আজমিরীগঞ্জে নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন অভিজানে মালামাল জব্দ
- আপডেট টাইম : ০৫:২২:৫২ অপরাহ্ণ, রবিবার, ৯ এপ্রিল ২০২৩
- / ১৪৮ ৫০০০.০ বার পাঠক
আজমিরীগঞ্জে নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে ভিটাবাড়ি তৈরির হিড়িক।
আজমিরীগঞ্জ উপজেলার জলসুখা ইউনিয়নের নোয়াগড় গ্রামে নদী থেকে বালু উত্তোলন করে ভিটাবাড়ি তৈরি করার যেন হিরিক পরেছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায় মখলিছ মিয়া ও জব্বার মিয়া নোয়াগড় গ্রামে পার্শবর্তি কাটানদী থেকে বালু উত্তোলন করে ফুট হিসেবে বিক্রি করে ঐ গ্রামের লোকজনের ভিটাবাড়ি তৈরি করে দিচ্ছে। এতে নদীর পাড় ভেঙ্গে ফসলি জমির ক্ষতি হচ্ছে। আর লাভবান হচ্ছে কিছু প্রভাবশালী সার্থনেসি মানুষ । নিরিহ কৃষকগন তাদের প্রভাবে কিছু বলতে পারছে না। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় নোয়াগড় গ্রামের প্রভাবশালি মখলিছ মিয়া, শাফি উল্লা ও তাহার সহযোগী হিসেবে পার্শবর্তি থানার হায়দর আলী সহ অজ্ঞাত কয়েকজন মিলে দুই থেকে তিনটি ডেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করচ্ছে। তাহাদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করলে জানান আইনত কোন অনুমোদন নেই। তবে গ্রাম বাসীর অনুমোদন রয়েছে। এই বিষয় নিয়ে নোয়াগড় গ্রামের বর্তমান মেম্বার জুনাব আলীর সঙ্গে ফোনে কথা বললে তিনি জানান গ্রামবাসির পক্ষ থেকে কোন অনুমোদন দেওয়া হয় নাই । ডেজার মালিক শাফি উল্লার সঙ্গে আলোচনা করলে তিনি জানান আমাদের কোন অনুমোদন নাই ভিটা তৈরির কাজে বালু উত্তোলন করি। ড্রেজার মালিক আলী হায়দারের সঙ্গে ফোনে আলোচনা করলে তিনি জানান কোন অনুমোদন নেই তবে থানা থেকে অনুমোদন আনব এস আই হিমেন এসে দেখে যায়। এস আই হিমেন এর সঙ্গে আলোচনা করলে তিনি বলেন আমি দেখে এসেছি এবং ড্রেজার বন্ধ করার জন্য বলে এসেছি। এই বিষয় নিয়ে দুপোর প্রায় ১২ ঘটিকার সময় আজমিরীগঞ্জ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভুমি) মোঃ শফিকুল ইসলামের সঙ্গে আলোচনা করলে তিনি জানান দ্রুতই খোঁজ খবর নিয়ে এর সঠিক ব্যাবস্থা নেব। আরও জানা যায় আজমিরীগঞ্জ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভুমি) মোঃ শফিকুল ইসলাম প্রায় ৪ঘটিকার সময় নোয়াগড় গ্রামে গিয়ে অভিজান চালায়। তাহার সঙ্গে আবার ও ফোনে আলোচনা করলে তিনি জানান সেখানে গেলে লোকজন পালিয়ে যায় ড্রেজারের কিছু মালামাল জব্দ করে আসি।