ঢাকা ০৫:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া পৌর শহরের উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন মদিনা প্যালেস নামের একটি ভবনের ৫ টি ফ্লাটে দুর্ধর্ষ চুরি সংগঠিত হয়েছে নান্দাইল প্রেসক্লাবের ১৭তম দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন সমাপ্ত সভাপতি এনামুল হক, সাধারণ সম্পাদক রঞ্জু দুপুরে ক্রিকেটের দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর মহারণ, পাকিস্তানের বাঁচা–মরার ম্যাচ পাকিস্তান-বাংলাদেশ সরাসরি বাণিজ্য পুনরায় শুরু, ১৯৭১ সালের পর প্রথম খালেদা জিয়ার খালাসের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের আবেদনের শুনানি ২ মার্চ রাজধানীর বিভা স্কুল এন্ড কলেজের বার্ষিক শিক্ষা সফর অনুষ্ঠিত শহরের প্রান কেন্দ্রে অবস্থিত ৪৫ বছরের পুরানো এ প্রতিষ্ঠান নাম হলো আদর্শ স্কুল এন্ড কলেজ অথচ কলেজ শাখায় একজন ছাত্র/ছাত্রীও নেই মঠবাড়িয়ায় রাতের আঁধারে বনিক সমিতির ক‌মি‌টি গঠনের প্রতিবাদে ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন গাজীপুরে দুর্নীতিবাজ ভূমি কর্মকর্তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ এটিএম আজহারুলের মুক্তির দাবিতে গণঅবস্থানের ডাক জামায়াতের

প্রবেশ পত্রে ছবি থাকার পরেও ১০টি বদলি পরিক্ষা কিভাবে দিল ছাত্র

গাইবান্ধা প্রতিনিধি :
  • আপডেট টাইম : ০১:৫৪:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩
  • / ৩০০ ৫০০০.০ বার পাঠক

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে বদলী পরিক্ষা দিতে গীয়ে এক বছর কারাদন্ডে দন্ডিত হয় গোলাপবাগ সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার আলীম শ্রেণীর ছাত্র আকাশ (১৯)। গত ২৭ মে শনিবার পরিক্ষা দিতে গীয়ে ম্যাজিসট্রেট এর হাতে আটক হয়। পরে মোবাইল কোর্টে তাকে এক বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়। সে এখন গাইবান্ধা জেলা কাড়াগারে সাজা ভোগ করছে। গোলাপবাগ সিনিয়র আলিম মাদ্রাসা কেন্দ্রে পরীক্ষা শুরুর প্রথম দিন থেকে খলসি মাদ্রাসার ছাত্র মিজানুরের পরিবর্তে পরিক্ষা দিয়ে আসছিল সে। পরিক্ষা চলা কালিন সময় প্রবেশ পত্রের সাথে ছবি মিলাইয়ে প্রতিটি পরিক্ষার খাতায় সাক্ষর করে সংশ্রিষ্ট পরীক্ষা কক্ষে দায়িত্বে থাকা শিক্ষক। তাহলে পর পর দশটি পরিক্ষা কিভাবে দিলো ঐ ছাত্র, এ সময় দায়িত্বে থাকা শিক্ষকরা তাহলে কোথায় ছিল। এ অপরাধ কি শুধু ছাত্রের, দায়িত্ব অবহেলা কি কোন অপরাধ নয় বা পরিক্ষা দিতে সহায়তা করা কি অপরাধ নয়। তাহলে কেন এই বৈশম্য, শুধু ছাত্রকে জেল দেওয়া হলো কিন্তু সহায়তা কারী শিক্ষকরা ধরাছোয়ার বাহিরে কেন। অপরাধ করা এবং সহায়তা করা সমান অপরাধ যদি হয় তাহলে শুধু ছাত্র একা কেন জেলেএ প্রশ্ন এখন জনমনে। যদি পরিক্ষা কক্ষে দায়িত্বে থাকা শিক্ষকরা তার প্রবেশ পত্র দেখে নিশ্চিত হয়ে স্বাক্ষর করতো তাহলে প্রথম পরিক্ষায় এটার সমাধান হতো। ঐ ছাত্রের জীবন নষ্ঠ হত না, সাথে অন্য এক ছাত্রের। এ বিষয়ে গোলাপবাগ আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষর নিকট দায়িত্বে থাকা শিক্ষকের তালিকা চাইলে তালিকা দিতে পারবে না জানায়। তিনি বলেন, অনেক পরিক্ষা কেন্দ্রেই এরকম পরিক্ষা দিচ্ছে রহরহ। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহ-আলম পারভেজ বলেন, বিষয়টি জানিনা আমি মহিমাগঞ্জ কেন্দ্রের দায়িত্বে ছিলাম। তবে দায়িত্ব অবহেলা পরিক্ষা কেন্দ্রে কখনই কাম্য নয়। এ সকল শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইন গত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিসট্রেট আরিফ হোসেন বলেন,আমি ঐ দিন দায়িত্বে থাকা দুই শিক্ষককে বহিস্কার করেছি তবে পূর্বে য়াবা দায়িত্ব পালন করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্তা নেওয়া হবে।
আবু তারেক সাংবাদিক
গাইবান্ধা প্রতিনিধি
০১৩১৯৪১১২৩৯

