ঢাকা ০৮:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
গরু বহনকারী ভটভটির ধাক্কায় প্রাণ হারালো  দুই যুবক ইবিতে ভর্তি পরীক্ষার্থীদের জন্য থাকছে না কোন পরিবহন সেবা নবাবগঞ্জ প্রেসক্লাবের সকল সাংবাদিকের সঙ্গে ওসির সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় পাকুন্দিয়া উপজেলায় ৪ মামলার পরোয়ানাভূক্ত পলাতক আসামী গ্রেফতার রাণীশংকৈলে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা কোনাবাড়ি পল্লী বিদ্যুৎ পাওয়ার সাবস্টেশনে আগুন তামাক হচ্ছে মাদকের মূল লক্ষ্য -ডাঃ মোঃ নজরুল ইসলাম কিরাটন ইউনিয়নের পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম আমাদের মাঝে আর নেই শিবগঞ্জে সানামসজিদ স্থলবন্দরে হিট স্ট্রোকে ট্রাফিক পরিদর্শকের মৃত্যু গাজীপুরবাসীর জন্য চরম “সৌভাগ্য’ বর্তমান ডিসি এডিসি রেভিনিউ চৌকস ও মেধাবী দুই কর্মকর্তার চিন্তা,চেতনায় কর্মে, সর্বোপরিভাবে সততাকে প্রাধাণ্য দিয়েই দায়িত্ব পালন করছেন

আখাউড়ায় সরকারি গাছ কর্তন, নেয়া হয়নি অনুমতি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় গত বুধবার (২২ মার্চ) টেন্ডার ছাড়া পোস্ট অফিসের ৫টি সরকারি গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে পোস্ট মাস্টার আজহার উদ্দিনের বিরুদ্ধে। সরকারি গাছ কাটার জন্য অনুমতি প্রয়োজন কিন্তু তিনি তা করেন নি। গাছের পরিমাপ, মূল্য নির্ধারণ এবং সরকারি অনুমতি না নিয়েই তিনি এসব মূল্যবান গাছ কেটেছেন।

জানা যায়, আখাউড়া পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্র সড়ক বাজারে পোস্ট অফিসের একতলা ভবন রয়েছে। পোস্ট অফিস চত্বরে বেশ কিছু ফলজ ও বনজ গাছ রয়েছে। পোস্ট মাস্টার আজহার উদ্দিন এসব গাছ থেকে ৫টি গাছ কর্তন করেছেন। এর মধ্যে একটি গাছের গুড়ি থেকে বাকি গাছগুলো কাণ্ডের ওপরের অর্ধাংশ ডালপালাসহ কেটে ফেলেছেন। গাছ কাটার জন্য পোস্ট অফিস বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় বন বিভাগের কোনো অনুমতি নেয়নি পোস্ট মাস্টার।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সরজমিনে পোস্ট অফিসে গিয়ে দেখা যায়, পোস্ট অফিসের সামনের খোলা জায়গায় গাছের কাণ্ড ও ডালপালা রাখা হয়েছে।

গাছ কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা পোস্ট মাস্টার আজহার উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, গাছের ডালপালা বিদ্যুতের তারে পড়েছিল, এ জন্য কেটে দিয়েছি। গাছ কাটার বিষয়ে বিভাগীয় অনুমতি রয়েছে। তবে তিনি লিখিত কোনো অনুমতি দেখাতে পারেননি।

উপজেলা বন কর্মকর্তা গোলাম মোস্তাফা বলেন, গাছ কাটার বিষয়ে পোস্ট অফিসের কোনো চিঠি পাইনি। বিষয়টি আমি অবগত নই।

আখাউড়া উপজেলার সাবেক বন কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, গাছ কাটতে হলে বন বিভাগকে অবগত করা হলে তারপর মূল্য নির্ধারণ করা হয়। তারপর কমিটি নিলাম দেওয়ার পর প্রাপ্ত ব্যক্তি গাছ কাটবেন। এটাই নিয়ম।

