ঢাকা ০৮:২৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৫ জুন ২০২৩
সংবাদ শিরোনাম ::
কিশোরীকে হাত পা বেঁধে শ্বাসরোধে হত্যা ঠাকুরগাঁওয়ে প্রচন্ড দাবদাহে পুড়ছে প্রকৃতি- গাছেই সিদ্ধ হচ্ছে আবাদি ফসল মিথ্যাচার বিএনপির একমাত্র সম্বল”নওগাঁয় ওবায়দুল কাদের র‌্যাবের অভিযানে ২,৫০০ কেজি ভারতীয় চিনিসহ ০১ জন চোরাকারবারী আটক আজমিরীগঞ্জে গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে লোডশেডিং জনজীবন অতিষ্ঠ। রাজধানীর মিরপুরে বিদেশি সিগারেটের কোটি কোটি টাকার বাণিজ্য রাজস্ব পাচ্ছে না সরকার নাজিরপুরে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন, হুমকির মুখে পরিবেশ দ্বাদশ নির্বাচনে আমি আবারও এমপি নির্বাচিত হলে কোন কাজ অসমাপ্ত থাকবে না’ মোঃএবাদুল করিম বুলবুল এমপি কিশোরগঞ্জে বনাঢ্য আয়োজনে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের শুভ উদ্বোধন কিশোরগঞ্জে বর্ণাঢ্য আয়োজনে শুরু হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট

দীপন হত্যা: মেজর জিয়াসহ ৮ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড

আদালত রিপোর্টার।।

পাঁচ বছর আগে রাজধানীর শাহবাগে আজিজ সুপার মার্কেটে জাগৃতি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ফয়সাল আরেফিন দীপনকে কুপিয়ে হত্যা মামলায় মেজর জিয়াসহ আট জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান এ রায় দেন। আট আসামির সবারই সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাশা করছিলো রাষ্ট্রপক্ষ।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়া, আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব, মইনুল হাসান শামীম, আ. সবুর, খাইরুল ইসলাম, আবু সিদ্দিক সোহেল, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন ও শেখ আব্দুল্লাহ। এরা সবাই নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সদস্য বলে দাবি পুলিশের। আসামিদের মধ্যে জিয়া ও আকরাম পলাতক রয়েছে, বাকিরা কারাগারে। গ্রেফতার সবাই হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে।

২০১২ সালের ১৯ জানুয়ারি সেনাবাহিনী এক সংবাদ সম্মেলনে সরকার উৎখাতে ধর্মান্ধ কয়েকজন সেনা কর্মকর্তার একটি অভ্যুত্থান পরিকল্পনা নস্যাৎ করার খবর দেয়। অভ্যুত্থান চেষ্টাকারীদের নেতা হিসেবে জানানো হয় মেজর জিয়ার নাম। তখন সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত হওয়া জিয়া পালিয়ে জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামে যুক্ত হন বলে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে। তদন্তকারীদের ভাষ্য মতে, এই জঙ্গি দলের সামরিক কমান্ডারের দায়িত্বে থাকা জিয়ার পরিকল্পনা ও নির্দেশেই দীপনকে হত্যা করা হয়।বাংলাদেশে লেখক-প্রকাশক, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টদের উপর ধারাবাহিক হামলার মধ্যে ২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর আজিজ সুপার মার্কেটে নিজের প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান জাগৃতির কার্যালয়ে খুন হন দীপন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হকের ছেলে দীপনকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। সেই দিনই নিহত দীপনের স্ত্রী রাজিয়া রহমান শাহবাগ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর ২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার ফজলুর রহমান।

২০১৯ সালের ১৩ অক্টোবর অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে মামলার ওই আট আসামির বিচার শুরু হয়। জিয়াসহ দুই আসামিকে পলাতক দেখিয়ে বিচার শুরু হয়। মামলায় ২৬ সাক্ষীর মধ্যে ২৩ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন। গত ১৭ জানুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষ তাদের যুক্তিতর্ক উপ স্থাপন করে। এ সময় তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড চাওয়া হয়। এরপর আসামিপক্ষ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করলে রায়ের জন্য রাখেন বিচারক।

নিহত দীপনের বাবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক রায় দেখে তার প্রতিক্রিয়া জানাবেন বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন,‘রায়ের বিষয়ে এখনই কোনো মন্তব্য করতে চাই না। রায় দেখে তারপর প্রতিক্রিয়া জানাব।’

আরো খবর.......
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

কিশোরীকে হাত পা বেঁধে শ্বাসরোধে হত্যা

দীপন হত্যা: মেজর জিয়াসহ ৮ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড

আপডেট টাইম : ০৬:৫৩:৪৯ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২১

আদালত রিপোর্টার।।

পাঁচ বছর আগে রাজধানীর শাহবাগে আজিজ সুপার মার্কেটে জাগৃতি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ফয়সাল আরেফিন দীপনকে কুপিয়ে হত্যা মামলায় মেজর জিয়াসহ আট জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান এ রায় দেন। আট আসামির সবারই সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাশা করছিলো রাষ্ট্রপক্ষ।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়া, আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব, মইনুল হাসান শামীম, আ. সবুর, খাইরুল ইসলাম, আবু সিদ্দিক সোহেল, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন ও শেখ আব্দুল্লাহ। এরা সবাই নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সদস্য বলে দাবি পুলিশের। আসামিদের মধ্যে জিয়া ও আকরাম পলাতক রয়েছে, বাকিরা কারাগারে। গ্রেফতার সবাই হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে।

২০১২ সালের ১৯ জানুয়ারি সেনাবাহিনী এক সংবাদ সম্মেলনে সরকার উৎখাতে ধর্মান্ধ কয়েকজন সেনা কর্মকর্তার একটি অভ্যুত্থান পরিকল্পনা নস্যাৎ করার খবর দেয়। অভ্যুত্থান চেষ্টাকারীদের নেতা হিসেবে জানানো হয় মেজর জিয়ার নাম। তখন সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত হওয়া জিয়া পালিয়ে জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামে যুক্ত হন বলে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে। তদন্তকারীদের ভাষ্য মতে, এই জঙ্গি দলের সামরিক কমান্ডারের দায়িত্বে থাকা জিয়ার পরিকল্পনা ও নির্দেশেই দীপনকে হত্যা করা হয়।বাংলাদেশে লেখক-প্রকাশক, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টদের উপর ধারাবাহিক হামলার মধ্যে ২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর আজিজ সুপার মার্কেটে নিজের প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান জাগৃতির কার্যালয়ে খুন হন দীপন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হকের ছেলে দীপনকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। সেই দিনই নিহত দীপনের স্ত্রী রাজিয়া রহমান শাহবাগ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর ২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার ফজলুর রহমান।

২০১৯ সালের ১৩ অক্টোবর অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে মামলার ওই আট আসামির বিচার শুরু হয়। জিয়াসহ দুই আসামিকে পলাতক দেখিয়ে বিচার শুরু হয়। মামলায় ২৬ সাক্ষীর মধ্যে ২৩ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন। গত ১৭ জানুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষ তাদের যুক্তিতর্ক উপ স্থাপন করে। এ সময় তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড চাওয়া হয়। এরপর আসামিপক্ষ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করলে রায়ের জন্য রাখেন বিচারক।

নিহত দীপনের বাবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক রায় দেখে তার প্রতিক্রিয়া জানাবেন বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন,‘রায়ের বিষয়ে এখনই কোনো মন্তব্য করতে চাই না। রায় দেখে তারপর প্রতিক্রিয়া জানাব।’