ঢাকা ১১:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় ১০ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৯৯০ ইলা লালালালা: সবুজ ঘাসের লাল দ্রোহের সুর যার কন্ঠে তরুণ আইনজীবী সাইফুলকে যেভাবে হত্যা করা হয় গাজীপুরে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত রায়পুর সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের দুর্নীতিত অতিষ্ঠ জনসাধারণ সমাবেশে গিয়ে টাকা না পেয়ে বাড়ি ঘেরাও, ৫ প্রতারক আটক অভিনব সিন্ডিকেট: সয়াবিন তেলের সঙ্গে চাল-ডাল কেনা বাধ্যতামূলক! সব ছাত্রসংগঠনের সমন্বয়ে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করলেন হাসনাত ডেপুটি রেজিস্ট্রার হয়েও নার্সিং ইনস্টিটিউট ব্যবসা নিলুফার ইয়াসমিনের অভিযোগ তদন্তে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে তলব পুলিশ প্রশাসনের নীতিগত পরিবর্তন হলেও এসআই মিজানের অসাধু নীতির পরিবর্তন হয়নি

সামান্য বৃষ্টির কারণে জুরাইন-দয়াগঞ্জ রাস্তাটির বেহাল অবস্থা যানজটে ভোগান্তি

সিকু চাকমা
  • আপডেট টাইম : ০৪:০৬:৫৭ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩
  • / ২৩৬ ৫০০০.০ বার পাঠক

রাজধানীর শ্যামপুর থানার জুরাইন- দয়াগঞ্জ রাস্তাটির বেহাল অবস্থা। রাস্তাটি পরিবহণ চলাচলের জন্য দুটি ভাগে বিভক্ত ছিল। কিন্ত ঢাকার কমলাপুর-নারায়ণগঞ্জ ও পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে ঢাকা-ফরিদপুর রেল লাইন নির্মাণের জন্য সেখানের দুটি রাস্তার একটি রেললাইন তৈরির জন্য রেললাইন কর্তৃপক্ষ নিয়ে নেন। বাকি থাকে একপাশের একটি রাস্তা। এই একটি রাস্তা দিয়েই পরিবহণগুলোকে যাওয়া-আসার জন্য চলাচল করতে হচ্ছে। ফলে দুটি রাস্তায় চলাচলরত পরিবহণগুলোকে একটি কম প্রশস্থ রাস্তা ব্যবহার করায় ব্যস্ততম এই রাস্তায় প্রায়ই যানজটের সৃষ্টি হয়। এছাড়া রাস্তাটির গেন্ডারিয়া কাঁচাবাজারের অপরপাশের অংশের বেশকিছু অংশ ভাঙচুর হয়ে খানাখন্দে পরিনত হয়েছে। শুধু তাই নয়, রাস্তার এই অংশেই রয়েছে একটি কুয়ার মত গর্ত। অন্যদিকে সামান্য বৃষ্টিতে ভাঙ্গাচোরা রাস্তার গর্ত পানিতে ভরে একাকার হয়ে যায়। ফলে এখানে চলাচলরত রিক্সাসহ অন্যান্য যানবাহনগুলোকে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়। এজন্য প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা। অপরদিকে রেললাইনের কাজ করায় এর ধুলোবালিতে পুরো পরিবেশ দূষিত হচ্ছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জুরাইন থেকে দয়াগঞ্জ রাস্তাটি যানবাহন চলাচলের জন্য দুটি রাস্তা ছিল। দ্বিমুখী এই রাস্তার একপাশ অনেক আগেই বন্ধ করে রেললাইন চলাচলের নির্মাণ কাজ শুরু করেন কর্তৃপক্ষ। যার কারণে এ পাশটি যানবাহন চলাচলের জন্য বন্ধ হয়ে যায়। ফলে একপাশের রাস্তা দিয়েই যানবাহনগুলো যাওয়া-আসা করছে। সড়ক ও জনপদের এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করে রিক্সাসহ ছোট-বড় প্রায় হাজার গাড়ি। