ঢাকা ১২:৫০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
জানাযায় প্রধান উপদেষ্টার কাতার সফরে গুরুত্ব পাবে কতটুকু নার্সিং ডিপ্লোমাকে ডিগ্রী সমমান করার দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ে অবস্থান কর্মসূচি ঠাকুরগাঁওয়ে কবরের ওপর থেকে হাত পা বাঁধা অবস্থায় নারীর মরদেহ উদ্ধার ঠাকুরগাঁওয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১ জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়ানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিক খামার তৈরি করায় অতিষ্ঠ এলাকাবাসী দেশে তিন স্তরে কমছে ইন্টারনেটের দাম নবীনগরে অগ্নি নিরাপত্তা বিষয়ক প্রশিক্ষণ ও মহড়া অনুষ্ঠিত ১৯ দিনে এলো ২১ হাজার কোটি টাকার রেমিট্যান্স রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সম্মিলিত আন্তর্জাতিক উদ্যোগ প্রয়োজন: প্রধান উপদেষ্টা

নামে কলেজ নামে করতে হলে ১৫ লাখ টাকা দেওয়ার বিধান ছিলো

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৬:২০:৪১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ১৭২ ৫০০০.০ বার পাঠক

প্রতিষ্ঠাতা ডা: আমিনুর রহমান এবং তার স্ত্রী কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ মমতাজ বেগম দম্পতি তখন ওই টাকা দিতে পারেননি। ফলে তখন প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে রঘুনাথপুর টেকিন্যাকাল এন্ড বিএম কলেজ নাম দিয়ে এমপিওভূক্ত করা হয়। তবে এমপিও ভুক্ত হওয়ার পর কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ডা: আমিনুর রহমান ও তার স্ত্রী মমতাজ বেগম ১৫ লাখ টাকা সরকারের কোষাগারে জমা দিয়ে রঘুনাথপুর টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজের নামের পরিবর্তে আগের নামে অর্থাৎ ডা: আমিনুর রহমান টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজ নামে করানোর আবেদন করেন। পরিবর্তিত নামে কলেজটির কার্যক্রম চললে প্রভাবশালী এতে বাধা সৃস্টি করতে থাকেন এবং এতে কলেজের শিক্ষক নজরুল ইসলাম সহযোগিতা করেন। নাম পরিবর্তনের চেষ্টার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন করা হয় ২০১৭ সালে। সেই মামলা দীর্ঘদিন চলমান থাকার পর ২০২২ সালে হাইকোর্ট কলেজের নাম ডা: আমিনুর রহমান টেকিণ্যাকল এন্ড বিএম কলেজ নামে থাকবে বলে রায় দেন। কিন্তু হাইকোর্টের রায়ের কপি ‘হাতে পাননি’ অজুহাতে ভর্তি ও বেতন স্লীপ তৈরী না করে তা তৈরী করা হয়েছে রঘুনাথপুর টেকিন্যাকাল এন্ড বিএম কলেজের নামে। অথচ বোর্ড ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কোন কোন চিঠিতে ডা: আমিনুর রহমান টেকিন্যাকাল ইনস্টিটিউট ্এন্ড বিএম কলেজ /রঘুনাথপুর টেকিন্যালক ইনস্টিটিউট এন্ড বিএম কলেজ নাম ব্যবহার করা হচ্ছে। অথাৎ দুটি নামই ব্যবহার করা হচ্ছে।

সদ্য অবসরে যাওয়া কলেজটির প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ মমতাজ বেগমের ভাষ্য, তিনি ও তার স্বামী ডা: আমিনুর রহমান মিলে এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলেন তিলে তিলে। কলেজটির জন্য তারা দুজন জমি দেন। কিন্ত কলেজটি যখন এমপিও ভুক্ত হওয়ার তালিকায় ছিলো, তখন ব্যক্তির নামে কলেজ করতে হলে সরকারের কোষাগারে জমিদাতাকে নগদ ১৫ লাখ টাকা জমা দিতে হতো। তখণ টাকা না থাকায় কলেজটি রঘুনাথপুর টেকনিক্যাল এন্ড বিএম নামে এমপিও ভুক্ত করতে হয়। কিন্ত এমপিও ভুক্ত হওয়ার এক বছর পর সরকারের কোষাগারে ১৫ লাখ টাকা জমা দিয়ে কলেজটি আগের নামে নামকরণের একটি আবেদন করেন। সেই অনুযায়ী কলেজটি নামকরণ রঘুনাথপুর টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজের পরিবর্তে ডা: আমিনুর রহমান টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট হিসেবে কার্যক্রম চালাতে অনুমোদন পান কারিগারি বোর্ড থেকেই। কিন্তু ২০১৭ সালে এসে ভিন্ন রকম ঝামেলা তৈরী হয়। স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল কলেজটি রঘুনাথপুর নামেই রাখতে চেষ্টা করে। এ নিয়ে মামলা হলে তা আদালত পর্যন্ত গড়ায়। ধীর্ঘ আইনি লড়াই শেষ করে আদালত থেকে রায় আসে তাদের পক্ষে। অর্থাৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির নাম ডা: আমিনুর রহমান থাকবে এবং এ নামেই কলেজের ভর্তিসহ যাবতীয় কার্যক্রম থাকবে।দৈনিক সময়ের  কণ্ঠ পত্রিকায় চোখ রাখুন

