ঢাকা ১২:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
রাজধানীর বিভা স্কুল এন্ড কলেজের বার্ষিক শিক্ষা সফর অনুষ্ঠিত শহরের প্রান কেন্দ্রে অবস্থিত ৪৫ বছরের পুরানো এ প্রতিষ্ঠান নাম হলো আদর্শ স্কুল এন্ড কলেজ অথচ কলেজ শাখায় একজন ছাত্র/ছাত্রীও নেই মঠবাড়িয়ায় রাতের আঁধারে বনিক সমিতির ক‌মি‌টি গঠনের প্রতিবাদে ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন গাজীপুরে দুর্নীতিবাজ ভূমি কর্মকর্তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ এটিএম আজহারুলের মুক্তির দাবিতে গণঅবস্থানের ডাক জামায়াতের চলন্তবাসে বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানি, টাঙ্গাইলে গ্রেফতার ৩ বাংলাদেশে ২৯ মিলিয়ন ডলার কারা পেয়েছে? যা বললেন ট্রাম্প অনলাইন ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল বাংলা ৫২ নিউজ ডটকম এর ৯ম বর্ষপূর্তি আজশনিবার সকাল দশটায় পিরোজপুর মঠবাড়িয়ায় উদযাপিত হয় কোনাবাড়িতে বিএনপি’র দু’গ্রুপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া: আতঙ্কে ওই এলাকার সাধারণ মানুষ ৩৬ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া মায়ের সন্ধান পেল সাংবাদিক আশিকুর রহমান জামাল

দীপন হত্যা: মেজর জিয়াসহ ৮ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৬:৫৩:৪৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / ৩১৩ ৫০০০.০ বার পাঠক

আদালত রিপোর্টার।।

পাঁচ বছর আগে রাজধানীর শাহবাগে আজিজ সুপার মার্কেটে জাগৃতি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ফয়সাল আরেফিন দীপনকে কুপিয়ে হত্যা মামলায় মেজর জিয়াসহ আট জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান এ রায় দেন। আট আসামির সবারই সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাশা করছিলো রাষ্ট্রপক্ষ।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়া, আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব, মইনুল হাসান শামীম, আ. সবুর, খাইরুল ইসলাম, আবু সিদ্দিক সোহেল, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন ও শেখ আব্দুল্লাহ। এরা সবাই নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সদস্য বলে দাবি পুলিশের। আসামিদের মধ্যে জিয়া ও আকরাম পলাতক রয়েছে, বাকিরা কারাগারে। গ্রেফতার সবাই হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে।

২০১২ সালের ১৯ জানুয়ারি সেনাবাহিনী এক সংবাদ সম্মেলনে সরকার উৎখাতে ধর্মান্ধ কয়েকজন সেনা কর্মকর্তার একটি অভ্যুত্থান পরিকল্পনা নস্যাৎ করার খবর দেয়। অভ্যুত্থান চেষ্টাকারীদের নেতা হিসেবে জানানো হয় মেজর জিয়ার নাম। তখন সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত হওয়া জিয়া পালিয়ে জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামে যুক্ত হন বলে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে। তদন্তকারীদের ভাষ্য মতে, এই জঙ্গি দলের সামরিক কমান্ডারের দায়িত্বে থাকা জিয়ার পরিকল্পনা ও নির্দেশেই দীপনকে হত্যা করা হয়।বাংলাদেশে লেখক-প্রকাশক, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টদের উপর ধারাবাহিক হামলার মধ্যে ২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর আজিজ সুপার মার্কেটে নিজের প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান জাগৃতির কার্যালয়ে খুন হন দীপন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হকের ছেলে দীপনকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। সেই দিনই নিহত দীপনের স্ত্রী রাজিয়া রহমান শাহবাগ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর ২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার ফজলুর রহমান।

২০১৯ সালের ১৩ অক্টোবর অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে মামলার ওই আট আসামির বিচার শুরু হয়। জিয়াসহ দুই আসামিকে পলাতক দেখিয়ে বিচার শুরু হয়। মামলায় ২৬ সাক্ষীর মধ্যে ২৩ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন। গত ১৭ জানুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষ তাদের যুক্তিতর্ক উপ স্থাপন করে। এ সময় তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড চাওয়া হয়। এরপর আসামিপক্ষ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করলে রায়ের জন্য রাখেন বিচারক।

নিহত দীপনের বাবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক রায় দেখে তার প্রতিক্রিয়া জানাবেন বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন,‘রায়ের বিষয়ে এখনই কোনো মন্তব্য করতে চাই না। রায় দেখে তারপর প্রতিক্রিয়া জানাব।’

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দীপন হত্যা: মেজর জিয়াসহ ৮ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড

আপডেট টাইম : ০৬:৫৩:৪৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২১

আদালত রিপোর্টার।।

পাঁচ বছর আগে রাজধানীর শাহবাগে আজিজ সুপার মার্কেটে জাগৃতি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ফয়সাল আরেফিন দীপনকে কুপিয়ে হত্যা মামলায় মেজর জিয়াসহ আট জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান এ রায় দেন। আট আসামির সবারই সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাশা করছিলো রাষ্ট্রপক্ষ।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়া, আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব, মইনুল হাসান শামীম, আ. সবুর, খাইরুল ইসলাম, আবু সিদ্দিক সোহেল, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন ও শেখ আব্দুল্লাহ। এরা সবাই নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সদস্য বলে দাবি পুলিশের। আসামিদের মধ্যে জিয়া ও আকরাম পলাতক রয়েছে, বাকিরা কারাগারে। গ্রেফতার সবাই হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে।

২০১২ সালের ১৯ জানুয়ারি সেনাবাহিনী এক সংবাদ সম্মেলনে সরকার উৎখাতে ধর্মান্ধ কয়েকজন সেনা কর্মকর্তার একটি অভ্যুত্থান পরিকল্পনা নস্যাৎ করার খবর দেয়। অভ্যুত্থান চেষ্টাকারীদের নেতা হিসেবে জানানো হয় মেজর জিয়ার নাম। তখন সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত হওয়া জিয়া পালিয়ে জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামে যুক্ত হন বলে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে। তদন্তকারীদের ভাষ্য মতে, এই জঙ্গি দলের সামরিক কমান্ডারের দায়িত্বে থাকা জিয়ার পরিকল্পনা ও নির্দেশেই দীপনকে হত্যা করা হয়।বাংলাদেশে লেখক-প্রকাশক, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টদের উপর ধারাবাহিক হামলার মধ্যে ২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর আজিজ সুপার মার্কেটে নিজের প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান জাগৃতির কার্যালয়ে খুন হন দীপন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হকের ছেলে দীপনকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। সেই দিনই নিহত দীপনের স্ত্রী রাজিয়া রহমান শাহবাগ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর ২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার ফজলুর রহমান।

২০১৯ সালের ১৩ অক্টোবর অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে মামলার ওই আট আসামির বিচার শুরু হয়। জিয়াসহ দুই আসামিকে পলাতক দেখিয়ে বিচার শুরু হয়। মামলায় ২৬ সাক্ষীর মধ্যে ২৩ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন। গত ১৭ জানুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষ তাদের যুক্তিতর্ক উপ স্থাপন করে। এ সময় তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড চাওয়া হয়। এরপর আসামিপক্ষ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করলে রায়ের জন্য রাখেন বিচারক।

নিহত দীপনের বাবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক রায় দেখে তার প্রতিক্রিয়া জানাবেন বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন,‘রায়ের বিষয়ে এখনই কোনো মন্তব্য করতে চাই না। রায় দেখে তারপর প্রতিক্রিয়া জানাব।’