ঢাকা ০১:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
মনোহরদীতে মডেল মসজিদের বকেয়া বিদ্যুৎ বিল প্রায় ৫ লাখ টাকা ভোটের আগে বারুইপুর জেলা পুলিশের বড় সাফল্য, বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার, গ্রেপ্তার কলেজ পড়ুয়া জাঙ্গালিয়া ইউনিয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্কুল এন্ড কলেজ মাঠ প্রাঙ্গনে হাজী মো: মকবুল হোসেনের বিশাল জনসভা ফুলবাড়ীতে গবাদিপশুর লাম্পি স্কিন ডিজিজ বিষয়ক সচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত অধিকার ও মানবাধিকার কর্মীদের উদ্বেগ মানবাধিকার পরিস্থিতিতে অগ্রগতি নেই বাংলাদেশের হজ ভিসায় জেদ্দা, মদিনা ও মক্কার বাইরে যেতে পারবেন না হাজীরা জামালপুরে পাটের পরিবর্তে, পাট শাক চাষ উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে গাজা ট্র্যাজেডি থেকে যে শিক্ষা নিতে বললেন তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ধানের চাল কত টাকা কিনা হবে জানালেন মন্ত্রী সুন্দরবনের অগ্নিকান্ডের দায়ভার বনবিভাগকেই নিতে হবে

মন্ডপে মণ্ডপে শিশুদের মিস্টি খাওয়ালেন আনসার বাহিনীর জেলা কমান্ডেন্ট মইনুল ইসলাম

ষষ্ঠী পূজোর মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয়া দূর্গা পূজা। এসব উৎসবে শিশুদের আনন্দ যেন একটু বেশিই। শারদীয়া দূর্গাৎসব উপলক্ষ্যে শিশুরা বাহারী পোশাক পরে নানান খাবার খেয়ে আনন্দ উৎসবে মেতে উঠেছে। এসব শিশুদের আনন্দ উৎসব আরও বাড়িয়ে দিতে মন্ডপে মন্ডপে শিশুদেরকে মিস্টি খাইয়েছেন বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর শরীয়তপুর জেলা কমান্ডেন্ট মো. মইনুল ইসলাম,শরীয়তপুর জেলা আনসার বাহিনীর সহকারি কমান্ডেন্ট ফারুক ইসলাম, সার্কেল এ্যাডজুট্যান্ট আব্দুল মান্নান মিয়া।

সোমবার (২৩ অক্টোবর) বিকেল ৫ টা থেকে রাত ১০ পর্যন্ত শরীয়তপুর জেলার ছয়টি উপজেলার বিভিন্ন মন্ডপে শারদীয় শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে মন্ডপে আসা শিশুদেরকে এ মিস্টি খাইয়েছেন।

জানা যায়, জেলা কমান্ডেন্ট মো. মইনুল ইসলাম শরীয়তপুরে যোগদানের পর থেকে জেলার সর্বস্তরের মানুষের জন্য আনসার বাহিনীর সেবা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছেন। যেকোনো উৎসবে শিশুরা সবচেয়ে বেশি আনন্দ করে।আনন্দ উৎসব শিশুদের বিকাশে সহায়তা করে। শিশুরাই দেশের আগামির ভবিষ্যত। শিশুদের সুষ্ঠু বিকাশে তাদেরকে আরও বেশি আনন্দ দিতেই বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল একেএম আমিনুল হক, মহোদয়ের নির্দেশে তিনি এ মিস্টি বিতরণ করেছেন।

বিপাসা নামে সাত বছরের এক শিশু মন্ডপে এসেছে দূর্গা মাকে প্রণাম করতে। বিপাসাকে মিস্টি খাইয়েছেন মইনুল ইসলাম। মিস্টি খেয়ে বিপাসা বলে, দূর্গা উৎসব আমাদের বড় উৎসব। এই উৎসবে একটু বেশিই আনন্দ। মন্ডপে আসার পরে স্যার আমাকে মিস্টি খাইয়েছেন। মিস্টি খেতে ভালো লাগে। স্যারকে ধন্যবাদ।

আরাধা নামে আরেক শিশু বলে, আমার প্রিয় খাবার মিস্টি। পূজোতে এলে স্যারেরা মিস্টি দেয়, তা আমি জানতাম না। মিস্টি খেয়ে ভালো লেগেছে।

