ঢাকা ০১:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৩ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
শাপলা চত্বর হত্যাকাণ্ড নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন উপ-প্রেস সচিব নেত্র নিউজের প্রতিবেদন শুল্ক থেকে রেহাই পেতে বাংলাদেশকে আরও বেশি তুলা কেনার চাপ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা: হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ পার- ভাঙ্গুড়া ইউনিয়ন বিএনপির ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপি’ কর্তিক আয়োজিত কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে নারী স্বাধীন হয়ে আজ আকাশে উড়ছে পুরুষ আজ নির্যাতিত নারীদের কাছে এই যদি হয় সমাজের অবস্থা নাসিরনগরে ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জিয়া পরিষদের মতবিনিময় সভা চট্টগ্রাম মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্য আবু বকর ছিদ্দিকের জানাজা ও দাফন সম্পন্ন ১৫ বছরে সাংবাদিকদের ভূমিকা মূল্যায়নে জাতিসংঘের সহায়তা চাওয়া হবে:প্রেস সচিব আ.লীগের বিচার ও সংস্কারের আগে কোনো নির্বাচন হবে না দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে বাফুফের নিবন্ধন লাভ করেছে দক্ষিণ হালিশহর ফুটবল একাডেমি

রংপুর জেলার টাকা দিয়েও প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ঘর পেলো না অন্ধ ভিক্ষুক

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০২:০২:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / ৩৪৭ ১৫০০০.০ বার পাঠক

রংপুর জেলা প্রতিনিধি।।

রংপুরের মিঠাপুকুরে এক অন্ধ ভিক্ষুকের শেষ সম্বল একটি গরু ও ভিক্ষার সঞ্চিত ২৫ হাজার টাকা দিয়েও মুজিব শতবর্ষের ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পুর্ণবাসনের বর্তমান তালিকায় নাম ওঠেনি এ পরিবারের। স্থানীয় ইউপি সদস্য (মেম্বার) আব্দুল জলিল মিয়ার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেছেন উপজেলার শাল্টি গোপালপুর ইউনিয়নের মরিচবাড়ি গ্রামের ভিক্ষুক অন্ধ এনদা মিয়া।

Nogod

এ বিষয়ে ভিক্ষুক এনদা মিয়া (৩০) স্থানীয় ভাষায় বলেন, ‘মুই তো ভিক্ষুক, ভিক্ষে করি খাঁও। অন্যের জমিতে থাকো। ভিক্ষা করি একটা গরু কিনছিনু, জলিল মেম্বার সরকারের কাছ থাকি ঘর নিয়ে দিবের কথা কয়া সেই গরুটেও নিয়ে গেইচে। মুই তো চোখে দেকো না। মোর মায়ের কাছ থাকিও ২৫ হাজার টাকা নেছে। হামাক ঘর তো দিল নে, হামার গরুটেও নিয়ে গেলো টাকাও নিলো। মুই এর বিচার চাও।অভিযোগ রয়েছে, একই গ্রামের কিছু প্রতিবন্ধী ও ছিন্নমূল মানুষের কাছ থেকে গরু-ছাগল ও নগদ টাকা নিয়ে মুজিব শতবর্ষের ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পুর্ণবাসনের প্রকল্পের ঘর দেবার কথা বলে তাদেরকেও ঘর দেন নি ওই ইউপি মেম্বার।

ওই গ্রামের রসিদা বেগম জানান, ‘সরকারের কাছ থেকে ঘর নিয়ে দেয়ার কথা বলে জলিল মেম্বার তার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। তিনি ১০ হাজার টাকা দিয়েছেন। বাকি টাকা দিতে না পারায় মেম্বার ইট-বালু নিয়ে যায়।’

একই এলাকার দুদু মিয়া জানান, ‘সরকারের বরাদ্দকৃত ঘর দেয়ার কথা বলে আমার কাছ থেকেও ২৫ হাজার টাকা নিয়েছেন জলিল মেম্বার। আমাকে ঘর তো পেলাম না, টাকাও দিলোনা। টাকা চাইতে গেলে উল্টো গালিগালাজ করেন।মানুষদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে সরকারের বরাদ্দকৃত ঘর না দেয়ার বিষয়ে শাল্টি গোপালপুর ইউপি সদস্য (মেম্বার) জলিল মিয়া বলেন, ‘আমি কারো কাছ থেকে কোনো টাকা নেইনি। আমাকে ফাঁসানোর জন্য আমার প্রতিপক্ষ চক্রান্ত করছে। ‘আমি শুনেছি আওয়ামী লীগের শামীম নামের একজন টাকা নিয়েছে ওই অন্ধের কাছ থেকে। তবে আমি টাকা নেই নাই।’

