুল থেকে শিক্ষা নিতে হবে। সিটি করপোরেশনের বিশেষজ্ঞদের পরামর্শের পাশাপাশি কিটতত্ত্বদের তাদের সহায়তা নিয়ে কীভাবে ফুটপাত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা যায় এবং সহজেই মশা নিধন করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা করা হবে। অপরিকল্পিতভাবে ঢাকা সিটি গড়ে উঠেছে। ডিএনসিসির সব ওয়ার্ডগুলোকে ১০টি অঞ্চলে ভাগ করে প্রতিদিন এক একটি অঞ্চলে মশার ওষুধ ছিটানো হবে। সমন্বিতভাবে মশা নিধনের কাজ চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এই ধারা অব্যাহত থাকবে। ’

তিনি বলেন, ‘প্রতি কিলোমিটার ১৫ মিনিটের বেশি সময় ধরে ওষুধ ছিটাতে হবে। আগে শেষ করা যাবে না। আগামী ১০ দিন ক্র্যাশ প্রোগ্রামের সফলতা কী দাঁড়ায় এ বিষয়টি পরবর্তীতে অবহিত করা হবে। এই মশা নিধন কার্যক্রমে থার্ড পার্টি ও নিয়োগ দেয়া হয়েছে। করপোরেশনের ও বিভিন্ন ভুলভ্রান্তি রয়েছে। এসব ভুল-ভ্রান্তি থেকে শিক্ষা নিয়ে নাগরিক সেবা কীভাবে বাড়ানো যায় সে বিষয়ে কাজ করছে সিটি করপোরেশন।’

মেয়র বলেন, সিটি করপোরেশনের ১২০০ কর্মী একযোগে এই প্রোগ্রামে ওষুধ ছিটানোর কাজ করছে। তারা ঠিকমতো কাজ করছে কিনা এ বিষয়টি মনিটরিং করা অবশ্যই চ্যালেঞ্জের বিষয়। এই মনিটরিং এর জন্য কাজের তদারকি স্বচ্ছতার জন্যে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে হাজিরা নিশ্চিত করা হবে। গতকাল দেখা গেছে ৬০ থেকে ৭০ জন কর্মী অনুপস্থিত ছিল। আজ অনেকেই অনুপস্থিত রয়েছে।

এর আগে সকাল থেকে রাজধানীর মিরপুর ১ নাম্বারে পাইকপাড়া আবাসিক কলোনি এলাকায় জড়ো হন মশক নিধন কর্মীরা। তবে কি পরিমাণ সদস্য মশক নিধন কার্যক্রমে অংশ নিয়েছে সে বিষয়ে সঠিক কোনও পরিসংখ্যান পাওয়া যায়নি।

এসময় ডিএনসিসির কর্মকর্তা ছাড়াও অনেকে উপস্থিত ছিলেন। শুক্রবার ছাড়া আগামী ১৬ মার্চ পর্যন্ত চলবে মশা নিধনে এ ক্র্যাশ প্রোগ্রাম।

আরো খবর.......

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রচন্ড খড়া রোদে ডিএমপি কমিশনারের স্বস্থির উদ্যোগ

ওষুধ ছিটানোর পরও মশা মরছে না ॥ ডিএনসিসি মেয়র

আপডেট টাইম : ০৮:২২:৪৩ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৯ মার্চ ২০২১

ঢাকা অফিস থেকে।।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন(ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘মশা মারতে ওষুধের যে ডোজ দেওয়া হচ্ছে তাতে অনেকাংশেই মশা মারছে না। তাই ডোজিং আরও বাড়িয়ে দেওয়া যায় কিনা কীটতত্ত্ববিদসহ অন্যান্যদের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে, এতে মানুষের স্বাস্থ্যগত কোনও ক্ষতি হচ্ছে কিনা সে বিষয়টিও দেখা হচ্ছে। সবকিছু ব্যালেন্স করেই কাজ করা হচ্ছে। লক্ষ্য একটাই মশার প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংস করা। মশার প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংস হচ্ছে কিনা তাও থার্ড পার্টির মাধ্যমে নজর রাখা হচ্ছে।

কিউলেক্স মশা নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের অঞ্চলভিত্তিক সমন্বিত অভিযান প্রোগ্রামের দ্বিতীয় দিনে আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টায় রাজধানীর মিরপুর ১ নম্বরের পাইক পাড়া এলাকায় অভিযান শুরু হয়। অভিযান পরিদর্শন করেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।

মেয়র বলেন, ‘ফুটপাতের নিচে যেসব ড্রেন করা হয়েছে, তার টেকনিকেল ভুল রয়েছে। এ ধরনের ভুল থেকে শিক্ষা নিতে হবে। সিটি করপোরেশনের বিশেষজ্ঞদের পরামর্শের পাশাপাশি কিটতত্ত্বদের তাদের সহায়তা নিয়ে কীভাবে ফুটপাত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা যায় এবং সহজেই মশা নিধন করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা করা হবে। অপরিকল্পিতভাবে ঢাকা সিটি গড়ে উঠেছে। ডিএনসিসির সব ওয়ার্ডগুলোকে ১০টি অঞ্চলে ভাগ করে প্রতিদিন এক একটি অঞ্চলে মশার ওষুধ ছিটানো হবে। সমন্বিতভাবে মশা নিধনের কাজ চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এই ধারা অব্যাহত থাকবে। ’

তিনি বলেন, ‘প্রতি কিলোমিটার ১৫ মিনিটের বেশি সময় ধরে ওষুধ ছিটাতে হবে। আগে শেষ করা যাবে না। আগামী ১০ দিন ক্র্যাশ প্রোগ্রামের সফলতা কী দাঁড়ায় এ বিষয়টি পরবর্তীতে অবহিত করা হবে। এই মশা নিধন কার্যক্রমে থার্ড পার্টি ও নিয়োগ দেয়া হয়েছে। করপোরেশনের ও বিভিন্ন ভুলভ্রান্তি রয়েছে। এসব ভুল-ভ্রান্তি থেকে শিক্ষা নিয়ে নাগরিক সেবা কীভাবে বাড়ানো যায় সে বিষয়ে কাজ করছে সিটি করপোরেশন।’

মেয়র বলেন, সিটি করপোরেশনের ১২০০ কর্মী একযোগে এই প্রোগ্রামে ওষুধ ছিটানোর কাজ করছে। তারা ঠিকমতো কাজ করছে কিনা এ বিষয়টি মনিটরিং করা অবশ্যই চ্যালেঞ্জের বিষয়। এই মনিটরিং এর জন্য কাজের তদারকি স্বচ্ছতার জন্যে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে হাজিরা নিশ্চিত করা হবে। গতকাল দেখা গেছে ৬০ থেকে ৭০ জন কর্মী অনুপস্থিত ছিল। আজ অনেকেই অনুপস্থিত রয়েছে।

এর আগে সকাল থেকে রাজধানীর মিরপুর ১ নাম্বারে পাইকপাড়া আবাসিক কলোনি এলাকায় জড়ো হন মশক নিধন কর্মীরা। তবে কি পরিমাণ সদস্য মশক নিধন কার্যক্রমে অংশ নিয়েছে সে বিষয়ে সঠিক কোনও পরিসংখ্যান পাওয়া যায়নি।

এসময় ডিএনসিসির কর্মকর্তা ছাড়াও অনেকে উপস্থিত ছিলেন। শুক্রবার ছাড়া আগামী ১৬ মার্চ পর্যন্ত চলবে মশা নিধনে এ ক্র্যাশ প্রোগ্রাম।