ঢাকা ০৫:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫

প্রবাসী উজ্জল হোসেনের স্ত্রীর সাথে পরোকিয়া করার সময় গ্রামবাসীর হাতে

মোঃ আলমগীর হোসেন জেলা প্রতিনিধি নওগাঁ
  • আপডেট টাইম : ০৮:১০:৪৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ২৮৭ ১৫০০০.০ বার পাঠক

নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার নিকটস্থ থাঐপাড়া গ্রামে প্রবাসী উজ্জল হোসেনের স্ত্রীর সাথে পরোকিয়া করার সময় গ্রামবাসীর হাতে রাত্রি আনুমানিক ১১টায় আটক হয় মোঃ রকি হোসেন (২৪),পিতা মোঃ দুলাল হোসেন নামের এক যুবক।

এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের দেওয়া তথ্যমতে জানাযায় প্রবাসী উজ্জল জীবন সংগ্রামে টিকে থাকতে এবং পরিবারকে ভালো রাখতে, পারিবারের স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে প্রবাসে যায় প্রায় ৯/১০ মাস আগে। এই সুযোগটিকে কাজে লাগিয়ে তার বউ একই গ্রামের রকির সাথে পরোকিয়া প্রেমে লিপ্ত হয়।উজ্জলের ঘরে ছোট ছোট দুটি মেয়ে সন্তান ও রয়েছে।

এ ঘটনাটি ঘটে রবিবার দিবাগত রাতে ২৫।১২।২০২২ইং, এ নিয়ে এলাকায় বেশ আলোচনা সমলোচনার সৃষ্টি হয়। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মোঃ শফি’র সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।সেই সাথে বলেন রাত্রি আনুমানিক ৯/১০ সময় এ ঘটনা ঘটে তখন আমি থানায় ছিলাম, একজন কল দিয়ে আমায় বলে উজ্জলের বউয়ের ঘরে দুলালের ছেলে রকি ঢুকে পরোকিয়া করার সময় গ্রামের কিছু লোকজন হাতে নাতে ধরেছে।পরবর্তীতে থানার কাজ শেষ করে আমাদের স্কুল মাঠে এসে দেখি লোকজন সবাই চলে যাচ্ছে মেয়েটিকে (উজ্জলের স্ত্রী) একা রেখে।এবং জানতে পারি ছেলের বাবা সহ ছেলের পরিবারের লোকজন ছেলেকে জোড়পূর্বক গ্রামবাসীর হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।এরই মাঝে মেয়ের পরিবারে খবর দেওয়া হয়েছিলো তারা এসে মেয়েকে ও নিয়ে চলে যায়।ইতিমধ্যে খবর পেয়ে থানা থেকে তদন্ত ওসি লুতৎফর রহমানসহ একজন কনস্টেবল আসেন এবং ঘটনার বিস্তারিত মাতব্বরদের কাছ থেকে শুনে চলে যান।

এ বিষয় নিয়ে আত্রাই থানার তদন্ত অফিসারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি উক্তস্থানে যাওয়ার কথা প্রথমবারে অস্বীকার করে বলেন, আমাকে ডিউটি অফিসার আমায় বলেছে স্যার থাঐপাড়া গ্রামে এমন একটি ঘটনা ঘটেছে।তখন আমি ও ওসি স্যার উনাদের থানায় এসে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি কিন্তু ঘটনাস্থলে আমি যাইনি। তদন্ত ওসির এমন রহস্যজনক কথায় সন্দেহ হওয়ায় আরও কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয়।সেখানে তারা তদন্ত ওসির উপস্থিত থাকার কথা স্বীকার করেন।কিন্তু তদন্ত ওসি রহস্যজনক কারনে বার বার ঘটনাটি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন এবং এলোমেলো তথ্য দিচ্ছেন।

এলাকাবাসীর দাবি যারা ছেলেটিকে আটক করেছিলো তারা ছেলের পরিবারের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে ছেলে ছেড়ে দিয়েছে।আর যারা টাকা নিয়েছে তাদের সাথে তদন্ত ওসির খুব ভালো সাক্ষতা আছে বলেই তিনি ঘটনাস্থলে এসেও আলোচিত এমন একটি ঘটনা ধামাচাপা দেবার চেষ্টা করেছে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

