ঢাকা ১২:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
আওয়ামী লীগসহ সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সব অনলাইন প্ল্যাটফর্ম বন্ধে বিটিআরসিকে চিঠি ঢাবির ছাত্রদল নেতা হত্যার ঘটনায় উপাচার্য–প্রক্টরের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ পাকিস্তানের আকাশ সীমায় নারীর হামলায় ভারত অধ্যাদেশ বাতিল চায় এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা, ৩ দিনের কলম বিরতি লক্ষ্মীপুর আল মুঈন মাদ্রসা থেকে ছাত্রের মরাদেহ উদ্ধার মরহুম সিদ্দিকুর রহমান সাহেবের ২৫তম শাহাদাত বার্ষিকী পালিত রছুল্লাবাদ শহীদ জিয়া স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৫ এর ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত পুশ ইন করা ৭৫ জন বাংলাদেশি মুসলিম এবং ৩ জন ভারতীয় মুসলিমকে উদ্ধার করেছে কোস্ট গার্ড ঢাকার মূল সড়কে কোনো রিকশা চলতে পারবে না: ডিএনসিসি প্রশাসক টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগের দোসরদের দিয়ে বিএনপির কমিটি গঠনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ, কুশপুত্তলিকা দাহ

মোংলার বীনা মল্লিক একজন নতূন নারী উদ্যাক্তা

নিজস্ব সংবাদদাতা:
  • আপডেট টাইম : ০৯:২৪:২১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / ৩৮০ ১৫০০০.০ বার পাঠক

বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি।।

একজন নতূন নারী উদ্যাক্তা বীনা মল্লিক, মোংলা উপজেলার চাঁদপাই ইউনিয়নের কাইনমারি এলাকায় তার বাড়ি, ঢাকার একটি প্রাইভেট কম্পনিতে একাউন্টসে চাকরি করতেন।
করোনা কালিন সময়ে চাকরি ছেড়ে দিয়ে নিজ জন্মভুমি মোংলাতে চলে আসেন। নিজেকে স্বাবলম্বি করতে এবং ফ্যামেলি সচ্ছল করতে উদ্যোগ নেন ফাস্টফুড বা রেস্টুরেন্ট ব্যাবসার।
নিজের জমানো সামান্য কিছু টাকা ও তার স্বামি জয়ন্ত ঠাকুরের সহায়তায় নিজ গ্রাম কাইনমারিতে একটি মাছের ঘেরের উপরে তৈরি করেন বাশ ও কাঠের কারুকার্যে তৈরী রুবি ক্যাফে নামের একটি রেস্টুরেন্ট।

ইতি মধ্যে যা মোংলা উপজেলার সকল শ্রেনির মানুষের কাছে বিনোধন কেন্দ্র বা কফি হাউজ হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছে। বিকেল হলেই এখানে চলে আসেন বিভিন্ন পেশার সাধারন মানুষ সহ মোংলাতে ঘুরতে আসা পর্যটকরা।

সেখানে ঘুরতে বা খেতে আসা মোংলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অনিমেষ বালা বলেন শহরের বাহিরে এরকম একটি নিরিবিলি জায়গায় এই রেস্টুরেন্টি খুবই সুন্দর ও মনোমুগ্ধকর যা আমাকে আকৃস্ট করেছে।

রেস্টুরেন্টে স্বপরিবারে খেতে আসা হলদিবুনিয়া গ্রামের মুকুল বাড়ই( ৭০) বলেন মানুষের কাছে শুনেছি একটি মেয়ে এখানে সুন্দর একটি রেস্টুরেন্ট দিয়েছে তাই পরিবারের সকলকে নিয়ে দেখতে ও খেতে আসলাম।

