ঢাকা ০৭:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৬ মে ২০২৪

বশেমুরবিপ্রবিতে হল ফিস্টে সাংবাদিক পরিচয়ে মেয়েদের হলে ফ্রি খাবার দাবি

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে হল ফিস্টের আয়োজন করা হলে সাংবাদিক পরিচয়ে মেয়েদের হলে গিয়ে খাবার দাবি করার অভিযোগ উঠেছে।

১৬ ই ডিসেম্বর ২০২২ (শুক্রবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে রাত আনুমানিক ৮.৩০ এর দিকে হলে ফিস্টের খাবার বিতরণের সময় এ ঘটনা ঘটে।

এ বিষয়ে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট বাঁধন মনি এবং সহকারী প্রভোস্ট নুসরাত তায়েফ জানান, ‘সাগর দে নামে একজন সাংবাদিক সমিতির পরিচয় দিয়ে খাবার দাবি করে। এসময় সে তার সাথে সাংবাদিক ফোরাম এবং রিপোর্টার্স ইউনিটির কর্মীরাও রয়েছে বলে জানায়। আমরা তাদেরকে জানাই এভাবে এতজনকে খাবার দেয়া সম্ভব না। পরবর্তীতে বিষয়টি ভেরিফাই করলে সাংবাদিক সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয় সাগর দে কে অনেক আগেই সাংবাদিক সমিতি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে এবং সাগর দে এখন তাদের সদস্য নয়।’

এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক শিক্ষার্থী জানান তারা বাইরে থেকে হঠাৎ লক্ষ্য করেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে কথা কাটাকাটি হচ্ছে। এসময় তারা ঘটনাস্থলে সিএসই (আইসিটি) বিভাগের শিক্ষার্থী সাগর দে, ইএসডি বিভাগের শিক্ষার্থী শফিউল কায়েস, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সাজ্জাতুজ জামানসহ বেশ কয়েকজনকে দেখেছেন এবং পরবর্তীতে জেনেছেন এসকল শিক্ষার্থীরা সাংবাদিক পরিচয়ে অবৈধভাবে খাবার দাবি করেছেন।

এ বিষয়ে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও সাগর দে মন্তব্য প্রদান করতে রাজি হননি এবং শফিউল কায়েস বলেন, ‘আমি এই ঘটনার সাথে জড়িত নই। খাবার চেয়ে ফোন দিয়েছিলেন সাগর দে।’

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে সাংবাদিক সমিতির বর্তমান সভাপতি মো: আশরাফুল আলম বলেন, ‘বশেমুরবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতি কখনও এধরনের কর্মকান্ড সমর্থন করে না এবং সাগর দে নামে বর্তমানে সাংবাদিক সমিতির কোনো সদস্যও নেই। ইতোপূর্বে সাগর দে নামে যিনি ছিলেন তিনি বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িত থাকায় তাকে প্রায় তিন মাস আগে সমিতি থেকে বহিষ্কার করা হয়। সাংবাদিক সমিতি সর্বদা নীতি-নৈতিকতায় বিশ্বাসী এবং এধরণের চাঁদাবাজিমূলক কর্মকান্ডকে ঘৃণা করে। সাংবাদিক সমিতির পরিচয় দিয়ে কেউ কোনো ধরনের চাঁদাবাজি বা অনৈতিক সুবিধা দাবি করলে সাংবাদিক সমিতি তার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।’

ঘটনাস্থলে তৎক্ষণাত উপস্থিত হন বশেমুরবিপ্রবি প্রক্টরে ড. মো: কামরুজ্জামান। তিনি জানান, ‘ সাগর দে, সাংবাদিক ফোরাম ও রিপোর্টার্স ইউনিটি সবার পক্ষ থেকে খাবার নিতে আসছিলো এবং সে জোর করছে খাবার নেওয়ার জন্য। বিষয়টি আমরা অবশ্যই দেখবো। সাংবাদিক সমিতি থেকে বহিষ্কৃত হয়েও সাগর দে সাংবাদিক সমিতির ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছে এমন অভিযোগ জানানো হলে তিনি বলেন বিষয়টি নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।’

আরো খবর.......

