ঢাকা ১১:০২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
মোংলায় জমি জমার বিরোধের জেরে সংঘর্ষ আহত ৩ কালিয়াকৈরে উঠান বৈঠক ও বিট পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্মচারী সংঘের মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু নওগাঁর নিয়ামতপুরে সমতল ভূমিতে বসবাসর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মাঝে মুরগি ও মুরগির উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠান ছাত্রশিবির এখন ছাত্রসমাজের সবচেয়ে আপন: ডা. শফিকুর রহমান ন্যূনতম সংস্কার শেষে নির্বাচন চাই: মির্জা ফখরুল ইন্দোনেশিয়ায় আকস্মিক ভূমিধসে ১৬ জনের মৃত্যু ঠাকুরগাঁওয়ে নতুন মোড়কে জমি সহ স্থাপনা দখলের চেষ্টা// অবরুদ্ধ পাঁচ দশকের পুরনো হরিপুর মহিলা সমিতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে বেরিয়ে যেতে নির্বাহী আদেশে ট্রাম্পের সই নাসিরনগর উপজেলা সদরে দিনে-দুপুরে ফ্ল্যাটে চুরি

ঢাকা রংপুর মহাসড়কে জমে উঠেছে চোরাই তেলের রমরমা ব্যবসা

গাইবান্ধা প্রতিনিধি :
  • আপডেট টাইম : ১২:০৪:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ অক্টোবর ২০২৩
  • / ১৩১ ৫০০০.০ বার পাঠক

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে ঢাকা রংপুর মহাসড়ক জুড়েই গড়ে উঠেছে চোরাই তেল ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট। মহাসড়কের দুপাশে দোকান ঘরের সামনে কিছু তেলের ড্রাম আর পাইপ ঝুলানো দেখলেই চুরি করে তেল বিক্রি করে দেয় অসাধু চালক।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ঢাকা রংপুর মহাসড়কের ফাঁসিতলা বাজার এলাকায় হাইওয়ে রাস্তার দূধারে ছোট বড় ঝুপড়ী দোকান গুলোতে দেদারছে চলছে চোরাই তেল কেনার বাণিজ্য। আর এসব বেশির ভাগই তাদের দোকান মালিকদেরই নিয়ন্ত্রণে।
এ চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে চোরাই তেলের ব্যবসা চালাচ্ছে। একই চিত্র দিনাজপুর ঢাকা মহাসড়কের বিভিন্ন স্পটে। প্রতিটি স্পটে এসব কারবার চলে প্রকাশ্যে।

এখানে প্রতি রাতেই নামে লাখ টাকা মূল্যের ব্যারেল ব্যারেল তেল । এসব তেল যায় স্থানীয় বাজারে পাইকারি দরে। ভোজ্য ও জ্বালানি উভয় তেল নামানো হয় এ রোডে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বৈধ তেল ব্যবসায়ী, ও পণ্যের ডিলার এবং পাম্প মালিকরা। তবে রহস্যজনক কারণে বৈধ ব্যবসায়ীরা এসব অবৈধ দোকান বন্ধের দাবি তুলছেন না।

এখানে সকাল থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত চলে এসব দোকানে প্রকাশ্যে চোরাই তেল নামানোর কাজ। কিন্তু দিনের বেলায় কম হলেও রাতেই চোরাই তেল নামানোর চাহিদা বেশি থাকে। অন্যদিকে এসব দোকান থেকে স্থানীয় হাট-বাজারে সরবরাহের দৃশ্যও চোখে পড়ে প্রকাশ্যেই। এদের বিরুদ্ধে কোন প্রশাসনিক ব্যবস্থা না নেয়ায় চোরাই তেলের রমরমা বাণিজ্য আরো প্রসারিত হচ্ছে।
গোবিন্দগঞ্জে নাম বলতে অনিচ্ছুক একজন পরিবহন মালিকের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমরা ঢাকা রংপুর গাড়ি যাতয়াত করতে যে পরিমাণ তেল লাগে তার চেয়ে একটু বেশি করে ট্যাংকি ফুল করে দিয়ে দেয়, কিন্তু হঠাৎ করে চালক ফোন দিয়ে বলে গাড়ির তেল শেষ হয়েছে। তাহলে গাড়ির তেল কোথায় গেল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই জানায়, মালামাল পরিবহনের মহাসড়ক হিসেবে পরিচিত ঢাকা রংপুর মহাসড়কে চোরাই তেল ছাড়াও অন্যান্য পণ্য চোরাই সিন্ডিকেট সক্রিয় সদস্য রয়েছে। এসব চক্র বড়দের ম্যানেজ করেই এসব ব্যবসা চালিয়ে আসছেন।
এ বিষয়ে স্থানীয় লোকজন এবং পরিবহন মালিকেরা পুলিশ প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ করেন, এসব চোরাই তেল ব্যবসায়ীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দাবি জানান। ।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ঢাকা রংপুর মহাসড়কে জমে উঠেছে চোরাই তেলের রমরমা ব্যবসা

