ঢাকা ১২:০৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
সরকারি রাস্তা আওয়ামী লীগ নেতার দখলের চেষ্টা।এই বিষয়ে সময়ের কন্ঠস্বরে নিউজ প্রকাশের পর এসিল্যান্ডের নিষেধাজ্ঞা ফার্মেসী ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (সমগ্র বাংলাদেশ) পাকুন্দিয়া উপজেলা শাখা কমিটির সকলকে সনদ প্রদান ও আলোচনা সভা ২৫২ বছরের ইতিহাসে চট্টগ্রামে এই প্রথম নারী ডিসি ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের পদায়ন ফরিদা খানম গাজীপুর জেলা মহানগর কাশিমপুরে স্বাধীন মত প্রকাশের জেরে থানার ওসির নেতৃত্বে একাধিক সাংবাদিকের নামে মিথ্যা মামলা আজমিরীগঞ্জ পৌর এলাকার গন্জেরহাটি গ্রামের সরকারি রাস্তা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রনব বনিকের দখলের চেষ্টা নরসিংদীতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতা আন্দোলনে আহত সাংবাদিকদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান চট্টগ্রামে জনতা ব্যাংক সিবিএ নেতা আফসার আ.লীগের আমলে দাপট দেখিয়ে এখন বিএনপি নিয়োগ, বদলি, চাঁদাবাজি করে কামিয়েছেন টাকা মহারাষ্ট্রে ভূমিধস জয়ের পথে বিজেপি জোট, ঝাড়খণ্ডে ‘ইন্ডিয়া’ পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু জুলাই বিপ্লবে আহত বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজিবুর রহমানের ছেলে মো. বাবুকে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হচ্ছে থাইল্যান্ড

রংপুর জেলার টাকা দিয়েও প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ঘর পেলো না অন্ধ ভিক্ষুক

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০২:০২:২৮ অপরাহ্ণ, রবিবার, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১
  • / ২৯৬ ৫০০০.০ বার পাঠক

রংপুর জেলা প্রতিনিধি।।

রংপুরের মিঠাপুকুরে এক অন্ধ ভিক্ষুকের শেষ সম্বল একটি গরু ও ভিক্ষার সঞ্চিত ২৫ হাজার টাকা দিয়েও মুজিব শতবর্ষের ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পুর্ণবাসনের বর্তমান তালিকায় নাম ওঠেনি এ পরিবারের। স্থানীয় ইউপি সদস্য (মেম্বার) আব্দুল জলিল মিয়ার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেছেন উপজেলার শাল্টি গোপালপুর ইউনিয়নের মরিচবাড়ি গ্রামের ভিক্ষুক অন্ধ এনদা মিয়া।

Nogod

এ বিষয়ে ভিক্ষুক এনদা মিয়া (৩০) স্থানীয় ভাষায় বলেন, ‘মুই তো ভিক্ষুক, ভিক্ষে করি খাঁও। অন্যের জমিতে থাকো। ভিক্ষা করি একটা গরু কিনছিনু, জলিল মেম্বার সরকারের কাছ থাকি ঘর নিয়ে দিবের কথা কয়া সেই গরুটেও নিয়ে গেইচে। মুই তো চোখে দেকো না। মোর মায়ের কাছ থাকিও ২৫ হাজার টাকা নেছে। হামাক ঘর তো দিল নে, হামার গরুটেও নিয়ে গেলো টাকাও নিলো। মুই এর বিচার চাও।অভিযোগ রয়েছে, একই গ্রামের কিছু প্রতিবন্ধী ও ছিন্নমূল মানুষের কাছ থেকে গরু-ছাগল ও নগদ টাকা নিয়ে মুজিব শতবর্ষের ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পুর্ণবাসনের প্রকল্পের ঘর দেবার কথা বলে তাদেরকেও ঘর দেন নি ওই ইউপি মেম্বার।

ওই গ্রামের রসিদা বেগম জানান, ‘সরকারের কাছ থেকে ঘর নিয়ে দেয়ার কথা বলে জলিল মেম্বার তার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। তিনি ১০ হাজার টাকা দিয়েছেন। বাকি টাকা দিতে না পারায় মেম্বার ইট-বালু নিয়ে যায়।’

একই এলাকার দুদু মিয়া জানান, ‘সরকারের বরাদ্দকৃত ঘর দেয়ার কথা বলে আমার কাছ থেকেও ২৫ হাজার টাকা নিয়েছেন জলিল মেম্বার। আমাকে ঘর তো পেলাম না, টাকাও দিলোনা। টাকা চাইতে গেলে উল্টো গালিগালাজ করেন।মানুষদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে সরকারের বরাদ্দকৃত ঘর না দেয়ার বিষয়ে শাল্টি গোপালপুর ইউপি সদস্য (মেম্বার) জলিল মিয়া বলেন, ‘আমি কারো কাছ থেকে কোনো টাকা নেইনি। আমাকে ফাঁসানোর জন্য আমার প্রতিপক্ষ চক্রান্ত করছে। ‘আমি শুনেছি আওয়ামী লীগের শামীম নামের একজন টাকা নিয়েছে ওই অন্ধের কাছ থেকে। তবে আমি টাকা নেই নাই।’