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বশেমুরবিপ্রবিতে হল ফিস্টে সাংবাদিক পরিচয়ে মেয়েদের হলে ফ্রি খাবার দাবি

আপডেট টাইম : ০৪:১১:৪৬ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২২

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে হল ফিস্টের আয়োজন করা হলে সাংবাদিক পরিচয়ে মেয়েদের হলে গিয়ে খাবার দাবি করার অভিযোগ উঠেছে।

১৬ ই ডিসেম্বর ২০২২ (শুক্রবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে রাত আনুমানিক ৮.৩০ এর দিকে হলে ফিস্টের খাবার বিতরণের সময় এ ঘটনা ঘটে।

এ বিষয়ে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট বাঁধন মনি এবং সহকারী প্রভোস্ট নুসরাত তায়েফ জানান, ‘সাগর দে নামে একজন সাংবাদিক সমিতির পরিচয় দিয়ে খাবার দাবি করে। এসময় সে তার সাথে সাংবাদিক ফোরাম এবং রিপোর্টার্স ইউনিটির কর্মীরাও রয়েছে বলে জানায়। আমরা তাদেরকে জানাই এভাবে এতজনকে খাবার দেয়া সম্ভব না। পরবর্তীতে বিষয়টি ভেরিফাই করলে সাংবাদিক সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয় সাগর দে কে অনেক আগেই সাংবাদিক সমিতি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে এবং সাগর দে এখন তাদের সদস্য নয়।’

এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক শিক্ষার্থী জানান তারা বাইরে থেকে হঠাৎ লক্ষ্য করেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে কথা কাটাকাটি হচ্ছে। এসময় তারা ঘটনাস্থলে সিএসই (আইসিটি) বিভাগের শিক্ষার্থী সাগর দে, ইএসডি বিভাগের শিক্ষার্থী শফিউল কায়েস, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সাজ্জাতুজ জামানসহ বেশ কয়েকজনকে দেখেছেন এবং পরবর্তীতে জেনেছেন এসকল শিক্ষার্থীরা সাংবাদিক পরিচয়ে অবৈধভাবে খাবার দাবি করেছেন।

এ বিষয়ে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও সাগর দে মন্তব্য প্রদান করতে রাজি হননি এবং শফিউল কায়েস বলেন, ‘আমি এই ঘটনার সাথে জড়িত নই। খাবার চেয়ে ফোন দিয়েছিলেন সাগর দে।’

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে সাংবাদিক সমিতির বর্তমান সভাপতি মো: আশরাফুল আলম বলেন, ‘বশেমুরবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতি কখনও এধরনের কর্মকান্ড সমর্থন করে না এবং সাগর দে নামে বর্তমানে সাংবাদিক সমিতির কোনো সদস্যও নেই। ইতোপূর্বে সাগর দে নামে যিনি ছিলেন তিনি বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িত থাকায় তাকে প্রায় তিন মাস আগে সমিতি থেকে বহিষ্কার করা হয়। সাংবাদিক সমিতি সর্বদা নীতি-নৈতিকতায় বিশ্বাসী এবং এধরণের চাঁদাবাজিমূলক কর্মকান্ডকে ঘৃণা করে। সাংবাদিক সমিতির পরিচয় দিয়ে কেউ কোনো ধরনের চাঁদাবাজি বা অনৈতিক সুবিধা দাবি করলে সাংবাদিক সমিতি তার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।’

ঘটনাস্থলে তৎক্ষণাত উপস্থিত হন বশেমুরবিপ্রবি প্রক্টরে ড. মো: কামরুজ্জামান। তিনি জানান, ‘ সাগর দে, সাংবাদিক ফোরাম ও রিপোর্টার্স ইউনিটি সবার পক্ষ থেকে খাবার নিতে আসছিলো এবং সে জোর করছে খাবার নেওয়ার জন্য। বিষয়টি আমরা অবশ্যই দেখবো। সাংবাদিক সমিতি থেকে বহিষ্কৃত হয়েও সাগর দে সাংবাদিক সমিতির ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছে এমন অভিযোগ জানানো হলে তিনি বলেন বিষয়টি নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।’