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

প্রবেশ পত্রে ছবি থাকার পরেও ১০টি বদলি পরিক্ষা কিভাবে দিল ছাত্র

আপডেট টাইম : ০১:৫৪:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে বদলী পরিক্ষা দিতে গীয়ে এক বছর কারাদন্ডে দন্ডিত হয় গোলাপবাগ সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার আলীম শ্রেণীর ছাত্র আকাশ (১৯)। গত ২৭ মে শনিবার পরিক্ষা দিতে গীয়ে ম্যাজিসট্রেট এর হাতে আটক হয়। পরে মোবাইল কোর্টে তাকে এক বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়। সে এখন গাইবান্ধা জেলা কাড়াগারে সাজা ভোগ করছে। গোলাপবাগ সিনিয়র আলিম মাদ্রাসা কেন্দ্রে পরীক্ষা শুরুর প্রথম দিন থেকে খলসি মাদ্রাসার ছাত্র মিজানুরের পরিবর্তে পরিক্ষা দিয়ে আসছিল সে। পরিক্ষা চলা কালিন সময় প্রবেশ পত্রের সাথে ছবি মিলাইয়ে প্রতিটি পরিক্ষার খাতায় সাক্ষর করে সংশ্রিষ্ট পরীক্ষা কক্ষে দায়িত্বে থাকা শিক্ষক। তাহলে পর পর দশটি পরিক্ষা কিভাবে দিলো ঐ ছাত্র, এ সময় দায়িত্বে থাকা শিক্ষকরা তাহলে কোথায় ছিল। এ অপরাধ কি শুধু ছাত্রের, দায়িত্ব অবহেলা কি কোন অপরাধ নয় বা পরিক্ষা দিতে সহায়তা করা কি অপরাধ নয়। তাহলে কেন এই বৈশম্য, শুধু ছাত্রকে জেল দেওয়া হলো কিন্তু সহায়তা কারী শিক্ষকরা ধরাছোয়ার বাহিরে কেন। অপরাধ করা এবং সহায়তা করা সমান অপরাধ যদি হয় তাহলে শুধু ছাত্র একা কেন জেলেএ প্রশ্ন এখন জনমনে। যদি পরিক্ষা কক্ষে দায়িত্বে থাকা শিক্ষকরা তার প্রবেশ পত্র দেখে নিশ্চিত হয়ে স্বাক্ষর করতো তাহলে প্রথম পরিক্ষায় এটার সমাধান হতো। ঐ ছাত্রের জীবন নষ্ঠ হত না, সাথে অন্য এক ছাত্রের। এ বিষয়ে গোলাপবাগ আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষর নিকট দায়িত্বে থাকা শিক্ষকের তালিকা চাইলে তালিকা দিতে পারবে না জানায়। তিনি বলেন, অনেক পরিক্ষা কেন্দ্রেই এরকম পরিক্ষা দিচ্ছে রহরহ। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহ-আলম পারভেজ বলেন, বিষয়টি জানিনা আমি মহিমাগঞ্জ কেন্দ্রের দায়িত্বে ছিলাম। তবে দায়িত্ব অবহেলা পরিক্ষা কেন্দ্রে কখনই কাম্য নয়। এ সকল শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইন গত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিসট্রেট আরিফ হোসেন বলেন,আমি ঐ দিন দায়িত্বে থাকা দুই শিক্ষককে বহিস্কার করেছি তবে পূর্বে য়াবা দায়িত্ব পালন করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্তা নেওয়া হবে।
আবু তারেক সাংবাদিক
গাইবান্ধা প্রতিনিধি
০১৩১৯৪১১২৩৯