ঢাকা ১২:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪

সাবেক মন্ত্রী এম.কে আনোয়ার এর ষষ্ঠ মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল

আলাউদ্দিন মিয়া. হোমনা(কুমিল্লা) প্রতিনিধি:
  • আপডেট টাইম : ১২:০৮:৪৯ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৩
  • / ২২১ ৫০০০.০ বার পাঠক

কুমিল্লা- ০১ ও ০২ (হোমনা-তিতাস ও মেঘনা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাবেক মন্ত্রী পরিষদ সচিব, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী এম.কে আনোয়ারের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) সকাল ১০ টায় হোমনায় মরহুম এম.কে আনোয়ারের বাস ভবনে তাঁর বড় ছেলে মাহমুদ আনোয়ার কাইজারের উদ্যোগে তাঁর বাবা এম কে আনোয়ার ও মা মাহমুদা আনোয়ারের কবর জিয়ারত, কোরআনখানি এবং তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের অনুষ্ঠান করেছেন।
এতে পরিবারের সদস্য, আত্মীয়স্বজন ছাড়াও বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার প্রাক্তন এপিএস-২ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সাবেক উপ সচিব ইঞ্জিনিয়ার আবদুল মতিন খান, বিএনপির গণ শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিস ভূইয়া সহ দলীয় নেতাকর্মী ও শুভাকাঙ্খী এতে অংশ গ্রহণ করেন।

জানাগেছে, ২০১৭ সালে ২৪ অক্টোবর ঢাকার এলিফ্যান্ট রোডের নিজ বাসভবনে বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি ইন্তেকাল করেন। ইন্না নিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি ররাজিউন। পরে হোমনাস্থ বাসভবনের পূর্বপাশে তাঁকে দাফন করা হয়। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। মৃত্যুর আগে বর্তমান সরকারের দেয়া গাড়িতে অগ্নি সংযোগ, নাইকো ও গেটকো সহ একাধিক মামলার আসামী হয়ে কারাবরণ করেছেন।

মরহুম এম কে আনোয়ারের পুরো নাম মো. খোরশেদ আনোয়ার, পিতার নাম মো. আবিদ আলী মাষ্টার। তিনি ১৯৩৩ সালের ১ জানুয়ারি কুমিল্লা জেলার হোমনা উপজেলার ওপারচর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি হোমনা উচ্চ বিদ্যালয় ও মাথাভাঙ্গ ভৈরব উচ্চ বিদ্যালয়ে লেখা পড়া করেছেন। তবে গৌরীপুর সুবল আফতাব উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মেট্রিক পাশ করেন। পরবর্তীতে ঢাকা কলেজ থেকে আইএসসি পাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিসংখ্যান বিভাগে ভর্তি হন। সেখান থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়ে ১৯৫৩ সালে সিএসপি কর্মকর্তা হিসেবে ঝিনাই দাহ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসাবে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন।তিনি বাংলাদেশ সরকারের একাধিক মন্ত্রনালয়ের সচিব পদে চাকুরী করেছেন। ১৯৯১ সালে সরকারের সর্বোচ্চ পদ মন্ত্রী পরিষদ সচিব পদ থেকে অবসর গ্রহন করেন।

পরবর্তীতে বিএনপিতে যোগ দিয়ে ১৯৯১ সাল থেকে কুমিল্রা-০১( হোমনা- দাউদকান্দির আংশিক) আসন ও কুমিল্লা-০২( হোমনা- তিতাস) আসন থেকে পাঁচবার জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি বিএনপি সরকারের বানিজ্য, নৌ পরিবহন, শিল্প, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং কৃষি মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ।
তাঁর সময়ে হোমনা- গৌরীপুর রাস্তা, হোমনা মুরাদনগর রাস্তা, হোমনা- মেঘনা রাস্তা, হোমনা- রামচন্দ্রপুর রাস্তা,কৃষি ইসস্টিটিউট, বিএডিসি হিমাগার,কৃষক প্রশিক্ষন কেন্দ্র সহ হোমনা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়,খাদিজা মেমোরিয়াল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়,মেঘনার সাহারা লতিফ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, রামকৃষ্ণপুর ডিগ্রি কলেজ সহ বিভিন্ন সড়কে একাধিক ব্রীজ নির্মিত হয়।
এ ছাড়া তাঁর আমলে মেঘনা উপজেলায় পল্লী বিদ্যুৎ সংযোগসহ হোমনা, মেঘনা ও তিতাস উপজেলায় অবকাঠামো উন্নয়ন সহ যথেষ্ট উন্নয়ন মুলক কাজ বাস্তবায়িত হয়েছে।

মরহুম এম কে আনোয়ার ও মরহুমা মাহমুদা আনোয়ার দুই পুত্র মাহমুদ আনোয়ার ও মাসুদ আনোয়ার ও এক কন্যা খাদিজা আক্তার রীনাসহ অসংখ্য দলীয় কর্মী,হিতাকাঙ্খী,গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।

এ দিকে শিক্ষাজীবনে মরহুম এম কে আনোয়ার ঢাকা কলেজের তৎকালীন ছাত্র সংসদের সদস্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হল ছাত্র সংসদের সহ সভাপতি (ভিপি) নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা জিএস (সাধারণ সম্পাদক) ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হিসাবে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহন করে ছিলেন।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