এ বিষয়ে শামীমের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ‘আমি কী এলাকার মেম্বার, যে মানুষ আমাকে টাকা দেবে? মেম্বারের সাথে আমার বিরোধ থাকার কারণে মেম্বার আমাকে জড়াতে চায়।

এসব অভিযোগের বিষয়ে রংপুর জেলা প্রশাসক আসিব আহসান বলেন, ‘গৃহহীন মানুষগুলো স্থায়ীভাবে বসবাস করার জন্য আবাসন প্রকল্পের একটি করে ঘর পাচ্ছেন। আর এ ব্যাপারে কেউ নাম ভাঙ্গিয়ে টাকা নিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

রংপুর জেলার টাকা দিয়েও প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ঘর পেলো না অন্ধ ভিক্ষুক

আপডেট টাইম : ০২:০২:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২১

রংপুর জেলা প্রতিনিধি।।

রংপুরের মিঠাপুকুরে এক অন্ধ ভিক্ষুকের শেষ সম্বল একটি গরু ও ভিক্ষার সঞ্চিত ২৫ হাজার টাকা দিয়েও মুজিব শতবর্ষের ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পুর্ণবাসনের বর্তমান তালিকায় নাম ওঠেনি এ পরিবারের। স্থানীয় ইউপি সদস্য (মেম্বার) আব্দুল জলিল মিয়ার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেছেন উপজেলার শাল্টি গোপালপুর ইউনিয়নের মরিচবাড়ি গ্রামের ভিক্ষুক অন্ধ এনদা মিয়া।

Nogod

এ বিষয়ে ভিক্ষুক এনদা মিয়া (৩০) স্থানীয় ভাষায় বলেন, ‘মুই তো ভিক্ষুক, ভিক্ষে করি খাঁও। অন্যের জমিতে থাকো। ভিক্ষা করি একটা গরু কিনছিনু, জলিল মেম্বার সরকারের কাছ থাকি ঘর নিয়ে দিবের কথা কয়া সেই গরুটেও নিয়ে গেইচে। মুই তো চোখে দেকো না। মোর মায়ের কাছ থাকিও ২৫ হাজার টাকা নেছে। হামাক ঘর তো দিল নে, হামার গরুটেও নিয়ে গেলো টাকাও নিলো। মুই এর বিচার চাও।অভিযোগ রয়েছে, একই গ্রামের কিছু প্রতিবন্ধী ও ছিন্নমূল মানুষের কাছ থেকে গরু-ছাগল ও নগদ টাকা নিয়ে মুজিব শতবর্ষের ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পুর্ণবাসনের প্রকল্পের ঘর দেবার কথা বলে তাদেরকেও ঘর দেন নি ওই ইউপি মেম্বার।

ওই গ্রামের রসিদা বেগম জানান, ‘সরকারের কাছ থেকে ঘর নিয়ে দেয়ার কথা বলে জলিল মেম্বার তার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। তিনি ১০ হাজার টাকা দিয়েছেন। বাকি টাকা দিতে না পারায় মেম্বার ইট-বালু নিয়ে যায়।’

একই এলাকার দুদু মিয়া জানান, ‘সরকারের বরাদ্দকৃত ঘর দেয়ার কথা বলে আমার কাছ থেকেও ২৫ হাজার টাকা নিয়েছেন জলিল মেম্বার। আমাকে ঘর তো পেলাম না, টাকাও দিলোনা। টাকা চাইতে গেলে উল্টো গালিগালাজ করেন।মানুষদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে সরকারের বরাদ্দকৃত ঘর না দেয়ার বিষয়ে শাল্টি গোপালপুর ইউপি সদস্য (মেম্বার) জলিল মিয়া বলেন, ‘আমি কারো কাছ থেকে কোনো টাকা নেইনি। আমাকে ফাঁসানোর জন্য আমার প্রতিপক্ষ চক্রান্ত করছে। ‘আমি শুনেছি আওয়ামী লীগের শামীম নামের একজন টাকা নিয়েছে ওই অন্ধের কাছ থেকে। তবে আমি টাকা নেই নাই।’

এ বিষয়ে শামীমের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ‘আমি কী এলাকার মেম্বার, যে মানুষ আমাকে টাকা দেবে? মেম্বারের সাথে আমার বিরোধ থাকার কারণে মেম্বার আমাকে জড়াতে চায়।

এসব অভিযোগের বিষয়ে রংপুর জেলা প্রশাসক আসিব আহসান বলেন, ‘গৃহহীন মানুষগুলো স্থায়ীভাবে বসবাস করার জন্য আবাসন প্রকল্পের একটি করে ঘর পাচ্ছেন। আর এ ব্যাপারে কেউ নাম ভাঙ্গিয়ে টাকা নিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।