ঢাকা ০৩:৫৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ জুন ২০২৩
সংবাদ শিরোনাম ::
নবীনগরে মাহবুবুল আলমের মৃত্যু বার্ষিকীতে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রানীশংকৈলে বিএসএফ এর গুলিতে নিহত -১ মহম্মদপুরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সংলগ্ন আরব ইটভাটা অপসারণের দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন হোমনায় ওয়ারিশ সনদ জটিলতায়, দুই শিশু সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে একটি মুক্তিযোদ্ধা পরিবার নবীনগরের বাংগরা বাজারে জনসভা আমি আপনাদের জন্য আমরণ কাজ করে যেতে চাই- বলেন মোঃএবাদুল করিম বুলবুল এমপি প্রধানমন্ত্রীকে গরু উপহার দিতে চান পাকুন্দিয়ার বুলবুল নবীনগরে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চট্রগ্রাম বিভাগীয় শান্তি সমাবেশ সফল করার লক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত কাশীপুর তরুণ প্রজন্মের উদ্যোগে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে গরিব ও দুস্থ মানুষের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ এবং বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচি ২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়েছে শেখ হাসিনা শুধু আমার নেত্রী নয়,তিনি আমার কাছে মায়ের সমতুল্য। মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রী কোস্ট গার্ডের অভিযানে ৪ কেজি ৯৫০ গ্রাম গাঁজা জব্দ

খ্যাতিনামা বর্ষীয়ান চিত্রনায়ক ফারুক আর নেই

বাংলার খ্যাতিনামা বর্ষীয়ান চিত্রনায়ক,বাংলা চলচ্চিত্রের ‘মিয়াভাই’

সংসদ সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন পাঠান (ফারুক) ইন্তেকাল করেছেন ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নালিল্লাহি রাজিউন, সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে স্থানীয় সময় সকাল ১০টার দিকে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।

স্বাধীনতার পর পর বাংলাদেশের চলচ্চিত্র যাদের হাত ধরে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল, তাদের মধ্য অন্যতম হলেন আকবর হোসেন পাঠান ফারুক। তিনি ১৯৪৮ সালের ১৮ আগস্ট মানিকগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন, চিত্রনায়ক ফারুক-মানিকগঞ্জে জন্ম হলেও তার শৈশব, কৈশোর ও যৌবনকাল কেটেছে পুরান ঢাকায়।

বাংলাদেশের এ চিত্রনায়ক ১৯৭১ সালে এইচ আকবর পরিচালিত জলছবি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে বাংলা চলচ্চিত্রে আগমন করেন। তার নায়িকা হিসেবে ছবিটিতে অভিনয় করেছেন কবরী।

তিনি ১৯৭৩ সালে খান আতাউর রহমান পরিচালিত আবার তোরা মানুষ হ,
১৯৭৪ সালে নারায়ণ ঘোষ মিতা পরিচালিত আলোর মিছিল দুটি মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচ্চিত্রে পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেন।

১৯৭৫ সালে গ্রামীণ পটভূমিতে নির্মিত সাদা কালো ছবি- সুজন সখী ও লাঠিয়াল দুটি ব্যবসাসফল ছবি ছিল, সে বছর লাঠিয়াল চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য সেরা পার্শ্ব চরিত্রে অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।

১৯৭৬ সালে মুক্তি পায় তার অভিনীত তিনটি ছায়াছবি সূর্যগ্রহণ, মাটির মায়া ও নয়নমনি। চলচ্চিত্র তিনটি বিভিন্ন বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করে। এর-পরের বছর শহীদুল্লাহ কায়সার রচিত কালজয়ী উপন্যাস সারেং বৌ অবলম্বনে নির্মিত সারেং বৌ ও আমজাদ হোসেন পরিচালিত গোলাপী এখন ট্রেনে চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। চলচ্চিত্র দুটি সেই সময় দর্শকদের মুগ্ধ করেছে চলচ্চিত্র দুটিতে তিনি প্রশংসা অর্জন করেন,

আরো যে সকল ছবি ব্যবসার সফল হয়েছে ১৯৭৯ সালে তার অভিনীত নাগরদোলা, দিন যায় কথা থাকে, কথা দিলাম, মাটির পুতুল, সাহেব, ছোট মা, এতিম, ঘরজামাই, ১৯৮০ সালে সখী তুমি কার ছায়াছবিতে তার নায়িকা হিসেবে ছিলেন শাবানা,ছবিটিতে শহুরে ধনী যুবকের চরিত্রে অভিনয় করে সেই সময় দর্শকদের প্রশংসা অর্জন করেছেন।

যে বিষয়টি উল্লেখ না করলেই নয় ১৯৮৭ সালে মিয়া ভাই চলচ্চিত্রের সফলতার পর তিনি বাংলা চলচ্চিত্রাঙ্গনে ‘মিয়াভাই’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন।