ডামুড্যা উত্তর বাজার হরিসভা মন্দিরের সভাপতি দিলিপ দাস বলেন, পূজো শুরুর দিন থেকে আনসার ও পুলিশ বাহিনী সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা দিচ্ছেন আমাদের। হঠাৎ করেই সন্ধ্যার দিকে মইনুল ইসলাম স্যার এসে বাচ্চাদেরসহ আমাদেরকে মিস্টি খাওয়ালেন। তার এই আন্তরিকতায় আমরা বিমোহিত। প্রশাসনের লোকজন এভাবে এগিয়ে আসলে আমরা নিরাপদে পূজা আর্চনা করতে পারি।

সখিপুর বাজার মন্দিরের সভাপতি লিটন ঘোষ বলেন, সখিপুরে আমরা মাত্র ১১ টি পরিবার হিন্দু সম্প্রদায়ের। এই অল্প সংখ্যক মানুষকে নিরাপত্তা দিতে এখানে সব সময় আনসার ও পুলিশ বাহিনী নিরাপত্তা দিচ্ছে। হঠাৎ করেই পূজার মন্ডপে এসে বাচ্চাদের মিস্টি খাওয়ানোকে আমি এই অর্থে বুঝি যে, এমন প্রশাসনিক লোক থাকলে দেশে আমরা নিরাপদে বসবাস করতে পারব, সুন্দরভাবে নির্বিঘ্নে পূজা অনুষ্ঠান করতে পারব।

বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর শরীয়তপুর জেলা কমান্ডেন্ট মো. মইনুল ইসলাম বলেন, যেকোনো উৎসব মানে শিশুদের আনন্দ। শিশুদের আনন্দ না থাকলে কোনো কিছুই সফল হয় না। শিশুরা ফুলের মত, ওরা মিস্টি খেতে পছন্দ করে বলেই ওদেরকে খাইয়েছি। ওরা আনন্দ পেয়েছে, এটাই আমার সফলতা।

উল্লেখ্য, এবছর শরীয়তপুর জেলায় সার্বজনীন শারদীয় দূর্গাৎসব নির্বিঘ্নে পালনের জন্য জেলার ৯৮ টি মন্দিরে ৬৫২ জন আনসার সদস্য পূজা মণ্ডপের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য দায়িত্ব পালন করছেন।

এছাড়া তিনি আরো জানান, শরীয়তপুর জেলায় যে কোন আপদকালীনের জন্য ব্যাটালিয়ান আনসার টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যেকোনো জরুরী পরিস্থিতি মোকাবেলায় বাংলাদেশ আনসারও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী শান্তির শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা সর্বত্র কাজ করবেন ।

আরো খবর.......

আপলোডকারীর তথ্য

মনোহরদীতে মডেল মসজিদের বকেয়া বিদ্যুৎ বিল প্রায় ৫ লাখ টাকা

মন্ডপে মণ্ডপে শিশুদের মিস্টি খাওয়ালেন আনসার বাহিনীর জেলা কমান্ডেন্ট মইনুল ইসলাম

আপডেট টাইম : ০৭:১৬:১০ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৩

ষষ্ঠী পূজোর মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয়া দূর্গা পূজা। এসব উৎসবে শিশুদের আনন্দ যেন একটু বেশিই। শারদীয়া দূর্গাৎসব উপলক্ষ্যে শিশুরা বাহারী পোশাক পরে নানান খাবার খেয়ে আনন্দ উৎসবে মেতে উঠেছে। এসব শিশুদের আনন্দ উৎসব আরও বাড়িয়ে দিতে মন্ডপে মন্ডপে শিশুদেরকে মিস্টি খাইয়েছেন বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর শরীয়তপুর জেলা কমান্ডেন্ট মো. মইনুল ইসলাম,শরীয়তপুর জেলা আনসার বাহিনীর সহকারি কমান্ডেন্ট ফারুক ইসলাম, সার্কেল এ্যাডজুট্যান্ট আব্দুল মান্নান মিয়া।

সোমবার (২৩ অক্টোবর) বিকেল ৫ টা থেকে রাত ১০ পর্যন্ত শরীয়তপুর জেলার ছয়টি উপজেলার বিভিন্ন মন্ডপে শারদীয় শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে মন্ডপে আসা শিশুদেরকে এ মিস্টি খাইয়েছেন।