ডাক বিভাগের কুমিল্লা ডেপুটি পোস্ট মাস্টার জেনারেল (ডিপিএমজি) মোজাম্মেল হক বলেন, বৃষ্টির পানি যাতে ছাদে না পড়ে সে জন্য গাছের ডালপালা ছেঁটে দেওয়ার নির্দেশনা আছে। তবে গাছ কাটার কোনো অনুমতি দেওয়া হয়নি। বিষয়টি তদন্ত করার জন্য কসবা পোস্ট মাস্টারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আরো খবর.......

জনপ্রিয় সংবাদ

গরু বহনকারী ভটভটির ধাক্কায় প্রাণ হারালো  দুই যুবক

আখাউড়ায় সরকারি গাছ কর্তন, নেয়া হয়নি অনুমতি

আপডেট টাইম : ০১:০৮:১০ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় গত বুধবার (২২ মার্চ) টেন্ডার ছাড়া পোস্ট অফিসের ৫টি সরকারি গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে পোস্ট মাস্টার আজহার উদ্দিনের বিরুদ্ধে। সরকারি গাছ কাটার জন্য অনুমতি প্রয়োজন কিন্তু তিনি তা করেন নি। গাছের পরিমাপ, মূল্য নির্ধারণ এবং সরকারি অনুমতি না নিয়েই তিনি এসব মূল্যবান গাছ কেটেছেন।

জানা যায়, আখাউড়া পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্র সড়ক বাজারে পোস্ট অফিসের একতলা ভবন রয়েছে। পোস্ট অফিস চত্বরে বেশ কিছু ফলজ ও বনজ গাছ রয়েছে। পোস্ট মাস্টার আজহার উদ্দিন এসব গাছ থেকে ৫টি গাছ কর্তন করেছেন। এর মধ্যে একটি গাছের গুড়ি থেকে বাকি গাছগুলো কাণ্ডের ওপরের অর্ধাংশ ডালপালাসহ কেটে ফেলেছেন। গাছ কাটার জন্য পোস্ট অফিস বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় বন বিভাগের কোনো অনুমতি নেয়নি পোস্ট মাস্টার।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সরজমিনে পোস্ট অফিসে গিয়ে দেখা যায়, পোস্ট অফিসের সামনের খোলা জায়গায় গাছের কাণ্ড ও ডালপালা রাখা হয়েছে।

গাছ কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা পোস্ট মাস্টার আজহার উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, গাছের ডালপালা বিদ্যুতের তারে পড়েছিল, এ জন্য কেটে দিয়েছি। গাছ কাটার বিষয়ে বিভাগীয় অনুমতি রয়েছে। তবে তিনি লিখিত কোনো অনুমতি দেখাতে পারেননি।

উপজেলা বন কর্মকর্তা গোলাম মোস্তাফা বলেন, গাছ কাটার বিষয়ে পোস্ট অফিসের কোনো চিঠি পাইনি। বিষয়টি আমি অবগত নই।

আখাউড়া উপজেলার সাবেক বন কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, গাছ কাটতে হলে বন বিভাগকে অবগত করা হলে তারপর মূল্য নির্ধারণ করা হয়। তারপর কমিটি নিলাম দেওয়ার পর প্রাপ্ত ব্যক্তি গাছ কাটবেন। এটাই নিয়ম।

ডাক বিভাগের কুমিল্লা ডেপুটি পোস্ট মাস্টার জেনারেল (ডিপিএমজি) মোজাম্মেল হক বলেন, বৃষ্টির পানি যাতে ছাদে না পড়ে সে জন্য গাছের ডালপালা ছেঁটে দেওয়ার নির্দেশনা আছে। তবে গাছ কাটার কোনো অনুমতি দেওয়া হয়নি। বিষয়টি তদন্ত করার জন্য কসবা পোস্ট মাস্টারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।