বলাবাহুল্য-বিখ্যাত কিংবদন্তি এ অভিনেতা প্রায় পাঁচ দশক ধরে বড় পর্দা মাতিয়ে বেরিয়েছেন। জয় করেছেন দর্শকের হৃদয়, চিত্রনায়ক ফারুক বাংলাদেশি চলচ্চিত্র অভিনেতা হলেও তিনি একাধারে ছিলেন প্রযোজক, ব্যবসায়ী এবং সেই সাথে রাজনীতিবিদ।

আরো খবর.......
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

নবীনগরে মাহবুবুল আলমের মৃত্যু বার্ষিকীতে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

খ্যাতিনামা বর্ষীয়ান চিত্রনায়ক ফারুক আর নেই

আপডেট টাইম : ০৪:৩৭:৫১ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১৬ মে ২০২৩

বাংলার খ্যাতিনামা বর্ষীয়ান চিত্রনায়ক,বাংলা চলচ্চিত্রের ‘মিয়াভাই’

সংসদ সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন পাঠান (ফারুক) ইন্তেকাল করেছেন ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নালিল্লাহি রাজিউন, সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে স্থানীয় সময় সকাল ১০টার দিকে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।

স্বাধীনতার পর পর বাংলাদেশের চলচ্চিত্র যাদের হাত ধরে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল, তাদের মধ্য অন্যতম হলেন আকবর হোসেন পাঠান ফারুক। তিনি ১৯৪৮ সালের ১৮ আগস্ট মানিকগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন, চিত্রনায়ক ফারুক-মানিকগঞ্জে জন্ম হলেও তার শৈশব, কৈশোর ও যৌবনকাল কেটেছে পুরান ঢাকায়।

বাংলাদেশের এ চিত্রনায়ক ১৯৭১ সালে এইচ আকবর পরিচালিত জলছবি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে বাংলা চলচ্চিত্রে আগমন করেন। তার নায়িকা হিসেবে ছবিটিতে অভিনয় করেছেন কবরী।

তিনি ১৯৭৩ সালে খান আতাউর রহমান পরিচালিত আবার তোরা মানুষ হ,
১৯৭৪ সালে নারায়ণ ঘোষ মিতা পরিচালিত আলোর মিছিল দুটি মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচ্চিত্রে পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেন।

১৯৭৫ সালে গ্রামীণ পটভূমিতে নির্মিত সাদা কালো ছবি- সুজন সখী ও লাঠিয়াল দুটি ব্যবসাসফল ছবি ছিল, সে বছর লাঠিয়াল চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য সেরা পার্শ্ব চরিত্রে অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।

১৯৭৬ সালে মুক্তি পায় তার অভিনীত তিনটি ছায়াছবি সূর্যগ্রহণ, মাটির মায়া ও নয়নমনি। চলচ্চিত্র তিনটি বিভিন্ন বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করে। এর-পরের বছর শহীদুল্লাহ কায়সার রচিত কালজয়ী উপন্যাস সারেং বৌ অবলম্বনে নির্মিত সারেং বৌ ও আমজাদ হোসেন পরিচালিত গোলাপী এখন ট্রেনে চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। চলচ্চিত্র দুটি সেই সময় দর্শকদের মুগ্ধ করেছে চলচ্চিত্র দুটিতে তিনি প্রশংসা অর্জন করেন,

আরো যে সকল ছবি ব্যবসার সফল হয়েছে ১৯৭৯ সালে তার অভিনীত নাগরদোলা, দিন যায় কথা থাকে, কথা দিলাম, মাটির পুতুল, সাহেব, ছোট মা, এতিম, ঘরজামাই, ১৯৮০ সালে সখী তুমি কার ছায়াছবিতে তার নায়িকা হিসেবে ছিলেন শাবানা,ছবিটিতে শহুরে ধনী যুবকের চরিত্রে অভিনয় করে সেই সময় দর্শকদের প্রশংসা অর্জন করেছেন।

যে বিষয়টি উল্লেখ না করলেই নয় ১৯৮৭ সালে মিয়া ভাই চলচ্চিত্রের সফলতার পর তিনি বাংলা চলচ্চিত্রাঙ্গনে ‘মিয়াভাই’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন।

বলাবাহুল্য-বিখ্যাত কিংবদন্তি এ অভিনেতা প্রায় পাঁচ দশক ধরে বড় পর্দা মাতিয়ে বেরিয়েছেন। জয় করেছেন দর্শকের হৃদয়, চিত্রনায়ক ফারুক বাংলাদেশি চলচ্চিত্র অভিনেতা হলেও তিনি একাধারে ছিলেন প্রযোজক, ব্যবসায়ী এবং সেই সাথে রাজনীতিবিদ।