প্রবাসী উজ্জল হোসেনের স্ত্রীর সাথে পরোকিয়া করার সময় গ্রামবাসীর হাতে

আপডেট টাইম : ০৮:১০:৪৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২২

নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার নিকটস্থ থাঐপাড়া গ্রামে প্রবাসী উজ্জল হোসেনের স্ত্রীর সাথে পরোকিয়া করার সময় গ্রামবাসীর হাতে রাত্রি আনুমানিক ১১টায় আটক হয় মোঃ রকি হোসেন (২৪),পিতা মোঃ দুলাল হোসেন নামের এক যুবক।

এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের দেওয়া তথ্যমতে জানাযায় প্রবাসী উজ্জল জীবন সংগ্রামে টিকে থাকতে এবং পরিবারকে ভালো রাখতে, পারিবারের স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে প্রবাসে যায় প্রায় ৯/১০ মাস আগে। এই সুযোগটিকে কাজে লাগিয়ে তার বউ একই গ্রামের রকির সাথে পরোকিয়া প্রেমে লিপ্ত হয়।উজ্জলের ঘরে ছোট ছোট দুটি মেয়ে সন্তান ও রয়েছে।

এ ঘটনাটি ঘটে রবিবার দিবাগত রাতে ২৫।১২।২০২২ইং, এ নিয়ে এলাকায় বেশ আলোচনা সমলোচনার সৃষ্টি হয়। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মোঃ শফি’র সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।সেই সাথে বলেন রাত্রি আনুমানিক ৯/১০ সময় এ ঘটনা ঘটে তখন আমি থানায় ছিলাম, একজন কল দিয়ে আমায় বলে উজ্জলের বউয়ের ঘরে দুলালের ছেলে রকি ঢুকে পরোকিয়া করার সময় গ্রামের কিছু লোকজন হাতে নাতে ধরেছে।পরবর্তীতে থানার কাজ শেষ করে আমাদের স্কুল মাঠে এসে দেখি লোকজন সবাই চলে যাচ্ছে মেয়েটিকে (উজ্জলের স্ত্রী) একা রেখে।এবং জানতে পারি ছেলের বাবা সহ ছেলের পরিবারের লোকজন ছেলেকে জোড়পূর্বক গ্রামবাসীর হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।এরই মাঝে মেয়ের পরিবারে খবর দেওয়া হয়েছিলো তারা এসে মেয়েকে ও নিয়ে চলে যায়।ইতিমধ্যে খবর পেয়ে থানা থেকে তদন্ত ওসি লুতৎফর রহমানসহ একজন কনস্টেবল আসেন এবং ঘটনার বিস্তারিত মাতব্বরদের কাছ থেকে শুনে চলে যান।

এ বিষয় নিয়ে আত্রাই থানার তদন্ত অফিসারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি উক্তস্থানে যাওয়ার কথা প্রথমবারে অস্বীকার করে বলেন, আমাকে ডিউটি অফিসার আমায় বলেছে স্যার থাঐপাড়া গ্রামে এমন একটি ঘটনা ঘটেছে।তখন আমি ও ওসি স্যার উনাদের থানায় এসে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি কিন্তু ঘটনাস্থলে আমি যাইনি। তদন্ত ওসির এমন রহস্যজনক কথায় সন্দেহ হওয়ায় আরও কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয়।সেখানে তারা তদন্ত ওসির উপস্থিত থাকার কথা স্বীকার করেন।কিন্তু তদন্ত ওসি রহস্যজনক কারনে বার বার ঘটনাটি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন এবং এলোমেলো তথ্য দিচ্ছেন।

এলাকাবাসীর দাবি যারা ছেলেটিকে আটক করেছিলো তারা ছেলের পরিবারের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে ছেলে ছেড়ে দিয়েছে।আর যারা টাকা নিয়েছে তাদের সাথে তদন্ত ওসির খুব ভালো সাক্ষতা আছে বলেই তিনি ঘটনাস্থলে এসেও আলোচিত এমন একটি ঘটনা ধামাচাপা দেবার চেষ্টা করেছে।