ঢাকা ০৫:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
সংঘাত বাড়লে আরও ধুঁকবে পাকিস্তানের অর্থনীতি: মুডিস ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রকে যে শর্ত দিল পাকিস্তান দ্বিতীয় দিনের মতো শাহবাগে চলছে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ শাহবাগে দ্বিতীয় দিনের মতো ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ চলছে আজমিরীগঞ্জে সরকারি জমিতে অবৈধ ভবন নির্মাণ, প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই চলছে কাজ নাসিরনগরের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত এক সাভারের মজিদপুর এলাকায় মেয়ের আদালতের দর্শনের শাস্তি বাবার মৃত্যুদণ্ড চার শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় ১৯ আ. লীগ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার আ.লীগ নিষিদ্ধের ব্যাপারে দ্রুতই সিদ্ধান্ত: অন্তর্বর্তী সরকারের বিবৃতি মুরগিসহ সবজির পণ্যর দাম আগুন ইসলাম শান্তির ধর্ম, কিন্তু ইসলামিক দেশগুলোতেই কেন শান্তিহীনতা?

উখিয়া-টেকনাফের আশ্রয় শিবির থেকে ভাসানচরের উদ্দেশে ১৬ শত রোহিঙ্গা রওনা দিয়েছে

শাকুর মাহমুদ চৌধুরী, উখিয়া থেকেঃ
  • আপডেট টাইম : ১২:৪৯:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ১৭১ ১৫০০০.০ বার পাঠক

কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের আশ্রয় শিবির থেকে রওনা করেছেন ১৬০০ রোহিঙ্গা। এর মধ্যে নতুন ১২০০ ও ভাসানচর থেকে ক্যাম্পে বেড়াতে আসাদের মধ্যে রয়েছেন ৪০০ জন।

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরের পর থেকে ক্যাম্প থেকে তাদেরকে উখিয়া ডিগ্রি কলেজের মাঠের অস্থায়ী কেন্দ্রে আনা হয়। পরে তাদেরকে রাত ১১টার দিকে পুলিশ পাহারায় ভাসানচরের উদ্দেশে পাঠানো হয়েছে। এসব রোহিঙ্গা গাড়িযোগে আগে চট্টগ্রামে যাবেন ও পরে জাহাজে করে ভাসানচরে রওনা দেবেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি আমির জাফর।

তিনি বলেন, ‘বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকে টেকনাফ ও উখিয়ার আশ্রয় শিবির থেকে উখিয়া ডিগ্রি কলেজের মাঠে অস্থায়ী কেন্দ্রে রোহিঙ্গাদের আনা হয়। পরে রোহিঙ্গাদের তথ্য যাচাইবাছাই ও স্বাস্থ্য পরীক্ষাসহ প্রয়োজনীয় কার্যক্রম করা হয়। এই কার্যক্রম শেষে রাত ১১টার দিকে ৩৪টি বাসযোগে ১২০০ নতুন রোহিঙ্গা ও ভাসানচর থেকে ক্যাম্পে বেড়াতে আসা ৪০০ রোহিঙ্গাসহ মোট ১৬০০ রোহিঙ্গাকে বাসযোগে পুলিশি পাহারায় চট্টগ্রামের উদ্দেশে পাঠানো হয়। সেখান থেকে আবার নৌ-বাহিনীর জাহাজে করে শুক্রবার ভাসানচরে পৌঁছাবেন। তাদের গাড়ি বহরে সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, অ্যাম্বুলেন্সসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার লোকজন রয়েছেন।

উখিয়ার বালুখালী ক্যাম্প-১০ এর সাদেক হোসাইন বলেন, ‘ভাসানচরে আমাদের পরিচিত রোহিঙ্গাদের মাধ্যমে শুনেছি সেখানখার পরিবেশ-পরিস্থিতি ভালো আছে। ঝামেলা ছাড়াই বসবাস করা যায়। এই ক্যাম্পে দিন দিন খুনের ঘটনা, অপহরণ ও মাদক ব্যবসা বেড়েই চলছে। তাই সপরিবারে নিরাপদে ভাসানচরে থাকার জন্য স্বেচ্ছায় চলে যাচ্ছি। তবে কোনোদিন নিজ দেশ মিয়ানমারে নিজেদের বসতবাড়িতে যাওয়ার সুযোগ হলে সেদিন ভাসানচর থেকে ফিরে আসবে।

অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ সামছুদ্দৌজা বলেন, ‘উখিয়া থেকে ছেড়ে যাওয়া রোহিঙ্গাদের বহনকারী বাসগুলো চট্টগ্রামে পৌঁছানোর পর নৌ-বাহিনীর জাহাজে তুলে নোয়াখালীর ভাসানচর আশ্রয়কেন্দ্রে স্থানান্তর করা হবে। তবে তাদের মধ্যেই বেশির ভাগ নারী ও শিশু রয়েছেন। রোহিঙ্গাদের উন্নত জীবনযাপনের সব ব্যবস্থা ভাসানচরে করা আছে।’

