ঈদের মার্কেটিং এবং সরকারের ভ্যাট ফাঁকি দেওয়া অসাদু ব্যবসায়ীদের প্রতিহত করার কৌশল
- আপডেট টাইম : ০৮:৩১:০১ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ৯ এপ্রিল ২০২৩
- / ২০৯ ৫০০০.০ বার পাঠক
ঈদের কেনাকাটার জন্য আমরা সবাই কমবেশি মার্কেটে যাই,
কাপড় কিনতে গিয়ে পছন্দ করার পারে দাম দেওয়ার সময় দেখা যায় দামের সাথে ১৫% ভ্যাট যোগ করেছে।
নিজের দোকানের রশিদের মাধ্যমে অনেক দোকানদার ক্রেতার কাছ থেকে আদায় করে থাকে যেটা বেআইনি,
কাপড় কিনতে গিয়ে দোকানদার যদি রশিদের মধ্যে মাধ্যমে ভ্যাট নিয়ে থাকে তবে আপনি বলবেন,
এখানে এই ভ্যাট কিসের? – এটা কি সরকারকে দিতে হয়। দোকানদারকে জিজ্ঞাসা করবেন,
আপনাদের ভ্যাট নাম্বার কত?
মুসক ১১ ফর্ম অর্থাৎ ভ্যাট চালানের রশিদ চেয়ে নেবেন।
আপনি তো সরকারকে ভ্যাট দিচ্ছেন
আর সরকার আপনাকে এর রিসিপ্ট দিবে না? দোকানদারের কাছ থেকে-
নীল রঙ্গের ভ্যাট চালানটি নিয়ে ভ্যাট প্রদান করবেন।
যদি কোন দোকানদার তার দোকানের রশিদে ভ্যাট নিয়ে থাকে, সাথে সাথে তার আপনি প্রতিবাদ করুন।
দোকানদার বলতে পারে আপনাকে, আপনার কি সমস্যা এভাবে ভেদ প্রদান করলে, আপনি বলবেন-
– এখানে তো সমস্যাটা আপনার।
মুসক বিধিমালা ২০১২ অনুযায়ী আমি আপনার মাধ্যমে সরকারকে ভ্যাট দিলাম, আর আপনি আমাকে চালানের একটা কাগজও তো দিলেন না।
দোকানদার যদি বলে এটা নাই আমার কাছে, তাহলে আপনি জিজ্ঞাসা করবেন
কোন আইনে ভিত্তিতে আপনি আমার কাছে ভ্যাট আদায় করলেন?
আপনার বিরুদ্ধে তো ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
শুধু কাপড়ের দোকানই নয় হাজার হাজার শপিং মল, রেস্টুরেন্ট, হোটেল ইত্যাদিতে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে এভাবে ভ্যাট আদায় করার নামে অর্থ আত্মসাৎ করছে।
আর সরকারের হাজার হাজার কোটি টাকা নিজেদের পকেটে ঢুকাচ্ছে।
নিয়ম হল, যখনি কেউ আপনার বিলে ভ্যাট হিসেবে টাকা কেটে নিবে,
সাথে সাথে সে আপনাকে একটি চালানের (নীল রঙ্গের ) সরকারি একটি রসিক প্রদান করবে।
আপনি যে সরকারকে ভ্যাট দিলেন,
আর সরকার যে বুঝিয়ে পেল সেটার প্রমাণ পত্র এটি।
ভ্যাট নিবন্ধিত প্রত্যেক দোকান বা রেস্টুরেন্টে এই সরকারি কাগজ থাকে।
অনেক সময় শুধু প্রিন্ট করা বিল আমাদের দেয় যেখানে ভ্যাটের টাকার পরিমাণও উল্লেখ থাকে… কিন্তু এটি ভ্যাট আদায়ের রশিদ বা সরকারি কাগজ নয়।
নীল রঙয়ের চালান কাগজটিই হল ভ্যাটের কাগজ।
কেউ যদি প্রিন্টেড বিলে ভ্যাট নিয়ে আলাদাভাবে এই চালান কাগজ না দেয়, তাহলে বুঝবেন সেই টাকা সেই প্রতিষ্ঠান সরকারের অর্থ আত্মসাৎ করছে সরকারি প্রাপ্য টাকা নিজের পকেটে ঢুকালো,
অথচ আপনি সরকারকে ঠিকই ভ্যাট দিলেন আর সেই ভ্যাটের ঢাকা সরকার পর্যন্ত পৌঁছায়নি।
খাবার রেস্টুরেন্টগুলোতে এই দুই নম্বরি কাজগুলো বেশি করে।
আবার অনেক প্রতিষ্ঠানের ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন নাম্বারই নেই,
তারাও অযথা ভ্যাটের নামে টাকা আদায় করে।
কেউ চালান কাগজ দিতে অস্বীকার করলে,
তাকে আইনের কথা উল্লেখ করে আর ভ্যাট দিবেন না।
বেশি তেড়িবেড়ি করলে এনবিআরে সরাসরি ফোন (16555) দিয়ে অভিযোগ করবেন।
আমরা কষ্টের ইনকামের টাকা থেকে প্রতিনিয়ত সরকারকে ভ্যাট দিচ্ছি কিন্তু সে টাকা সরকার পর্যন্ত যাচ্ছেই না,
কারণ বেশিরভাগ লোকই এটা জানে না…আর এই সুযোগে এসব দুষ্ট লোকগুলো সরকারের হাজার হাজার কোটি টাকা মেরে দিচ্ছে চোখের সামনে।
আর সেই অর্থ দিয়ে বাড়িঘর কিনছে,
পাচার করছে দেশের অর্থ বিদেশে।
আর এর জন্য আপনি আমি কমবেশি সকলেই দায়ী।
নীল রঙয়ের চালান কাগজটির একটা নমুনা ছবি দেয়া হলো।