ঢাকা ০২:৩৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
ঈদের ঘরমুখো মানুষের ঢল, যানবাহনের সংকটে চন্দ্রা মোড়ে দুর্ভোগ চরমে ঈদের দুই দিন আগে ছুটি: ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ঘরমুখো মানুষের চাপ, হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ: আইজিপি মহাসড়কে জরুরি সেবার জন্য ‘হ্যালো অ্যাপ’ চালু: এক ক্লিকেই মিলবে হাইওয়ে পুলিশের সহায়তা এবারের ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক হয়েছে: রেলওয়ে উপদেষ্টা নিবন্ধনসহ দাঁড়িপাল্লা প্রতীক ফেরত পাচ্ছে জামায়াত ঈদের দিনে ৩ বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা প্রযুক্তির পাখায় উড়ছে সম্ভাবনা: আনসার সদস্য আবুল হোসেনের উদ্ভাবনী উড়োজাহাজ সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতি আইন উপদেষ্টাকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের কমিটি ফুলবাড়ীতে আর্ন্তজাতিক মানবাধিকার কমিশনের সদস্যদের মাঝে নগদ অর্থ প্রদান মোংলায় জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহের সমাপনী অনুষ্ঠান

প্রবেশ পত্রে ছবি থাকার পরেও ১০টি বদলি পরিক্ষা কিভাবে দিল ছাত্র

গাইবান্ধা প্রতিনিধি :
  • আপডেট টাইম : ০১:৫৪:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩
  • / ৩৫৭ ১৫০.০০০ বার পাঠক

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে বদলী পরিক্ষা দিতে গীয়ে এক বছর কারাদন্ডে দন্ডিত হয় গোলাপবাগ সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার আলীম শ্রেণীর ছাত্র আকাশ (১৯)। গত ২৭ মে শনিবার পরিক্ষা দিতে গীয়ে ম্যাজিসট্রেট এর হাতে আটক হয়। পরে মোবাইল কোর্টে তাকে এক বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়। সে এখন গাইবান্ধা জেলা কাড়াগারে সাজা ভোগ করছে। গোলাপবাগ সিনিয়র আলিম মাদ্রাসা কেন্দ্রে পরীক্ষা শুরুর প্রথম দিন থেকে খলসি মাদ্রাসার ছাত্র মিজানুরের পরিবর্তে পরিক্ষা দিয়ে আসছিল সে। পরিক্ষা চলা কালিন সময় প্রবেশ পত্রের সাথে ছবি মিলাইয়ে প্রতিটি পরিক্ষার খাতায় সাক্ষর করে সংশ্রিষ্ট পরীক্ষা কক্ষে দায়িত্বে থাকা শিক্ষক। তাহলে পর পর দশটি পরিক্ষা কিভাবে দিলো ঐ ছাত্র, এ সময় দায়িত্বে থাকা শিক্ষকরা তাহলে কোথায় ছিল। এ অপরাধ কি শুধু ছাত্রের, দায়িত্ব অবহেলা কি কোন অপরাধ নয় বা পরিক্ষা দিতে সহায়তা করা কি অপরাধ নয়। তাহলে কেন এই বৈশম্য, শুধু ছাত্রকে জেল দেওয়া হলো কিন্তু সহায়তা কারী শিক্ষকরা ধরাছোয়ার বাহিরে কেন। অপরাধ করা এবং সহায়তা করা সমান অপরাধ যদি হয় তাহলে শুধু ছাত্র একা কেন জেলেএ প্রশ্ন এখন জনমনে। যদি পরিক্ষা কক্ষে দায়িত্বে থাকা শিক্ষকরা তার প্রবেশ পত্র দেখে নিশ্চিত হয়ে স্বাক্ষর করতো তাহলে প্রথম পরিক্ষায় এটার সমাধান হতো। ঐ ছাত্রের জীবন নষ্ঠ হত না, সাথে অন্য এক ছাত্রের। এ বিষয়ে গোলাপবাগ আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষর নিকট দায়িত্বে থাকা শিক্ষকের তালিকা চাইলে তালিকা দিতে পারবে না জানায়। তিনি বলেন, অনেক পরিক্ষা কেন্দ্রেই এরকম পরিক্ষা দিচ্ছে রহরহ। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহ-আলম পারভেজ বলেন, বিষয়টি জানিনা আমি মহিমাগঞ্জ কেন্দ্রের দায়িত্বে ছিলাম। তবে দায়িত্ব অবহেলা পরিক্ষা কেন্দ্রে কখনই কাম্য নয়। এ সকল শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইন গত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিসট্রেট আরিফ হোসেন বলেন,আমি ঐ দিন দায়িত্বে থাকা দুই শিক্ষককে বহিস্কার করেছি তবে পূর্বে য়াবা দায়িত্ব পালন করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্তা নেওয়া হবে।
আবু তারেক সাংবাদিক
গাইবান্ধা প্রতিনিধি
০১৩১৯৪১১২৩৯

