গোপালগঞ্জে শুখতাইলে বিডিআর সদস্যের পরিবারের উপর হামলার ও মারধরের আভিযোগ

- আপডেট টাইম : ০৭:০৯:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ এপ্রিল ২০২৩
- / ৩৩৯ ৫০০০.০ বার পাঠক
গোপালগঞ্জ জেলার শুখতাইল ইউনিয়নের মোল্লাপাড়ার বিডিআর সদস্য মোঃ ইহায়িয়া মোল্যার স্ত্রী চামেলী বেগম সন্তান সহ পরিবারের সদস্যদের উপর জায়গা দখল করাকে কেন্দ্র করে তারই আপন ভাই,ভাইয়ের বউ ফাতেমা আশে পাশের সন্ত্রাসী হেদায়েত মোল্লা, ফোরকান মোল্লা সহ আরো ২/৩ জনকে সাথে হামলা করে মারধর করে চামেলী বেগম ও তার পরিবারের লোকজনদের।
সরেজমিনে গেলে জানা যায়, গত ৬ই এপ্রিল বাড়ির উপর ট্যাংকি নির্মান করা নিয়ে ঐ পরিবারের মাঝে জগড়ার সৃস্টি হয়। প্রথমে সন্ত্রাসীরা বিডিআর সদস্যর স্ত্রী ও সন্তানদের মারধর করে। পরিস্হিতি খারাপ দেখে উল্টা ৯৯৯ এ ফোন করে পুলিশ আনে সন্ত্রাসীরা। বড়িতে পুলিশ যাওয়া মাত্রই গুপিনাথপুর পুলিশ ফড়ীর পুলিশের সামনে আবারো চামেলী বেগমকে মারধর করে পুলিশ সন্ত্রাসীদেরকে বাঁধা দেয় এবং সন্ত্রাসীদের আটোক করে। হিরু মোল্লার স্ত্রী গনমাধ্যম কর্মীদের মিথ্যা ও ভুল তথ্য পরিবেশন করে বিভিন্ন গনমাধ্যমে চামেলী বেগমের বিরূদ্ধে খবর প্রকাশ করায়। সেই সাথে পুলিশের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দেয় যে পুলিশ ঘুষ নিয়ে চামলীর পক্ষে কাজ করছে।
এ ব্যপারে বিডিআর সদস্য ইয়াহিয়া মুঠোফোনে আমাদেরকে জানান, আমার ভাইয়ের বৌ ফাতেমা আমার ভাইকে ডিভোর্স দিয়ে খুলনা চলে যায় রাশেদের সাথে । সেখানে সে থাকতে নাপেরে আবারো ফিরে আসে আমাদের বাড়িতে। আমার মা তাকে মেনে নেয় নি। পরবর্তীতে ফাতেমা বেগম সু-কৌশলে আমাদের পরিবারে আবার স্থান করে নিয়ে আমাদের পরিবারের মাঝে ঝামেলার সৃষ্টি করতে থাকে। সে আমার গর্ভধারিনী মায়ের বিরুদ্ধেও নির্যাতন মামরা দিয়েছে। আমার মা আদালতে হজির হয়ে বাড়ি ফেরার সময় রোড এক্সিডেন্টে মারা যায়। আমার মায়ের মৃত্যুর একমাত্র কারন আমার ভাই ও ভাই বৌ্। আমাদের বাড়িতে সকল অশান্তির কারন ওরা। আমি একজন বিডিআর সদস্য বাড়ি থাকিনা। এই সুযোগে ওরা আমার পরিবারের লোকজনদের উপর বার বার আত্যাচার করছে।আমি সরকারের কাজের জন্য ডিউটি করছি, সরকারের উচিত আমার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
এ ব্যপারে হিরু মোল্লার স্ত্রী ফাতেমা বেগমের নিকট চ্যামেলী বেগম ও তার পরিবারের উপর হামলার কথা অস্বীকার করে বলেন, ৯৯৯ এ আমি ফোন দিয়েছি, গুপিনাথপুর পুলিশ ফাঁড়ি থেকে পুলিশ এসে পুলিশ আমাদের আস্থা ভেঙ্গে দিয়েছে, ওরা ঘুঘের বিনিময়ে আমাদের আমাদের পরিবারের উপর আন্যায় করেছে।
গোপিনাথপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোশাররফ হোসেন আমাদেরকে বলেন, ৯৯৯ যারা ফোন করেছিলেন তারাই পুলিশের উপস্থিতিতে চামেলী বেগমের ওপর হামলা করলে আমাদের অফিসার তাদের আটক করেছে।