পাথরঘাটায় বখাটে কতৃক ৯ বছরের শিশুকে কুপ্রস্তাব ও শ্লীলতাহানির চেষ্টা, দোষী প্রমাণিত হওয়ায় ২০ বেত্রাঘাত
- আপডেট টাইম : ০২:৫৯:৩৮ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
- / ২৫৪ ৫০০০.০ বার পাঠক
পাথরঘাটার ১নং রায়হানপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের চারোকখোলা গ্রামের বাসিন্দা কামাল সিকদারের বখাটে ছেলে শাকিল প্রতিবেশী ৯ বছরের কিশোরী কে দীর্ঘদিন ধরে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলো, গত মঙ্গলবার ওই কিশোরীকে তার মা অন্য এক প্রতিবেশীর বাসা থেকে গরুর দুধ ক্রয়ের জন্য পাঠালে প্রতিবেশি বখাটে শাকিল কিশোরীকে কোলে তুলে নিয়ে তার স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিতে থাকে এবং ২০ টাকা দিবে বলে নানাভাবে প্রলোভন দেখিয়ে কুপ্রস্তাব দিয়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে।
এক পর্যায়ে কিশোরী চিৎকার করলে বখাটে শাকিল তার মুখ চেপে ধরে এবং অন্য এক প্রতিবেশী গৃহবধূর উপস্থিতি টের পেয়ে ছেড়ে দেয়।
বিষয়টি কিশোরী বাসায় গিয়ে তার মাকে জানালে কিশোরীর মা বখাটে শাকিলকে জিজ্ঞাসা করলে বখাটে শাকিল তাদের বাড়িঘর উড়িয়ে দিবে বলে নানা ধরনের হুমকি প্রদান করে।
অসহায় গরিব দিনমজুর কিশোরীর পিতা নিরুপায় হয়ে এলাকার ইউপি সদস্যকে অভিহিত করেন, ইউপি সদস্য ও নারী ইউপি সদস্য মিলে রায়হানপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মইনুল ইসলামকে অবহিত করলে ইউপি চেয়ারম্যান মইনুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের তদন্ত করার পরামর্শ দেন এবং তাদের তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়।
পরের দিন কিশোরীর মা লিখিতভাবে সংশ্লিষ্ট পরিষদে চেয়ারম্যান বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন।
বিষয়টি এলাকায় চাঞ্চল্যকর ঘটনায় রূপ নিলে সমাজের বিভিন্ন পেশার লোকজন ও গণমাধ্যম কর্মীরা বখাটে শাকিলের পিতা কামাল শিকদারের সাথে সাক্ষাৎ করলে তিনি ষড়যন্ত্র বলে উল্টো ভুক্তভোগীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে নিজেকে একজন আওয়ামী লীগের কর্মী বলে এড়িয়ে যান।
এর পূর্বেও বখাটে শাকিল এর বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক ইভটিজিংসহ এলাকার হাঁস-মুরগি ও নারিকেল সুপারির চুরি ও মাদক সেবনের অভিযোগ রয়েছে।
এলাকার বিভিন্ন পেশাজীবীর মানুষ বখাটে শাকিলের পিতা কামাল শিকদার একজন গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মকর্তা এলাকার তাদের প্রভাব প্রতিপত্তি রয়েছে বলে তাদের আতঙ্কে সহজে কেউ মুখ খুলতে চাচ্ছেন না, কিছু কিছু প্রতিবাদী জনসাধারণ বখাটে শাকিল এর উপযুক্ত শাস্তি দাবি করে বলেন আর যেন কোন বখাটে উৎপত্তি হয়ে এ ধরনের জঘন্য কাজের পূর্ণবৃত্তি না ঘটে সেজন্য জনপ্রতিনিধি এলাকাবাসীর গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
পরবর্তীতে এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মইনুল ইসলাম গত শুক্রবার উক্ত ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্যসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মাধ্যমে সালিশ ব্যবস্থায় বসলে বখাটে শাকিল দোষী প্রমাণিত হলে তাকে ২০ টি বেত্রাঘাত করা হয় বলে ভুক্তভোগীর পরিবার থেকে জানিয়েছেন।