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

প্রবেশ পত্রে ছবি থাকার পরেও ১০টি বদলি পরিক্ষা কিভাবে দিল ছাত্র

আপডেট টাইম : ০১:৫৪:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে বদলী পরিক্ষা দিতে গীয়ে এক বছর কারাদন্ডে দন্ডিত হয় গোলাপবাগ সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার আলীম শ্রেণীর ছাত্র আকাশ (১৯)। গত ২৭ মে শনিবার পরিক্ষা দিতে গীয়ে ম্যাজিসট্রেট এর হাতে আটক হয়। পরে মোবাইল কোর্টে তাকে এক বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়। সে এখন গাইবান্ধা জেলা কাড়াগারে সাজা ভোগ করছে। গোলাপবাগ সিনিয়র আলিম মাদ্রাসা কেন্দ্রে পরীক্ষা শুরুর প্রথম দিন থেকে খলসি মাদ্রাসার ছাত্র মিজানুরের পরিবর্তে পরিক্ষা দিয়ে আসছিল সে। পরিক্ষা চলা কালিন সময় প্রবেশ পত্রের সাথে ছবি মিলাইয়ে প্রতিটি পরিক্ষার খাতায় সাক্ষর করে সংশ্রিষ্ট পরীক্ষা কক্ষে দায়িত্বে থাকা শিক্ষক। তাহলে পর পর দশটি পরিক্ষা কিভাবে দিলো ঐ ছাত্র, এ সময় দায়িত্বে থাকা শিক্ষকরা তাহলে কোথায় ছিল। এ অপরাধ কি শুধু ছাত্রের, দায়িত্ব অবহেলা কি কোন অপরাধ নয় বা পরিক্ষা দিতে সহায়তা করা কি অপরাধ নয়। তাহলে কেন এই বৈশম্য, শুধু ছাত্রকে জেল দেওয়া হলো কিন্তু সহায়তা কারী শিক্ষকরা ধরাছোয়ার বাহিরে কেন। অপরাধ করা এবং সহায়তা করা সমান অপরাধ যদি হয় তাহলে শুধু ছাত্র একা কেন জেলেএ প্রশ্ন এখন জনমনে। যদি পরিক্ষা কক্ষে দায়িত্বে থাকা শিক্ষকরা তার প্রবেশ পত্র দেখে নিশ্চিত হয়ে স্বাক্ষর করতো তাহলে প্রথম পরিক্ষায় এটার সমাধান হতো। ঐ ছাত্রের জীবন নষ্ঠ হত না, সাথে অন্য এক ছাত্রের। এ বিষয়ে গোলাপবাগ আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষর নিকট দায়িত্বে থাকা শিক্ষকের তালিকা চাইলে তালিকা দিতে পারবে না জানায়। তিনি বলেন, অনেক পরিক্ষা কেন্দ্রেই এরকম পরিক্ষা দিচ্ছে রহরহ। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহ-আলম পারভেজ বলেন, বিষয়টি জানিনা আমি মহিমাগঞ্জ কেন্দ্রের দায়িত্বে ছিলাম। তবে দায়িত্ব অবহেলা পরিক্ষা কেন্দ্রে কখনই কাম্য নয়। এ সকল শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইন গত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিসট্রেট আরিফ হোসেন বলেন,আমি ঐ দিন দায়িত্বে থাকা দুই শিক্ষককে বহিস্কার করেছি তবে পূর্বে য়াবা দায়িত্ব পালন করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্তা নেওয়া হবে।
আবু তারেক সাংবাদিক
গাইবান্ধা প্রতিনিধি
০১৩১৯৪১১২৩৯