জানা যায়, জেলা কমান্ডেন্ট মো. মইনুল ইসলাম শরীয়তপুরে যোগদানের পর থেকে জেলার সর্বস্তরের মানুষের জন্য আনসার বাহিনীর সেবা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছেন। যেকোনো উৎসবে শিশুরা সবচেয়ে বেশি আনন্দ করে।আনন্দ উৎসব শিশুদের বিকাশে সহায়তা করে। শিশুরাই দেশের আগামির ভবিষ্যত। শিশুদের সুষ্ঠু বিকাশে তাদেরকে আরও বেশি আনন্দ দিতেই বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল একেএম আমিনুল হক, মহোদয়ের নির্দেশে তিনি এ মিস্টি বিতরণ করেছেন।

বিপাসা নামে সাত বছরের এক শিশু মন্ডপে এসেছে দূর্গা মাকে প্রণাম করতে। বিপাসাকে মিস্টি খাইয়েছেন মইনুল ইসলাম। মিস্টি খেয়ে বিপাসা বলে, দূর্গা উৎসব আমাদের বড় উৎসব। এই উৎসবে একটু বেশিই আনন্দ। মন্ডপে আসার পরে স্যার আমাকে মিস্টি খাইয়েছেন। মিস্টি খেতে ভালো লাগে। স্যারকে ধন্যবাদ।

আরাধা নামে আরেক শিশু বলে, আমার প্রিয় খাবার মিস্টি। পূজোতে এলে স্যারেরা মিস্টি দেয়, তা আমি জানতাম না। মিস্টি খেয়ে ভালো লেগেছে।

ডামুড্যা উত্তর বাজার হরিসভা মন্দিরের সভাপতি দিলিপ দাস বলেন, পূজো শুরুর দিন থেকে আনসার ও পুলিশ বাহিনী সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা দিচ্ছেন আমাদের। হঠাৎ করেই সন্ধ্যার দিকে মইনুল ইসলাম স্যার এসে বাচ্চাদেরসহ আমাদেরকে মিস্টি খাওয়ালেন। তার এই আন্তরিকতায় আমরা বিমোহিত। প্রশাসনের লোকজন এভাবে এগিয়ে আসলে আমরা নিরাপদে পূজা আর্চনা করতে পারি।

সখিপুর বাজার মন্দিরের সভাপতি লিটন ঘোষ বলেন, সখিপুরে আমরা মাত্র ১১ টি পরিবার হিন্দু সম্প্রদায়ের। এই অল্প সংখ্যক মানুষকে নিরাপত্তা দিতে এখানে সব সময় আনসার ও পুলিশ বাহিনী নিরাপত্তা দিচ্ছে। হঠাৎ করেই পূজার মন্ডপে এসে বাচ্চাদের মিস্টি খাওয়ানোকে আমি এই অর্থে বুঝি যে, এমন প্রশাসনিক লোক থাকলে দেশে আমরা নিরাপদে বসবাস করতে পারব, সুন্দরভাবে নির্বিঘ্নে পূজা অনুষ্ঠান করতে পারব।

বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর শরীয়তপুর জেলা কমান্ডেন্ট মো. মইনুল ইসলাম বলেন, যেকোনো উৎসব মানে শিশুদের আনন্দ। শিশুদের আনন্দ না থাকলে কোনো কিছুই সফল হয় না। শিশুরা ফুলের মত, ওরা মিস্টি খেতে পছন্দ করে বলেই ওদেরকে খাইয়েছি। ওরা আনন্দ পেয়েছে, এটাই আমার সফলতা।

উল্লেখ্য, এবছর শরীয়তপুর জেলায় সার্বজনীন শারদীয় দূর্গাৎসব নির্বিঘ্নে পালনের জন্য জেলার ৯৮ টি মন্দিরে ৬৫২ জন আনসার সদস্য পূজা মণ্ডপের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য দায়িত্ব পালন করছেন।

এছাড়া তিনি আরো জানান, শরীয়তপুর জেলায় যে কোন আপদকালীনের জন্য ব্যাটালিয়ান আনসার টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যেকোনো জরুরী পরিস্থিতি মোকাবেলায় বাংলাদেশ আনসারও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী শান্তির শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা সর্বত্র কাজ করবেন ।