রাজধানীর গুলশান বনানী ডিপ্লোমেটিক কূটনীতিক পাড়া এলাকায় ভুঁইফোড় সাংবাদিকদের দৌরত্ব বেড়ে যাওয়ায় সেখানকার ব্যবসায়ীরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন
- আপডেট টাইম : ১০:৪৭:৪৪ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ৯ আগস্ট ২০২৩
- / ২১৮ ৫০০০.০ বার পাঠক
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন থেকে বৈধ লাইসেন্স নিয়ে এই অভিজাত এলাকায় ব্যবসা করে বিপাকে পড়েছেন ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা। নাম লিখতে না জানলেও শুধু তথাকথিত অনিবন্ধিত আইপি টিভি (ইউটিউব) অনলাইন নিউজ পোর্টালের একটি নাম মাত্র কার্ড ব্যবহার করে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ব্যাপক চাঁদাবাজি করে আসছে। কাঠমিস্ত্রি, রিক্সার গ্যারেজের কর্মচারী, বাদাম বিক্রেতাদের থেকে অনিবন্ধিত আইপিটিভির কার্ড ব্যবহার করে তারা সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজি করছে। অনিবন্ধিত অনলাইন ও আইপিটিভি নির্ভর কিছু মাধ্যম এসব কথিত সাংবাদিকরা প্রতিষ্ঠানের আইডি কার্ড দেখিয়ে স্থানীয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের প্রতারণায় ফেলে মোটা অংকের চাঁদা আদায় করে নিচ্ছে। গত ১২ জুলাই গুলশানের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী রিপন বাদী হয়ে চাঁদাবাজদের নাম উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।
এছাড়াও এ ঘটনার আগের রিপন গুলশান থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগটি এজাহার হিসেবে থানা গ্রহণ না করে ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য একজন এসআই দিয়ে বিষয়টি তদন্ত করে তার সত্যতা পেয়েও কোন ব্যবস্থা নেননি গুলশান থানা পুলিশ। লিখিত অভিযোগে ১০ থেকে ১২ জনের নাম উল্লেখ করেছে। এর মধ্যে শাহাদাত, হুমায়ুন কবির, রিপন রুদ্র জামাল, শামীম, শাওন, মুন্না, আলাউদ্দিন, সুমন, শুভ ও বলুসহ আরো অনেকে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, সব অসাধু অপসংবাদিক ব্যক্তির সহযোগিতাকে অর্থের বিনিময়ে সাংবাদিকতার মত মহান পেশাকে কলুষিত করে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত কোনমতেই থামছে না ভুঁইফোড় সাংবাদিকদের দৌরত্ব। অভিযোগকারী রিপন জানান তার একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে ইনশাআল্লাহ অভিজ্ঞতা এলাকায় কিন্তু এসব নামে সর্বস্ব কতিপয় সাংবাদিক পরিচয় দানকারী গলায় কার ঝুলিয়ে এসে অংকের চাঁদা দাবি করে। না দিলে মন বড় কথাবার্তা লিখে ইউটিউব টিভি ও অনলাইন পত্রিকায় নানারকম ব্যবসায়ী সুনাম নষ্ট করে দশ-বারের জন্য নেতৃত্ব দিচ্ছে রিপন রুদ্র আর তিনটে ইউটিউব চ্যানেল ও বিউটি আইপি টিভি রয়েছে।
গুলশান থানা সূত্রে জানা যায়, রিপন, রুদ্র একজন পেশাদার চাঁদাবাজ লেখাপড়ার কোনো ডিগ্রি না থাকলেও তিনি কখনো টিভি সাংবাদিক আবার কখনো কখনো জাতীয় দৈনিক পত্রিকার সিনিযর রিপোর্টার হিসেবে ব্যবসায়ীদের কাজে তার পরিচয় দিয়ে টাকা আদায় করে। তার বিরুদ্ধে গুলশান থানায় একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তিনি একাধিক মামলার আসামী। রামপুরা এলাকায় একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলে সবাইকে ব্ল্যাকমেইলিং করে। এছাড়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন জনৈক ব্যবসায়ী রিপন।