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম রাস্তা। কিন্তু রাস্তাটির গেন্ডারিয়া কাঁচা বাজারের অপর পাশের এলাকার কিছু অংশ ছোটবড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এবং পানিতে তা একাকার হয়ে গেছে। রাস্তার একপাশে দেখা যায় বিশাল একটি কুয়ার মত গর্ত। ফলে রাস্তাটি সরু হয়ে যাওয়ায় যানবাহন চলাচল করতে না পারায় যানজটের সৃষ্টি হয়। যা থাকে দীর্ঘ সময় যানজট অন্যদিকে রাস্তার ওপর দিয়ে দয়াগঞ্জ রেললাইনের কাজ সম্পূর্ণ না হওয়ায়, সেখানেও সৃষ্টি হয় বিশাল যানজট। পরিবহনগুলোকে অনেক ঝুঁকি নিয়ে দয়াগঞ্জ রেললাইন পারাপার হতে হচ্ছে। শুধু তাই নয়, এখানে ও ভাঙ্গা রাস্তায় চলাচলের সময় রিক্সাসহ অনেক ছোট যানবাহন উল্টে পড়ে যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েন এই রাস্তায় চলাচলত পরিবহন যাত্রী ও পথচারীরা।
রাস্তাটির বেশিরভাগ অংশ ভালো হলেও কিছু অংশ ভাঙ্গাচোড়ার কারণে চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে জনগণকে। ভাঙ্গা রাস্তার পাশের একটি কার ড্রাইভিং সেন্টারের মালিক অঞ্জন রায় জানান, এই ভাঙ্গাচোড়ার কারণে এখানে প্রায়ই রিক্সা উল্টে পড়ে যায়। ২-৩ দিন আগেও এক বয়স্ক মহিলা রিক্সা থেকে পরে গিয়ে আহত হন। আর বৃষ্টি হলে পরিবহনযাত্রী ও পথচারীরা চরম দুর্ভোগে পড়েন। এ রাস্তায় চলাচল করা লেগুনাচালক মালেক জানান, রাস্তাটি ভাঙ্গার কারণে আমাদের গাড়ির যন্ত্রাংশের ক্ষতি হচ্ছে। শুধু তাই নয়, রাস্তাটি সরু ও ভাঙ্গাচোরা অংশে ও দয়াগঞ্জ রেললাইনে ঝুঁকি নিয়ে চলতে হয়। রিক্সাচালক আনোয়ার জানান, আমাদের কষ্টের সীমা নাই। আর সন্ধ্যার পর যানজট আরও বেড়ে যায়। তখন অপেক্ষা করতে হয় দীর্ঘ সময়। এলাকার বাসিন্দা রহমত জানান, রেললাইনের কাজ করায় রাস্তার ধুলোবালি ভবনের ভেতর ঢুকে পড়ছে। হচ্ছে চরমভাবে পরিবেশ দূষণ। অন্যদিকে রাস্তাটি মেরামত করে আরও প্রশস্থ করা জরুরি বলে জানান এলাকার স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা।
এব্যপারে সড়ক ও জনপথের ঢাকা বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আহাদউল্লাহ সাংবাদিককে জানান, আমি খোঁজখবর নিয়ে এই সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা নিচ্ছি।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