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

নামে কলেজ নামে করতে হলে ১৫ লাখ টাকা দেওয়ার বিধান ছিলো

আপডেট টাইম : ০৬:২০:৪১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

প্রতিষ্ঠাতা ডা: আমিনুর রহমান এবং তার স্ত্রী কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ মমতাজ বেগম দম্পতি তখন ওই টাকা দিতে পারেননি। ফলে তখন প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে রঘুনাথপুর টেকিন্যাকাল এন্ড বিএম কলেজ নাম দিয়ে এমপিওভূক্ত করা হয়। তবে এমপিও ভুক্ত হওয়ার পর কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ডা: আমিনুর রহমান ও তার স্ত্রী মমতাজ বেগম ১৫ লাখ টাকা সরকারের কোষাগারে জমা দিয়ে রঘুনাথপুর টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজের নামের পরিবর্তে আগের নামে অর্থাৎ ডা: আমিনুর রহমান টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজ নামে করানোর আবেদন করেন। পরিবর্তিত নামে কলেজটির কার্যক্রম চললে প্রভাবশালী এতে বাধা সৃস্টি করতে থাকেন এবং এতে কলেজের শিক্ষক নজরুল ইসলাম সহযোগিতা করেন। নাম পরিবর্তনের চেষ্টার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন করা হয় ২০১৭ সালে। সেই মামলা দীর্ঘদিন চলমান থাকার পর ২০২২ সালে হাইকোর্ট কলেজের নাম ডা: আমিনুর রহমান টেকিণ্যাকল এন্ড বিএম কলেজ নামে থাকবে বলে রায় দেন। কিন্তু হাইকোর্টের রায়ের কপি ‘হাতে পাননি’ অজুহাতে ভর্তি ও বেতন স্লীপ তৈরী না করে তা তৈরী করা হয়েছে রঘুনাথপুর টেকিন্যাকাল এন্ড বিএম কলেজের নামে। অথচ বোর্ড ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কোন কোন চিঠিতে ডা: আমিনুর রহমান টেকিন্যাকাল ইনস্টিটিউট ্এন্ড বিএম কলেজ /রঘুনাথপুর টেকিন্যালক ইনস্টিটিউট এন্ড বিএম কলেজ নাম ব্যবহার করা হচ্ছে। অথাৎ দুটি নামই ব্যবহার করা হচ্ছে।

সদ্য অবসরে যাওয়া কলেজটির প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ মমতাজ বেগমের ভাষ্য, তিনি ও তার স্বামী ডা: আমিনুর রহমান মিলে এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলেন তিলে তিলে। কলেজটির জন্য তারা দুজন জমি দেন। কিন্ত কলেজটি যখন এমপিও ভুক্ত হওয়ার তালিকায় ছিলো, তখন ব্যক্তির নামে কলেজ করতে হলে সরকারের কোষাগারে জমিদাতাকে নগদ ১৫ লাখ টাকা জমা দিতে হতো। তখণ টাকা না থাকায় কলেজটি রঘুনাথপুর টেকনিক্যাল এন্ড বিএম নামে এমপিও ভুক্ত করতে হয়। কিন্ত এমপিও ভুক্ত হওয়ার এক বছর পর সরকারের কোষাগারে ১৫ লাখ টাকা জমা দিয়ে কলেজটি আগের নামে নামকরণের একটি আবেদন করেন। সেই অনুযায়ী কলেজটি নামকরণ রঘুনাথপুর টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজের পরিবর্তে ডা: আমিনুর রহমান টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট হিসেবে কার্যক্রম চালাতে অনুমোদন পান কারিগারি বোর্ড থেকেই। কিন্তু ২০১৭ সালে এসে ভিন্ন রকম ঝামেলা তৈরী হয়। স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল কলেজটি রঘুনাথপুর নামেই রাখতে চেষ্টা করে। এ নিয়ে মামলা হলে তা আদালত পর্যন্ত গড়ায়। ধীর্ঘ আইনি লড়াই শেষ করে আদালত থেকে রায় আসে তাদের পক্ষে। অর্থাৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির নাম ডা: আমিনুর রহমান থাকবে এবং এ নামেই কলেজের ভর্তিসহ যাবতীয় কার্যক্রম থাকবে।দৈনিক সময়ের  কণ্ঠ পত্রিকায় চোখ রাখুন