এ বিষয়ে শামীমের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ‘আমি কী এলাকার মেম্বার, যে মানুষ আমাকে টাকা দেবে? মেম্বারের সাথে আমার বিরোধ থাকার কারণে মেম্বার আমাকে জড়াতে চায়।

এসব অভিযোগের বিষয়ে রংপুর জেলা প্রশাসক আসিব আহসান বলেন, ‘গৃহহীন মানুষগুলো স্থায়ীভাবে বসবাস করার জন্য আবাসন প্রকল্পের একটি করে ঘর পাচ্ছেন। আর এ ব্যাপারে কেউ নাম ভাঙ্গিয়ে টাকা নিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

রংপুর জেলার টাকা দিয়েও প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ঘর পেলো না অন্ধ ভিক্ষুক

আপডেট টাইম : ০২:০২:২৮ অপরাহ্ণ, রবিবার, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১

রংপুর জেলা প্রতিনিধি।।

রংপুরের মিঠাপুকুরে এক অন্ধ ভিক্ষুকের শেষ সম্বল একটি গরু ও ভিক্ষার সঞ্চিত ২৫ হাজার টাকা দিয়েও মুজিব শতবর্ষের ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পুর্ণবাসনের বর্তমান তালিকায় নাম ওঠেনি এ পরিবারের। স্থানীয় ইউপি সদস্য (মেম্বার) আব্দুল জলিল মিয়ার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেছেন উপজেলার শাল্টি গোপালপুর ইউনিয়নের মরিচবাড়ি গ্রামের ভিক্ষুক অন্ধ এনদা মিয়া।

Nogod

এ বিষয়ে ভিক্ষুক এনদা মিয়া (৩০) স্থানীয় ভাষায় বলেন, ‘মুই তো ভিক্ষুক, ভিক্ষে করি খাঁও। অন্যের জমিতে থাকো। ভিক্ষা করি একটা গরু কিনছিনু, জলিল মেম্বার সরকারের কাছ থাকি ঘর নিয়ে দিবের কথা কয়া সেই গরুটেও নিয়ে গেইচে। মুই তো চোখে দেকো না। মোর মায়ের কাছ থাকিও ২৫ হাজার টাকা নেছে। হামাক ঘর তো দিল নে, হামার গরুটেও নিয়ে গেলো টাকাও নিলো। মুই এর বিচার চাও।অভিযোগ রয়েছে, একই গ্রামের কিছু প্রতিবন্ধী ও ছিন্নমূল মানুষের কাছ থেকে গরু-ছাগল ও নগদ টাকা নিয়ে মুজিব শতবর্ষের ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পুর্ণবাসনের প্রকল্পের ঘর দেবার কথা বলে তাদেরকেও ঘর দেন নি ওই ইউপি মেম্বার।

ওই গ্রামের রসিদা বেগম জানান, ‘সরকারের কাছ থেকে ঘর নিয়ে দেয়ার কথা বলে জলিল মেম্বার তার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। তিনি ১০ হাজার টাকা দিয়েছেন। বাকি টাকা দিতে না পারায় মেম্বার ইট-বালু নিয়ে যায়।’

একই এলাকার দুদু মিয়া জানান, ‘সরকারের বরাদ্দকৃত ঘর দেয়ার কথা বলে আমার কাছ থেকেও ২৫ হাজার টাকা নিয়েছেন জলিল মেম্বার। আমাকে ঘর তো পেলাম না, টাকাও দিলোনা। টাকা চাইতে গেলে উল্টো গালিগালাজ করেন।মানুষদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে সরকারের বরাদ্দকৃত ঘর না দেয়ার বিষয়ে শাল্টি গোপালপুর ইউপি সদস্য (মেম্বার) জলিল মিয়া বলেন, ‘আমি কারো কাছ থেকে কোনো টাকা নেইনি। আমাকে ফাঁসানোর জন্য আমার প্রতিপক্ষ চক্রান্ত করছে। ‘আমি শুনেছি আওয়ামী লীগের শামীম নামের একজন টাকা নিয়েছে ওই অন্ধের কাছ থেকে। তবে আমি টাকা নেই নাই।’

এ বিষয়ে শামীমের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ‘আমি কী এলাকার মেম্বার, যে মানুষ আমাকে টাকা দেবে? মেম্বারের সাথে আমার বিরোধ থাকার কারণে মেম্বার আমাকে জড়াতে চায়।

এসব অভিযোগের বিষয়ে রংপুর জেলা প্রশাসক আসিব আহসান বলেন, ‘গৃহহীন মানুষগুলো স্থায়ীভাবে বসবাস করার জন্য আবাসন প্রকল্পের একটি করে ঘর পাচ্ছেন। আর এ ব্যাপারে কেউ নাম ভাঙ্গিয়ে টাকা নিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।