উখিয়া-টেকনাফের আশ্রয় শিবিরে রোহিঙ্গাদের চাপ কমাতে নোয়াখালী ভাসানচরে ১৩ হাজার একর আয়তনের এই স্থানে ১ লাখ রোহিঙ্গা বসবাসের উপযোগী করে ১২০টি গুচ্ছ গ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। তথ্যানুযায়ী নৌ-বাহিনীর তত্ত্বাবধানে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ৩ হাজার ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। এর আগে আরও কয়েক দফা আশ্রয় শিবির থেকে রোহিঙ্গারা স্বেচ্ছায় ভাসানচরে গিয়ে বর্তমানে বসবাস করছেন।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

উখিয়া-টেকনাফের আশ্রয় শিবির থেকে ভাসানচরের উদ্দেশে ১৬ শত রোহিঙ্গা রওনা দিয়েছে

আপডেট টাইম : ১২:৪৯:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৩

কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের আশ্রয় শিবির থেকে রওনা করেছেন ১৬০০ রোহিঙ্গা। এর মধ্যে নতুন ১২০০ ও ভাসানচর থেকে ক্যাম্পে বেড়াতে আসাদের মধ্যে রয়েছেন ৪০০ জন।

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরের পর থেকে ক্যাম্প থেকে তাদেরকে উখিয়া ডিগ্রি কলেজের মাঠের অস্থায়ী কেন্দ্রে আনা হয়। পরে তাদেরকে রাত ১১টার দিকে পুলিশ পাহারায় ভাসানচরের উদ্দেশে পাঠানো হয়েছে। এসব রোহিঙ্গা গাড়িযোগে আগে চট্টগ্রামে যাবেন ও পরে জাহাজে করে ভাসানচরে রওনা দেবেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি আমির জাফর।

তিনি বলেন, ‘বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকে টেকনাফ ও উখিয়ার আশ্রয় শিবির থেকে উখিয়া ডিগ্রি কলেজের মাঠে অস্থায়ী কেন্দ্রে রোহিঙ্গাদের আনা হয়। পরে রোহিঙ্গাদের তথ্য যাচাইবাছাই ও স্বাস্থ্য পরীক্ষাসহ প্রয়োজনীয় কার্যক্রম করা হয়। এই কার্যক্রম শেষে রাত ১১টার দিকে ৩৪টি বাসযোগে ১২০০ নতুন রোহিঙ্গা ও ভাসানচর থেকে ক্যাম্পে বেড়াতে আসা ৪০০ রোহিঙ্গাসহ মোট ১৬০০ রোহিঙ্গাকে বাসযোগে পুলিশি পাহারায় চট্টগ্রামের উদ্দেশে পাঠানো হয়। সেখান থেকে আবার নৌ-বাহিনীর জাহাজে করে শুক্রবার ভাসানচরে পৌঁছাবেন। তাদের গাড়ি বহরে সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, অ্যাম্বুলেন্সসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার লোকজন রয়েছেন।

উখিয়ার বালুখালী ক্যাম্প-১০ এর সাদেক হোসাইন বলেন, ‘ভাসানচরে আমাদের পরিচিত রোহিঙ্গাদের মাধ্যমে শুনেছি সেখানখার পরিবেশ-পরিস্থিতি ভালো আছে। ঝামেলা ছাড়াই বসবাস করা যায়। এই ক্যাম্পে দিন দিন খুনের ঘটনা, অপহরণ ও মাদক ব্যবসা বেড়েই চলছে। তাই সপরিবারে নিরাপদে ভাসানচরে থাকার জন্য স্বেচ্ছায় চলে যাচ্ছি। তবে কোনোদিন নিজ দেশ মিয়ানমারে নিজেদের বসতবাড়িতে যাওয়ার সুযোগ হলে সেদিন ভাসানচর থেকে ফিরে আসবে।

অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ সামছুদ্দৌজা বলেন, ‘উখিয়া থেকে ছেড়ে যাওয়া রোহিঙ্গাদের বহনকারী বাসগুলো চট্টগ্রামে পৌঁছানোর পর নৌ-বাহিনীর জাহাজে তুলে নোয়াখালীর ভাসানচর আশ্রয়কেন্দ্রে স্থানান্তর করা হবে। তবে তাদের মধ্যেই বেশির ভাগ নারী ও শিশু রয়েছেন। রোহিঙ্গাদের উন্নত জীবনযাপনের সব ব্যবস্থা ভাসানচরে করা আছে।’

উখিয়া-টেকনাফের আশ্রয় শিবিরে রোহিঙ্গাদের চাপ কমাতে নোয়াখালী ভাসানচরে ১৩ হাজার একর আয়তনের এই স্থানে ১ লাখ রোহিঙ্গা বসবাসের উপযোগী করে ১২০টি গুচ্ছ গ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। তথ্যানুযায়ী নৌ-বাহিনীর তত্ত্বাবধানে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ৩ হাজার ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। এর আগে আরও কয়েক দফা আশ্রয় শিবির থেকে রোহিঙ্গারা স্বেচ্ছায় ভাসানচরে গিয়ে বর্তমানে বসবাস করছেন।