ব্যাবসা সম্পর্কে জানতে চাইলে বীনা মল্লিক জানান প্রথমে অনেকেই আমাকে নিষেধ করেছিল এখানে কিছু না করতে,এটা একটি গ্রাম, এখানে কেউ আসবেনা কিন্তু আমি নিজের এবং আমার ফ্যামেলির অনুপ্রেরনায় পানীর উপরে রেস্টুরেন্টি চালু করি, এবং বেশ অল্পদিনেই মানুষের ব্যাপক সাড়া পাই, বর্তমানে কাস্টমারের চাহিদা এতো বেশিযে অনেক কাস্টমারকে বসতেই দিতে পারিনা, আগামিতে আমার রেস্টুরেন্টের পরিধি আরো বাড়াবো বলে চিন্তা করছি, তাতে করে আমার এলাকার অনেক বেকার ছেলে মেয়ে এখানে কাজ করার সুজগ পাবে। বর্তমানে আমার রেস্টুরেন্ট ৪ জনের কর্মসংস্থানের ব্যাবস্তা হয়েছে, আমি চাই আমার মতো সকল নারীরা অন্যোর উপর নির্ভর না করে নিজ নিজ উদ্যোগে এগিয়ে আসুক এবং আত্বনির্ভর শীল হয়ে নিজ এলাকায় কর্মসংস্থান তৈরি করুক।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

মোংলার বীনা মল্লিক একজন নতূন নারী উদ্যাক্তা

আপডেট টাইম : ০৯:২৪:২১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২১

বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি।।

একজন নতূন নারী উদ্যাক্তা বীনা মল্লিক, মোংলা উপজেলার চাঁদপাই ইউনিয়নের কাইনমারি এলাকায় তার বাড়ি, ঢাকার একটি প্রাইভেট কম্পনিতে একাউন্টসে চাকরি করতেন।
করোনা কালিন সময়ে চাকরি ছেড়ে দিয়ে নিজ জন্মভুমি মোংলাতে চলে আসেন। নিজেকে স্বাবলম্বি করতে এবং ফ্যামেলি সচ্ছল করতে উদ্যোগ নেন ফাস্টফুড বা রেস্টুরেন্ট ব্যাবসার।
নিজের জমানো সামান্য কিছু টাকা ও তার স্বামি জয়ন্ত ঠাকুরের সহায়তায় নিজ গ্রাম কাইনমারিতে একটি মাছের ঘেরের উপরে তৈরি করেন বাশ ও কাঠের কারুকার্যে তৈরী রুবি ক্যাফে নামের একটি রেস্টুরেন্ট।

ইতি মধ্যে যা মোংলা উপজেলার সকল শ্রেনির মানুষের কাছে বিনোধন কেন্দ্র বা কফি হাউজ হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছে। বিকেল হলেই এখানে চলে আসেন বিভিন্ন পেশার সাধারন মানুষ সহ মোংলাতে ঘুরতে আসা পর্যটকরা।

সেখানে ঘুরতে বা খেতে আসা মোংলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অনিমেষ বালা বলেন শহরের বাহিরে এরকম একটি নিরিবিলি জায়গায় এই রেস্টুরেন্টি খুবই সুন্দর ও মনোমুগ্ধকর যা আমাকে আকৃস্ট করেছে।

রেস্টুরেন্টে স্বপরিবারে খেতে আসা হলদিবুনিয়া গ্রামের মুকুল বাড়ই( ৭০) বলেন মানুষের কাছে শুনেছি একটি মেয়ে এখানে সুন্দর একটি রেস্টুরেন্ট দিয়েছে তাই পরিবারের সকলকে নিয়ে দেখতে ও খেতে আসলাম।

ব্যাবসা সম্পর্কে জানতে চাইলে বীনা মল্লিক জানান প্রথমে অনেকেই আমাকে নিষেধ করেছিল এখানে কিছু না করতে,এটা একটি গ্রাম, এখানে কেউ আসবেনা কিন্তু আমি নিজের এবং আমার ফ্যামেলির অনুপ্রেরনায় পানীর উপরে রেস্টুরেন্টি চালু করি, এবং বেশ অল্পদিনেই মানুষের ব্যাপক সাড়া পাই, বর্তমানে কাস্টমারের চাহিদা এতো বেশিযে অনেক কাস্টমারকে বসতেই দিতে পারিনা, আগামিতে আমার রেস্টুরেন্টের পরিধি আরো বাড়াবো বলে চিন্তা করছি, তাতে করে আমার এলাকার অনেক বেকার ছেলে মেয়ে এখানে কাজ করার সুজগ পাবে। বর্তমানে আমার রেস্টুরেন্ট ৪ জনের কর্মসংস্থানের ব্যাবস্তা হয়েছে, আমি চাই আমার মতো সকল নারীরা অন্যোর উপর নির্ভর না করে নিজ নিজ উদ্যোগে এগিয়ে আসুক এবং আত্বনির্ভর শীল হয়ে নিজ এলাকায় কর্মসংস্থান তৈরি করুক।