ঢাকা ১১:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
গুনিয়াউক ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত পিরোজপুর জেলার, মঠবাড়িয়া উপজেলায়, অনিয়মের ছড়াছড়ি, ইটভাটা গুলোতে ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তে গ্রেফতার শিক্ষার্থীরা। ছবি: সংগৃহীত নারীর প্রতি সহিংসতার প্রতিবাদে শাহবাগে ৩০ কলেজের নওগাঁয় নাতনিকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে দাদা গ্রেফতার ফুলবাড়ীতে মাদ্রাসার শিক্ষকদের নিয়ে ইফতার মাহফিল করলেন সাহাজুল ইসলাম কোয়াসিম সিদ্দিকী জনী ফুলবাড়ীতে জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস পালিত নাসিরনগরে খাদ্য বান্ধব চাল বিক্রয় অনিয়মের অভিযোগ সংঘর্ষ আহত-২ মোংলায় শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের উদ্যোগে এক বিশাল ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত নান্দাইলে মরহুম আব্দুল জলিল শিক্ষা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফি

নওগাঁ আত্রাই মনিয়ারী ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড কচুয়া গ্ৰামের রাস্তার পাশে চলছে অবৈধভাবে ব্যাটারির সীসা গলানোর কারখানা

মোঃ আলমগীর হোসেন জেলা প্রতিনিধি নওগাঁ ।
  • আপডেট টাইম : ১২:৩২:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ মার্চ ২০২৩
  • / ২০২ ৫০০০.০ বার পাঠক

প্রশাসনের এর নাকের ডগায় বসে কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তিরা এই ব্যবসা করে আসতেছে কিন্তু দেখার কেউ নেই। এনিয়ে এলাকায় সাধারণ মানুষ অভিযোগ আছে। কিন্তু প্রভাবশালী হওয়ার কারণে কোনো ব্যবস্থাই হচ্ছে না।

এই সিসা গলানোর প্রভাবে গলিত সীসার একটি ক্ষতিকর পদার্থ যা খাবার, পানীয় ও শ্বাসপ্রশ্বাসের সঙ্গে মানুষের শরীরে প্রবেশ করে। মাত্রাতিরিক্ত সিসা মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।মাত্রাতিরিক্ত সিসার প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত শিশুদের সারা জীবনের জন্য স্নায়বিক, মানসিক ও শারীরিক প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে হয়। এমনকি মারাত্মক সিসা দূষণ অনেক সময় মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায় ও ফসলের ও মৎস্য চাষের ক্ষতি হয়তেছে।

সিসার বিষক্রিয়ায় মৃত্যুর হারের দিক থেকে বিশ্বে চতুর্থ স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। সিসাদূষণের কারণে প্রতিবছর ৩১ হাজার মানুষের মৃত্যু ঘটে। সিসাদূষণের কারণে যে পরিমাণ উৎপাদনশীলতা হ্রাস পায়, তাতে বার্ষিক ১৬০ কোটি ডলারের ক্ষতি হয়, যা দেশের তৈরি পোশাক খাতের আয়ের প্রায় অর্ধেক। দেশে সিসাদূষণের অন্যতম প্রধান উৎস পুরোনো সিসা অ্যাসিড ব্যাটারির অবৈধ রিসাইক্লিং কারখানা। কাজেই এসব ব্যাটারির অবৈধ রিসাইক্লিং বন্ধে কর্তৃপক্ষকে যথাযথ উদ্যোগ নিতে হবে। দেশে ভোক্তা পর্যায়ে বিক্রীত হলুদের গুঁড়ার রং উজ্জ্বল করতে বিষাক্ত সিসা ব্যবহার করা হয়। কেউ যাতে হলুদ প্রক্রিয়াজাতকরণে কোনো ধরনের উজ্জ্বল রং সংযোজন করতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে।

এক গবেষণায় বাজারের বিভিন্ন পণ্যে সিসার উপস্থিতি মিলেছে। চারটি শহরে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত শিশুদের খেলনা, সব ধরনের রং, অ্যালুমিনিয়াম ও সিলভারের হাঁড়িপাতিল, সবজি, চাল ও মসলার নমুনায় সিসার উপস্থিতি পাওয়া গেছে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

নওগাঁ আত্রাই মনিয়ারী ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড কচুয়া গ্ৰামের রাস্তার পাশে চলছে অবৈধভাবে ব্যাটারির সীসা গলানোর কারখানা

আপডেট টাইম : ১২:৩২:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ মার্চ ২০২৩

প্রশাসনের এর নাকের ডগায় বসে কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তিরা এই ব্যবসা করে আসতেছে কিন্তু দেখার কেউ নেই। এনিয়ে এলাকায় সাধারণ মানুষ অভিযোগ আছে। কিন্তু প্রভাবশালী হওয়ার কারণে কোনো ব্যবস্থাই হচ্ছে না।

এই সিসা গলানোর প্রভাবে গলিত সীসার একটি ক্ষতিকর পদার্থ যা খাবার, পানীয় ও শ্বাসপ্রশ্বাসের সঙ্গে মানুষের শরীরে প্রবেশ করে। মাত্রাতিরিক্ত সিসা মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।মাত্রাতিরিক্ত সিসার প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত শিশুদের সারা জীবনের জন্য স্নায়বিক, মানসিক ও শারীরিক প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে হয়। এমনকি মারাত্মক সিসা দূষণ অনেক সময় মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায় ও ফসলের ও মৎস্য চাষের ক্ষতি হয়তেছে।

সিসার বিষক্রিয়ায় মৃত্যুর হারের দিক থেকে বিশ্বে চতুর্থ স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। সিসাদূষণের কারণে প্রতিবছর ৩১ হাজার মানুষের মৃত্যু ঘটে। সিসাদূষণের কারণে যে পরিমাণ উৎপাদনশীলতা হ্রাস পায়, তাতে বার্ষিক ১৬০ কোটি ডলারের ক্ষতি হয়, যা দেশের তৈরি পোশাক খাতের আয়ের প্রায় অর্ধেক। দেশে সিসাদূষণের অন্যতম প্রধান উৎস পুরোনো সিসা অ্যাসিড ব্যাটারির অবৈধ রিসাইক্লিং কারখানা। কাজেই এসব ব্যাটারির অবৈধ রিসাইক্লিং বন্ধে কর্তৃপক্ষকে যথাযথ উদ্যোগ নিতে হবে। দেশে ভোক্তা পর্যায়ে বিক্রীত হলুদের গুঁড়ার রং উজ্জ্বল করতে বিষাক্ত সিসা ব্যবহার করা হয়। কেউ যাতে হলুদ প্রক্রিয়াজাতকরণে কোনো ধরনের উজ্জ্বল রং সংযোজন করতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে।

এক গবেষণায় বাজারের বিভিন্ন পণ্যে সিসার উপস্থিতি মিলেছে। চারটি শহরে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত শিশুদের খেলনা, সব ধরনের রং, অ্যালুমিনিয়াম ও সিলভারের হাঁড়িপাতিল, সবজি, চাল ও মসলার নমুনায় সিসার উপস্থিতি পাওয়া গেছে।