গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা চালক কনক হত্যার ৩ আসামীকে গ্রেফতার এবং অটো রিক্সা উদ্ধার
- আপডেট টাইম : ০৭:৩৩:১০ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারি ২০২৩
- / ১৭৬ ৫০০০.০ বার পাঠক
গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জে ব্যাটারী চালিত অটো রিক্সা চালক কনক হত্যার ৩ আসামীকে গ্রেফতার এবং অটো রিক্সা উদ্ধার করেছে গাইবান্ধা জেলা পুলিশ।
গাইবান্ধার জেলার গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশের শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানে ঘটনার ১৮ ঘন্টার মধ্যে চাঞ্চল্যকর অটো রিক্সা চালক কনক হত্যা মামলার রহস্য উন্মোচন। ৩ জন আসামীকে গ্রেফতার এবং অটো রিক্সা উদ্ধার করেছে গাইবান্ধা জেলা পুলিশ।
সোমবার (২৩ জানুয়ারি) দুপরে গোবিন্দগঞ্জ থানা হতে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো- ১.হেলাল মিয়া (২২) পিত- মো.মোজাম্মেল হক মোজাম গ্রাম.রামপুরা সরকার পাড়া থানা.গোবিন্দগঞ্জ জেলা.গাইবান্ধা। ২. মো.সৌরভ মন্ডল (২০) পিতা-মো.ফেরদৌস মন্ডল,গ্রাম.ক্রোড়গাছা থানা. গোবিন্দগঞ্জ জেলা গাইবান্ধা। ৩.মো.দেলাল মন্ডল (২০) পিতা.মোজাম্মেল হক মোজাম গ্রাম.রামপুরা সরকার পাড়া থানা. গোবিন্দগঞ্জ জেলা.গাইবান্ধা।
কনক মিয়া গত (১৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় অটো রিক্সা নিয়ে ভাড়ার উদ্দেশ্যে বের হওয়ার পর আর বাড়িতে ফেরেন নি। এ বিষয়ে তার পরিবারের পক্ষ থেকে গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। শনিবার (২১ জানুয়ারি) রংপুর চিনিকলের মালিকানাধীন সাহেবগঞ্জ বাণিজ্যিক খামারের কাটা এলাকার সিংড়ার দীঘি নামক পুকুরের পানিতে তার হাত-পা বাধা মৃতদেহ দেখতে পান এলাকাবাসী। পরে খবর পেয়ে পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে।
গাইবান্ধা জেলার পুলিশ সুপার জনাব মোঃ কামাল হোসেন এর দিক নির্দেশনায় সহকারী পুলিশ সুপার (সি সার্কেল) উদয় কুমার সাহা, পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত মোঃ বুলবুল ইসলাম, এস আই জসিম উদ্দিন এসআই প্রলয় বর্মা ও এএসআই আসাদুজ্জামান সহ সঙ্গীয় ফোর্সের সমন্বয়ে একটি বিশেষ টিম গঠন করেন। উক্ত টিম গোবিন্দগঞ্জ থানা এলাকাসহ রংপুর জেলার বিভিন্ন শ্বাসরুদ্ধকর অভিযান পরিচালনা করে ঘটনার ১৮ ঘন্টার মধ্যেই অটো রিক্সা চালক কনক প্রমানিক হত্যাকান্ডে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত তিনজন আসামি ১/ হেলাল মিয়া ২/ সৌরভ মন্ডল ৩/ দেলান মিয়াকে গ্রেফতার করে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ভিকটিমের ব্যবহৃত অটো রিক্সা, একটি দেশীয় তৈরি চাকু ও একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে গাইবান্ধা জেলা পুলিশ।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামীদ্বয় অটো রিক্সা ছিনতাইকালে বাধা দেওয়াই তাকে মারপিট করে গলা টিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য হাত পা বেঁধে পুকুরের পানিতে ফেলে দেবার কথা স্বীকার করে।