সামান্য বৃষ্টির কারণে জুরাইন-দয়াগঞ্জ রাস্তাটির বেহাল অবস্থা যানজটে ভোগান্তি

আপডেট টাইম : ০৪:০৬:৫৭ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩

রাজধানীর শ্যামপুর থানার জুরাইন- দয়াগঞ্জ রাস্তাটির বেহাল অবস্থা। রাস্তাটি পরিবহণ চলাচলের জন্য দুটি ভাগে বিভক্ত ছিল। কিন্ত ঢাকার কমলাপুর-নারায়ণগঞ্জ ও পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে ঢাকা-ফরিদপুর রেল লাইন নির্মাণের জন্য সেখানের দুটি রাস্তার একটি রেললাইন তৈরির জন্য রেললাইন কর্তৃপক্ষ নিয়ে নেন। বাকি থাকে একপাশের একটি রাস্তা। এই একটি রাস্তা দিয়েই পরিবহণগুলোকে যাওয়া-আসার জন্য চলাচল করতে হচ্ছে। ফলে দুটি রাস্তায় চলাচলরত পরিবহণগুলোকে একটি কম প্রশস্থ রাস্তা ব্যবহার করায় ব্যস্ততম এই রাস্তায় প্রায়ই যানজটের সৃষ্টি হয়। এছাড়া রাস্তাটির গেন্ডারিয়া কাঁচাবাজারের অপরপাশের অংশের বেশকিছু অংশ ভাঙচুর হয়ে খানাখন্দে পরিনত হয়েছে। শুধু তাই নয়, রাস্তার এই অংশেই রয়েছে একটি কুয়ার মত গর্ত। অন্যদিকে সামান্য বৃষ্টিতে ভাঙ্গাচোরা রাস্তার গর্ত পানিতে ভরে একাকার হয়ে যায়। ফলে এখানে চলাচলরত রিক্সাসহ অন্যান্য যানবাহনগুলোকে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়। এজন্য প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা। অপরদিকে রেললাইনের কাজ করায় এর ধুলোবালিতে পুরো পরিবেশ দূষিত হচ্ছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জুরাইন থেকে দয়াগঞ্জ রাস্তাটি যানবাহন চলাচলের জন্য দুটি রাস্তা ছিল। দ্বিমুখী এই রাস্তার একপাশ অনেক আগেই বন্ধ করে রেললাইন চলাচলের নির্মাণ কাজ শুরু করেন কর্তৃপক্ষ। যার কারণে এ পাশটি যানবাহন চলাচলের জন্য বন্ধ হয়ে যায়। ফলে একপাশের রাস্তা দিয়েই যানবাহনগুলো যাওয়া-আসা করছে। সড়ক ও জনপদের এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করে রিক্সাসহ ছোট-বড় প্রায় হাজার গাড়ি। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম রাস্তা। কিন্তু রাস্তাটির গেন্ডারিয়া কাঁচা বাজারের অপর পাশের এলাকার কিছু অংশ ছোটবড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এবং পানিতে তা একাকার হয়ে গেছে। রাস্তার একপাশে দেখা যায় বিশাল একটি কুয়ার মত গর্ত। ফলে রাস্তাটি সরু হয়ে যাওয়ায় যানবাহন চলাচল করতে না পারায় যানজটের সৃষ্টি হয়। যা থাকে দীর্ঘ সময় যানজট অন্যদিকে রাস্তার ওপর দিয়ে দয়াগঞ্জ রেললাইনের কাজ সম্পূর্ণ না হওয়ায়, সেখানেও সৃষ্টি হয় বিশাল যানজট। পরিবহনগুলোকে অনেক ঝুঁকি নিয়ে দয়াগঞ্জ রেললাইন পারাপার হতে হচ্ছে। শুধু তাই নয়, এখানে ও ভাঙ্গা রাস্তায় চলাচলের সময় রিক্সাসহ অনেক ছোট যানবাহন উল্টে পড়ে যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েন এই রাস্তায় চলাচলত পরিবহন যাত্রী ও পথচারীরা।
রাস্তাটির বেশিরভাগ অংশ ভালো হলেও কিছু অংশ ভাঙ্গাচোড়ার কারণে চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে জনগণকে। ভাঙ্গা রাস্তার পাশের একটি কার ড্রাইভিং সেন্টারের মালিক অঞ্জন রায় জানান, এই ভাঙ্গাচোড়ার কারণে এখানে প্রায়ই রিক্সা উল্টে পড়ে যায়। ২-৩ দিন আগেও এক বয়স্ক মহিলা রিক্সা থেকে পরে গিয়ে আহত হন। আর বৃষ্টি হলে পরিবহনযাত্রী ও পথচারীরা চরম দুর্ভোগে পড়েন। এ রাস্তায় চলাচল করা লেগুনাচালক মালেক জানান, রাস্তাটি ভাঙ্গার কারণে আমাদের গাড়ির যন্ত্রাংশের ক্ষতি হচ্ছে। শুধু তাই নয়, রাস্তাটি সরু ও ভাঙ্গাচোরা অংশে ও দয়াগঞ্জ রেললাইনে ঝুঁকি নিয়ে চলতে হয়। রিক্সাচালক আনোয়ার জানান, আমাদের কষ্টের সীমা নাই। আর সন্ধ্যার পর যানজট আরও বেড়ে যায়। তখন অপেক্ষা করতে হয় দীর্ঘ সময়। এলাকার বাসিন্দা রহমত জানান, রেললাইনের কাজ করায় রাস্তার ধুলোবালি ভবনের ভেতর ঢুকে পড়ছে। হচ্ছে চরমভাবে পরিবেশ দূষণ। অন্যদিকে রাস্তাটি মেরামত করে আরও প্রশস্থ করা জরুরি বলে জানান এলাকার স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা।
এব্যপারে সড়ক ও জনপথের ঢাকা বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আহাদউল্লাহ সাংবাদিককে জানান, আমি খোঁজখবর নিয়ে এই সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা নিচ্ছি।