ঢাকা ০৬:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
আজমিরিগঞ্জে ৮ লিটার চোলাই মদসহ এক যুবক গ্রেপ্তার। মোঃ আংগুর মিয়া নাসিরনগরে তরুণের পায়ের রগ কেটে দেওয়ার অভিযোগ সাংবাদিক সুরক্ষা ও কল্যাণ ফাউন্ডেশন এর ১৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা ময়মনসিংহ জেলায় ভাঙ্গুড়ায় ইউনিয়ন বিএনপির কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা এসপি বলেন , লিখিত পরীক্ষায় বাছাই হওয়া ২৮৫ জনকে আমার ফোন নম্বর দিয়ে দিয়েছি তদন্ত প্রতিবেদনে হাসিনার বিরুদ্ধে ৫ অভিযোগ চিকিৎসকদের পরিবর্তনের মানসিকতা নিয়ে চিকিৎসা সেবার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার যুদ্ধবিরতির পর ভারত-পাকিস্তান যা দাবি করছে হাসিনা কামাল মামুনের বিরুদ্ধে জুলাই গণহত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা নাসিরনগরে বজ্রপাতে শিশুসহ ৩ জনের মৃত্যু

আখাউড়ায় সরকারি গাছ কর্তন, নেয়া হয়নি অনুমতি

কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) থেকে ইয়াসিন মনি খান
  • আপডেট টাইম : ০১:০৮:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩
  • / ১৭৮ ১৫০০০.০ বার পাঠক

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় গত বুধবার (২২ মার্চ) টেন্ডার ছাড়া পোস্ট অফিসের ৫টি সরকারি গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে পোস্ট মাস্টার আজহার উদ্দিনের বিরুদ্ধে। সরকারি গাছ কাটার জন্য অনুমতি প্রয়োজন কিন্তু তিনি তা করেন নি। গাছের পরিমাপ, মূল্য নির্ধারণ এবং সরকারি অনুমতি না নিয়েই তিনি এসব মূল্যবান গাছ কেটেছেন।

জানা যায়, আখাউড়া পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্র সড়ক বাজারে পোস্ট অফিসের একতলা ভবন রয়েছে। পোস্ট অফিস চত্বরে বেশ কিছু ফলজ ও বনজ গাছ রয়েছে। পোস্ট মাস্টার আজহার উদ্দিন এসব গাছ থেকে ৫টি গাছ কর্তন করেছেন। এর মধ্যে একটি গাছের গুড়ি থেকে বাকি গাছগুলো কাণ্ডের ওপরের অর্ধাংশ ডালপালাসহ কেটে ফেলেছেন। গাছ কাটার জন্য পোস্ট অফিস বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় বন বিভাগের কোনো অনুমতি নেয়নি পোস্ট মাস্টার।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সরজমিনে পোস্ট অফিসে গিয়ে দেখা যায়, পোস্ট অফিসের সামনের খোলা জায়গায় গাছের কাণ্ড ও ডালপালা রাখা হয়েছে।

গাছ কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা পোস্ট মাস্টার আজহার উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, গাছের ডালপালা বিদ্যুতের তারে পড়েছিল, এ জন্য কেটে দিয়েছি। গাছ কাটার বিষয়ে বিভাগীয় অনুমতি রয়েছে। তবে তিনি লিখিত কোনো অনুমতি দেখাতে পারেননি।

উপজেলা বন কর্মকর্তা গোলাম মোস্তাফা বলেন, গাছ কাটার বিষয়ে পোস্ট অফিসের কোনো চিঠি পাইনি। বিষয়টি আমি অবগত নই।

আখাউড়া উপজেলার সাবেক বন কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, গাছ কাটতে হলে বন বিভাগকে অবগত করা হলে তারপর মূল্য নির্ধারণ করা হয়। তারপর কমিটি নিলাম দেওয়ার পর প্রাপ্ত ব্যক্তি গাছ কাটবেন। এটাই নিয়ম।

ডাক বিভাগের কুমিল্লা ডেপুটি পোস্ট মাস্টার জেনারেল (ডিপিএমজি) মোজাম্মেল হক বলেন, বৃষ্টির পানি যাতে ছাদে না পড়ে সে জন্য গাছের ডালপালা ছেঁটে দেওয়ার নির্দেশনা আছে। তবে গাছ কাটার কোনো অনুমতি দেওয়া হয়নি। বিষয়টি তদন্ত করার জন্য কসবা পোস্ট মাস্টারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

আখাউড়ায় সরকারি গাছ কর্তন, নেয়া হয়নি অনুমতি

আপডেট টাইম : ০১:০৮:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় গত বুধবার (২২ মার্চ) টেন্ডার ছাড়া পোস্ট অফিসের ৫টি সরকারি গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে পোস্ট মাস্টার আজহার উদ্দিনের বিরুদ্ধে। সরকারি গাছ কাটার জন্য অনুমতি প্রয়োজন কিন্তু তিনি তা করেন নি। গাছের পরিমাপ, মূল্য নির্ধারণ এবং সরকারি অনুমতি না নিয়েই তিনি এসব মূল্যবান গাছ কেটেছেন।

জানা যায়, আখাউড়া পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্র সড়ক বাজারে পোস্ট অফিসের একতলা ভবন রয়েছে। পোস্ট অফিস চত্বরে বেশ কিছু ফলজ ও বনজ গাছ রয়েছে। পোস্ট মাস্টার আজহার উদ্দিন এসব গাছ থেকে ৫টি গাছ কর্তন করেছেন। এর মধ্যে একটি গাছের গুড়ি থেকে বাকি গাছগুলো কাণ্ডের ওপরের অর্ধাংশ ডালপালাসহ কেটে ফেলেছেন। গাছ কাটার জন্য পোস্ট অফিস বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় বন বিভাগের কোনো অনুমতি নেয়নি পোস্ট মাস্টার।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সরজমিনে পোস্ট অফিসে গিয়ে দেখা যায়, পোস্ট অফিসের সামনের খোলা জায়গায় গাছের কাণ্ড ও ডালপালা রাখা হয়েছে।

গাছ কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা পোস্ট মাস্টার আজহার উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, গাছের ডালপালা বিদ্যুতের তারে পড়েছিল, এ জন্য কেটে দিয়েছি। গাছ কাটার বিষয়ে বিভাগীয় অনুমতি রয়েছে। তবে তিনি লিখিত কোনো অনুমতি দেখাতে পারেননি।

উপজেলা বন কর্মকর্তা গোলাম মোস্তাফা বলেন, গাছ কাটার বিষয়ে পোস্ট অফিসের কোনো চিঠি পাইনি। বিষয়টি আমি অবগত নই।

আখাউড়া উপজেলার সাবেক বন কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, গাছ কাটতে হলে বন বিভাগকে অবগত করা হলে তারপর মূল্য নির্ধারণ করা হয়। তারপর কমিটি নিলাম দেওয়ার পর প্রাপ্ত ব্যক্তি গাছ কাটবেন। এটাই নিয়ম।

ডাক বিভাগের কুমিল্লা ডেপুটি পোস্ট মাস্টার জেনারেল (ডিপিএমজি) মোজাম্মেল হক বলেন, বৃষ্টির পানি যাতে ছাদে না পড়ে সে জন্য গাছের ডালপালা ছেঁটে দেওয়ার নির্দেশনা আছে। তবে গাছ কাটার কোনো অনুমতি দেওয়া হয়নি। বিষয়টি তদন্ত করার জন্য কসবা পোস্ট মাস্টারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।