সাবেক মন্ত্রী এম.কে আনোয়ার এর ষষ্ঠ মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল

আপডেট টাইম : ১২:০৮:৪৯ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৩

কুমিল্লা- ০১ ও ০২ (হোমনা-তিতাস ও মেঘনা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাবেক মন্ত্রী পরিষদ সচিব, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী এম.কে আনোয়ারের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) সকাল ১০ টায় হোমনায় মরহুম এম.কে আনোয়ারের বাস ভবনে তাঁর বড় ছেলে মাহমুদ আনোয়ার কাইজারের উদ্যোগে তাঁর বাবা এম কে আনোয়ার ও মা মাহমুদা আনোয়ারের কবর জিয়ারত, কোরআনখানি এবং তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের অনুষ্ঠান করেছেন।
এতে পরিবারের সদস্য, আত্মীয়স্বজন ছাড়াও বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার প্রাক্তন এপিএস-২ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সাবেক উপ সচিব ইঞ্জিনিয়ার আবদুল মতিন খান, বিএনপির গণ শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিস ভূইয়া সহ দলীয় নেতাকর্মী ও শুভাকাঙ্খী এতে অংশ গ্রহণ করেন।

জানাগেছে, ২০১৭ সালে ২৪ অক্টোবর ঢাকার এলিফ্যান্ট রোডের নিজ বাসভবনে বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি ইন্তেকাল করেন। ইন্না নিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি ররাজিউন। পরে হোমনাস্থ বাসভবনের পূর্বপাশে তাঁকে দাফন করা হয়। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। মৃত্যুর আগে বর্তমান সরকারের দেয়া গাড়িতে অগ্নি সংযোগ, নাইকো ও গেটকো সহ একাধিক মামলার আসামী হয়ে কারাবরণ করেছেন।

মরহুম এম কে আনোয়ারের পুরো নাম মো. খোরশেদ আনোয়ার, পিতার নাম মো. আবিদ আলী মাষ্টার। তিনি ১৯৩৩ সালের ১ জানুয়ারি কুমিল্লা জেলার হোমনা উপজেলার ওপারচর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি হোমনা উচ্চ বিদ্যালয় ও মাথাভাঙ্গ ভৈরব উচ্চ বিদ্যালয়ে লেখা পড়া করেছেন। তবে গৌরীপুর সুবল আফতাব উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মেট্রিক পাশ করেন। পরবর্তীতে ঢাকা কলেজ থেকে আইএসসি পাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিসংখ্যান বিভাগে ভর্তি হন। সেখান থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়ে ১৯৫৩ সালে সিএসপি কর্মকর্তা হিসেবে ঝিনাই দাহ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসাবে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন।তিনি বাংলাদেশ সরকারের একাধিক মন্ত্রনালয়ের সচিব পদে চাকুরী করেছেন। ১৯৯১ সালে সরকারের সর্বোচ্চ পদ মন্ত্রী পরিষদ সচিব পদ থেকে অবসর গ্রহন করেন।

পরবর্তীতে বিএনপিতে যোগ দিয়ে ১৯৯১ সাল থেকে কুমিল্রা-০১( হোমনা- দাউদকান্দির আংশিক) আসন ও কুমিল্লা-০২( হোমনা- তিতাস) আসন থেকে পাঁচবার জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি বিএনপি সরকারের বানিজ্য, নৌ পরিবহন, শিল্প, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং কৃষি মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ।
তাঁর সময়ে হোমনা- গৌরীপুর রাস্তা, হোমনা মুরাদনগর রাস্তা, হোমনা- মেঘনা রাস্তা, হোমনা- রামচন্দ্রপুর রাস্তা,কৃষি ইসস্টিটিউট, বিএডিসি হিমাগার,কৃষক প্রশিক্ষন কেন্দ্র সহ হোমনা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়,খাদিজা মেমোরিয়াল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়,মেঘনার সাহারা লতিফ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, রামকৃষ্ণপুর ডিগ্রি কলেজ সহ বিভিন্ন সড়কে একাধিক ব্রীজ নির্মিত হয়।
এ ছাড়া তাঁর আমলে মেঘনা উপজেলায় পল্লী বিদ্যুৎ সংযোগসহ হোমনা, মেঘনা ও তিতাস উপজেলায় অবকাঠামো উন্নয়ন সহ যথেষ্ট উন্নয়ন মুলক কাজ বাস্তবায়িত হয়েছে।

মরহুম এম কে আনোয়ার ও মরহুমা মাহমুদা আনোয়ার দুই পুত্র মাহমুদ আনোয়ার ও মাসুদ আনোয়ার ও এক কন্যা খাদিজা আক্তার রীনাসহ অসংখ্য দলীয় কর্মী,হিতাকাঙ্খী,গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।

এ দিকে শিক্ষাজীবনে মরহুম এম কে আনোয়ার ঢাকা কলেজের তৎকালীন ছাত্র সংসদের সদস্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হল ছাত্র সংসদের সহ সভাপতি (ভিপি) নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা জিএস (সাধারণ সম্পাদক) ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হিসাবে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহন করে ছিলেন।