আপডেট টাইম : ১২:০৪:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ অক্টোবর ২০২৩

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে ঢাকা রংপুর মহাসড়ক জুড়েই গড়ে উঠেছে চোরাই তেল ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট। মহাসড়কের দুপাশে দোকান ঘরের সামনে কিছু তেলের ড্রাম আর পাইপ ঝুলানো দেখলেই চুরি করে তেল বিক্রি করে দেয় অসাধু চালক।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ঢাকা রংপুর মহাসড়কের ফাঁসিতলা বাজার এলাকায় হাইওয়ে রাস্তার দূধারে ছোট বড় ঝুপড়ী দোকান গুলোতে দেদারছে চলছে চোরাই তেল কেনার বাণিজ্য। আর এসব বেশির ভাগই তাদের দোকান মালিকদেরই নিয়ন্ত্রণে।
এ চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে চোরাই তেলের ব্যবসা চালাচ্ছে। একই চিত্র দিনাজপুর ঢাকা মহাসড়কের বিভিন্ন স্পটে। প্রতিটি স্পটে এসব কারবার চলে প্রকাশ্যে।

এখানে প্রতি রাতেই নামে লাখ টাকা মূল্যের ব্যারেল ব্যারেল তেল । এসব তেল যায় স্থানীয় বাজারে পাইকারি দরে। ভোজ্য ও জ্বালানি উভয় তেল নামানো হয় এ রোডে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বৈধ তেল ব্যবসায়ী, ও পণ্যের ডিলার এবং পাম্প মালিকরা। তবে রহস্যজনক কারণে বৈধ ব্যবসায়ীরা এসব অবৈধ দোকান বন্ধের দাবি তুলছেন না।

এখানে সকাল থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত চলে এসব দোকানে প্রকাশ্যে চোরাই তেল নামানোর কাজ। কিন্তু দিনের বেলায় কম হলেও রাতেই চোরাই তেল নামানোর চাহিদা বেশি থাকে। অন্যদিকে এসব দোকান থেকে স্থানীয় হাট-বাজারে সরবরাহের দৃশ্যও চোখে পড়ে প্রকাশ্যেই। এদের বিরুদ্ধে কোন প্রশাসনিক ব্যবস্থা না নেয়ায় চোরাই তেলের রমরমা বাণিজ্য আরো প্রসারিত হচ্ছে।
গোবিন্দগঞ্জে নাম বলতে অনিচ্ছুক একজন পরিবহন মালিকের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমরা ঢাকা রংপুর গাড়ি যাতয়াত করতে যে পরিমাণ তেল লাগে তার চেয়ে একটু বেশি করে ট্যাংকি ফুল করে দিয়ে দেয়, কিন্তু হঠাৎ করে চালক ফোন দিয়ে বলে গাড়ির তেল শেষ হয়েছে। তাহলে গাড়ির তেল কোথায় গেল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই জানায়, মালামাল পরিবহনের মহাসড়ক হিসেবে পরিচিত ঢাকা রংপুর মহাসড়কে চোরাই তেল ছাড়াও অন্যান্য পণ্য চোরাই সিন্ডিকেট সক্রিয় সদস্য রয়েছে। এসব চক্র বড়দের ম্যানেজ করেই এসব ব্যবসা চালিয়ে আসছেন।
এ বিষয়ে স্থানীয় লোকজন এবং পরিবহন মালিকেরা পুলিশ প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ করেন, এসব চোরাই তেল ব্যবসায়ীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দাবি জানান। ।