ঢাকা ০৫:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
পীরগঞ্জে মাদক সেবনে গিয়ে বন্ধুর ছুরিকাঘাতে বন্ধু খুন পেঁয়াজ রপ্তানিতে শর্ত থেকে সরে দাঁড়াল ভারত, শুল্ক অর্ধেক কমিয়ে সর্বনিম্ন মূল্য প্রত্যাহার তিনটি বড় গণঅভ্যুত্থানেই বিএনপি লাভবান নবাবগঞ্জে  উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নার্সদের মানববন্ধন ফুলবাড়ীতে মোবাইল ক্রেতাদের মাঝে লটারির মাধ্যমে পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি বন্ধ: গভর্নর ঢাকায় পৌঁছেছে উচ্চ পর্যায়ের মার্কিন প্রতিনিধি দল গোপালগঞ্জে হামলায় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা নিহত, আ. লীগের বিরুদ্ধে অভিযোগ চট্টগ্রামের পটিয়ায় ২য় বারের মত শ্রেষ্ঠ শিক্ষিকা নির্বাচিত হলেন ফয়েজুন্নেছা মিলি ছাত্র–জনতার আন্দোলনে নিহত ৮৭৫, আহত ৩০ হাজারের বেশি

নওগাঁ আত্রাই মনিয়ারী ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড কচুয়া গ্ৰামের রাস্তার পাশে চলছে অবৈধভাবে ব্যাটারির সীসা গলানোর কারখানা

মোঃ আলমগীর হোসেন জেলা প্রতিনিধি নওগাঁ ।
  • আপডেট টাইম : ১২:৩২:১৯ অপরাহ্ণ, বুধবার, ১৫ মার্চ ২০২৩
  • / ১৬৬ ৫০০০.০ বার পাঠক

প্রশাসনের এর নাকের ডগায় বসে কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তিরা এই ব্যবসা করে আসতেছে কিন্তু দেখার কেউ নেই। এনিয়ে এলাকায় সাধারণ মানুষ অভিযোগ আছে। কিন্তু প্রভাবশালী হওয়ার কারণে কোনো ব্যবস্থাই হচ্ছে না।

এই সিসা গলানোর প্রভাবে গলিত সীসার একটি ক্ষতিকর পদার্থ যা খাবার, পানীয় ও শ্বাসপ্রশ্বাসের সঙ্গে মানুষের শরীরে প্রবেশ করে। মাত্রাতিরিক্ত সিসা মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।মাত্রাতিরিক্ত সিসার প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত শিশুদের সারা জীবনের জন্য স্নায়বিক, মানসিক ও শারীরিক প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে হয়। এমনকি মারাত্মক সিসা দূষণ অনেক সময় মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায় ও ফসলের ও মৎস্য চাষের ক্ষতি হয়তেছে।

সিসার বিষক্রিয়ায় মৃত্যুর হারের দিক থেকে বিশ্বে চতুর্থ স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। সিসাদূষণের কারণে প্রতিবছর ৩১ হাজার মানুষের মৃত্যু ঘটে। সিসাদূষণের কারণে যে পরিমাণ উৎপাদনশীলতা হ্রাস পায়, তাতে বার্ষিক ১৬০ কোটি ডলারের ক্ষতি হয়, যা দেশের তৈরি পোশাক খাতের আয়ের প্রায় অর্ধেক। দেশে সিসাদূষণের অন্যতম প্রধান উৎস পুরোনো সিসা অ্যাসিড ব্যাটারির অবৈধ রিসাইক্লিং কারখানা। কাজেই এসব ব্যাটারির অবৈধ রিসাইক্লিং বন্ধে কর্তৃপক্ষকে যথাযথ উদ্যোগ নিতে হবে। দেশে ভোক্তা পর্যায়ে বিক্রীত হলুদের গুঁড়ার রং উজ্জ্বল করতে বিষাক্ত সিসা ব্যবহার করা হয়। কেউ যাতে হলুদ প্রক্রিয়াজাতকরণে কোনো ধরনের উজ্জ্বল রং সংযোজন করতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে।

এক গবেষণায় বাজারের বিভিন্ন পণ্যে সিসার উপস্থিতি মিলেছে। চারটি শহরে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত শিশুদের খেলনা, সব ধরনের রং, অ্যালুমিনিয়াম ও সিলভারের হাঁড়িপাতিল, সবজি, চাল ও মসলার নমুনায় সিসার উপস্থিতি পাওয়া গেছে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

নওগাঁ আত্রাই মনিয়ারী ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড কচুয়া গ্ৰামের রাস্তার পাশে চলছে অবৈধভাবে ব্যাটারির সীসা গলানোর কারখানা

আপডেট টাইম : ১২:৩২:১৯ অপরাহ্ণ, বুধবার, ১৫ মার্চ ২০২৩

প্রশাসনের এর নাকের ডগায় বসে কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তিরা এই ব্যবসা করে আসতেছে কিন্তু দেখার কেউ নেই। এনিয়ে এলাকায় সাধারণ মানুষ অভিযোগ আছে। কিন্তু প্রভাবশালী হওয়ার কারণে কোনো ব্যবস্থাই হচ্ছে না।

এই সিসা গলানোর প্রভাবে গলিত সীসার একটি ক্ষতিকর পদার্থ যা খাবার, পানীয় ও শ্বাসপ্রশ্বাসের সঙ্গে মানুষের শরীরে প্রবেশ করে। মাত্রাতিরিক্ত সিসা মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।মাত্রাতিরিক্ত সিসার প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত শিশুদের সারা জীবনের জন্য স্নায়বিক, মানসিক ও শারীরিক প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে হয়। এমনকি মারাত্মক সিসা দূষণ অনেক সময় মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায় ও ফসলের ও মৎস্য চাষের ক্ষতি হয়তেছে।

সিসার বিষক্রিয়ায় মৃত্যুর হারের দিক থেকে বিশ্বে চতুর্থ স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। সিসাদূষণের কারণে প্রতিবছর ৩১ হাজার মানুষের মৃত্যু ঘটে। সিসাদূষণের কারণে যে পরিমাণ উৎপাদনশীলতা হ্রাস পায়, তাতে বার্ষিক ১৬০ কোটি ডলারের ক্ষতি হয়, যা দেশের তৈরি পোশাক খাতের আয়ের প্রায় অর্ধেক। দেশে সিসাদূষণের অন্যতম প্রধান উৎস পুরোনো সিসা অ্যাসিড ব্যাটারির অবৈধ রিসাইক্লিং কারখানা। কাজেই এসব ব্যাটারির অবৈধ রিসাইক্লিং বন্ধে কর্তৃপক্ষকে যথাযথ উদ্যোগ নিতে হবে। দেশে ভোক্তা পর্যায়ে বিক্রীত হলুদের গুঁড়ার রং উজ্জ্বল করতে বিষাক্ত সিসা ব্যবহার করা হয়। কেউ যাতে হলুদ প্রক্রিয়াজাতকরণে কোনো ধরনের উজ্জ্বল রং সংযোজন করতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে।

এক গবেষণায় বাজারের বিভিন্ন পণ্যে সিসার উপস্থিতি মিলেছে। চারটি শহরে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত শিশুদের খেলনা, সব ধরনের রং, অ্যালুমিনিয়াম ও সিলভারের হাঁড়িপাতিল, সবজি, চাল ও মসলার নমুনায় সিসার উপস্থিতি পাওয়া গেছে।